বিনিয়োগ আকর্ষনে চালু হলো ‘বাংলাদেশ আইটি কানেক্ট -ইউকে ডেস্ক’

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: দেশের আইটি খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট ও দেশীয় আইটি কোম্পানীর সাথে যুক্তরাজ্যের আইটি কোম্পানীর ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘বাংলাদেশ আইটি কানেক্ট -ইউকে ডেস্ক (bhcl.itconnect.gov.bd ‘ শীর্ষক ভার্চুয়াল ডেস্ক চালু করা হয়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বৃহস্পতিবার রাতে (৩ জুন ২০২১) এ ভার্চুয়াল ডেস্কের উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের বন্ধুত্বের ৫০ বছর উপলক্ষ্যে আইসিটি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) এলআইসিটি প্রকল্প ও লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত ‘বাংলাদেশ আইটি কানেক্ট-ইউকে ডেস্ক’ মূলত বাংলাদেশ-ইউকে বিটুবি আইটি কানেক্টিভিটি হাব, যা দেশের আইটি কোম্পানীর সাথে যুক্তরাজ্যের আইটি কোম্পানীর ব্যবসায়িক সংযোগ, সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা, যুক্তরাজ্যের থেকে বাজার থেকে বিনিয়োগ আনায় ভুমিকা পালন করবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এর সঞ্চালনায় ‘বাংলাদেশ ও ইউকে এ্যাট ৫০: ফোরজিং এ ডিজিটাল ইকোনমি পার্টনারশীপ’ শীর্ষক এক আলোচনায় দক্ষিণ এশিয়া এবং যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন অফিসে (এফসিডিও) কমনওয়েলথ প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ব্রিটিশ কম্পিউটার সোসাইটির ইন্টারন্যাশনাল ডিরেক্টর কারণ স্টিফেন টোয়েড, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বক্তব্য দেন। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, যুক্তরাজ্য ব্যবসা এবং বিনিয়োগে বাংলাদেশের অন্যতম বড় অংশীদার। পরিবেশ, প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে দু’দেশের ব্যবসা এবং বিনিয়োগের প্রসার ঘটছে।

এবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ব্যবসা এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে চালু করা হলো‘বাংলাদেশ আইটি কানেক্ট-ইউকে ডেস্ক’ শীর্ষক ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম, যা একদিকে যেমন প্রযুক্তি, বিপিও এবং দু’দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশ ঘটাতে সহযোগিতার করবে, অন্যদিকে দেশের আইটি খাতে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখবে। তিনি বলেন, গত এক দশকে দ্রুত ডিজিটালাইজেশনের ফলে বাংলাদেশের প্রায় ৯৯ শতাংশ এলাকা মোবাইল ফোন কভারেজের আওতায় এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারি ১১ কোটি ১৩ লাখের বেশি। উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়ার ফলে আউটসোর্সিং, ই-কমার্স, এফ-কমার্সের এবং ইগভর্নমেন্ট কাযর্ক্রম বিস্তৃত হয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, স্টার্টআপ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত চ্যাটবট, কনট্যাক্ট ট্রেসার, মোবাইল অ্যাপস, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ডিজিটাল কনটেন্ট, ডিজিটাল কমার্স করোনা মহামারিতে মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করেছে। মোকাবেলায় ভুমিকা রাখছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার করে বাড়ি বসে কাজ করা থেকে কৃষি সরবরাহ সচল রাখার ফলে করোনা মহামারির সময়েও ৫ দশমিক ২ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্ন করা সম্ভব হয়।

প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে দু’দেশের মধ্যে উদ্ভাবন এবং আইসিটি খাতে ব্যবসায়িক সহযোগিতা শক্তিশালী করার মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতিতে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলায় দু’দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পরামরার্শ দেন। তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি ইনস্টিটিউটসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে গবেষণা এবং উন্নয়ন (আর অ্যান্ড ডি), উদ্ভাবন, জ্ঞানের আদান-প্রদান, প্রযুক্তি হস্তান্তরে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে চাই। একই সাথে যৌথ প্রকল্প গ্রহণ, ওয়ার্কশপ, সেমিনার, টেক সামিট ও প্রদর্শনীরও আয়োজন করতে চাই। পরে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বিএসিসিও) এর সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফের সঞ্চালনায় ‘ইজ বাংলাদেশ ইউকে’স নেক্সট আউটসোর্সিং পার্টনার’ ও পাথফাইন্ডার এবং ইনফিনিটি টেক এর চেয়ারম্যান ইফতি ইসলাম এর সঞ্চালনায় ‘টেক স্টার্টআপস বাংলাদেশ-দ্য নেক্সট ইউনিকর্ন’ শীর্ষক দুটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুই দেশের প্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ী ও নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন