টেকভিশন২৪ ডেস্ক রিপোর্ট : গণমাধ্যমকে বলা হয় সমাজের দর্পণ। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারে। বলা হয়ে থাকে “গণতন্ত্রের মেরুদন্ডই হচ্ছে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং দায়িত্বশীল গণমাধ্যম”। কাজেই সমাজের নিকট গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতা বর্ণনাতীত। সমাজের অগ্রগতিতে গণমাধ্যমের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ প্রকৃত সত্যের উন্মোচন, সঠিক সংবাদ পরিবেশন এবং অসামঞ্জস্যতার সমালোচনা। পাশাপাশি গণমাধ্যমের বিকাশে নতুন প্রযুক্তিকে স্বাগত জানানো এবং এর যথোপযোগী ব্যবহার নিশ্চিত করাও অত্যন্ত জরুরি। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রেনিউর ল্যাব ইউথ এন্ড ইনোভেশন ট্রাস্ট এবং ফ্রেডরিখ নাওমান ফাউন্ডেশন যুগ্মভাবে “Conference on Innovation in Media” নামের একটি সম্মেলনের আয়োজন করে। মূলত প্রতিষ্ঠান দুটি “ফিউচার অফ মিডিয়া সামিট” নামে একটি মিডিয়া সামিট আয়োজন করছে, এবং এই সম্মেলনটি ছিল এই সামিটেরই একটি অংশ। সম্মেলনটি ২ নভেম্বর, ২০২১ তারিখ রাত ৮ টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। এই কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন ওমর মোস্তাফিজ, প্রোগ্রাম ম্যানেজার অফ এফএনএফ বাংলাদেশ এবং আরিফ নিজামী, সহ-প্রতিষ্ঠাতা, প্রেনিউর ল্যাব।
এই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সালাউদ্দিন সেলিম, সম্প্রচার প্রধান, সময় টিভি; শুভাশীষ রায়, ব্যবসা প্রধান, দি ডেইলি স্টার; রিয়াজুল আলম রাব্বি, ম্যানেজার ও লিড, ডিজিটাল মিডিয়া এ্যাট চ্যানেল 24। শুভাশীষ রায়ের সম্মেলন বিষয়বস্তু সংক্রান্ত মূল বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সূচনা হয়। এরপর জনাব সালাউদ্দীন সেলিম বাংলাদেশে OTT এর গঠন এবং ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত এবং রিয়াজুল আলম রাব্বি ইউটিউবের সফলতা কৌশল সংক্রান্ত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
এরপর একটি প্যানেল অনুষ্ঠিত হয় এই সম্মেলনে, যার মূখ্য বিষয়বস্তু ছিল “বাংলাদেশী গণমাধ্যমের ৫০ বছর এবং এর ভবিষ্যৎ”। এই গোলটেবিলে স্বপক্ষীয় বক্তব্য উপস্থাপন করেন ড. শাহ মো. নিস্তার জাহান কবির, মঞ্জুরুল কবির, ড. মো. শাহনেওয়াজ খান চন্দন, ইব্রাহীম বিন হারুন, এবং আরিফুর রহমান। এছাড়াও এই সম্মেলনে বক্তাগণ ফেক নিউজ, অপপ্রচার, গুজব, গনমাধ্যমের পরাধীনতা, গণমাধ্যমের অপব্যবহার ইত্যাদির সামাজিক প্রভাব এবং এগুলোর প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কীত বক্তব্যও তুলে ধরেন। প্যানেলটি মডারেট করেন প্রেনিউর ল্যাব এর ট্রাস্টি রাখশান্দা রুখাম।
গণমাধ্যমের প্রযুক্তিগত এবং সার্বিক উন্নতিকল্পে এইধরণের সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে থাকে। এই ধরণের সম্মেলন গণমাধ্যম কর্মীদের আরো বেশি সচেতন করে তুলতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।