হাই প্রোফাইল ডিভোর্স ও ডিজিটাল ফরেনসিক

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: আজকে সারাদিন বিল আর মেলিন্ডা গেটসের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা দেখলাম । এই আলোচনার সবচেয়ে বাজে যে জিনিসটা লেগেছে তা হলো মেলিন্ডা কতটাকা পাবে তা নিয়ে অনেকেই বিশাল কনসার্ন !!

দীর্ঘ ২৭ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দিলেন বিল গেটস ও মেলিন্ডা। টুইটার বার্তায় তাঁরা এই ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
 
প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটস উভয়েই টুইটবার্তায় বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘দম্পতি হিসেবে একসঙ্গে থাকতে পারি, সেটি আমরা আর বিশ্বাস করি না।’
 
আশির দশকের শেষদিকে মেলিন্ডা যখন বিল গেটসের প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটে যোগ দেন, তখন থেকে তাঁদের পরিচয়। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে। বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটস মিলে দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ গড়ে তোলেন। এ ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। পারিবারিক ভাবে আলাদা হলোও তাদের ফাউন্ডেশনের সকল কার্যক্রম যৌথ ভাবে চালিয়ে নেওয়ার কথা টুইটে জানিয়েছেন বিল। 
 
বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে বিল গেটস এর টুইট পড়ুন :  https://bit.ly/3xJR4Uw
 
এ ছাড়াও, প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বব্যাপী সংক্রামক রোগ এবং শিশুদের ভ্যাকসিন প্রদানে উৎসাহিত করার লড়াইয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে। 
 
ফোর্বস সাময়িকীর মতে, বিল গেটস বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ ধনী। তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১২৪ বিলিয়ন ডলার। ১৯৭০ সালে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি অগাধ সম্পদের মালিক হন। মাইক্রোসফট বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সফটওয়ার প্রতিষ্ঠান।
 
আমার মনে হয় এই বিচ্ছেদের পিছনে আসলে টাকা নয় বরং পার্টনারের কাছে প্রত্যাশা মাফিক সময় না পাওয়াই কারন। সবাই জানে বিল একজন ওয়ার্ক অ্যালকোহলিক মানুষ, ম্যালিন্ডাকে দেওয়ার মতো সময় তার নাই। এটা নিয়েই তাদের মনোমালিন্য অনেক দিনের। যাই হোক, ভবিষ্যতে হয়তো আরো অনেক কিছু জানা যাবে এবিষয়ে।
 
এবার আসি আরেক হাই প্রফাইল ডিভোর্সে, জেফ বেজোস ও ম্যাকেনজির বিচ্ছেদ। এই বিচ্ছেদের কারন পরকিয়া। জেফ বেজোস তার বান্ধবী লরেন সানচেজের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে যান। 
 

তবে আমার কাছে এই বিচ্ছেদের কাহিনী যতটা না চমকপ্রদ তার চেয়ে এর পিছনের স্পাই থিলারটা বেশি চমকপ্রদ (যদিও এর সত্যতা কেউ পাবলিকলি স্বীকার করে নাই)। তবে এই কেস স্টাডিটা আমি আমার সাইবার সিকিউরিটি (পেনটেস্টিং) ক্লাসে পড়াই।

জেফ “ওয়াশিংটন পোস্ট” পত্রিকার মালিক। এরই সাংবাদিক ছিলেন জামাল খাশগজি। তার প্রসিকিউশনের/হত্যার পর ওয়াশিংটন পোস্ট অনেকগুলো নিউজ ছাপে মুহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) এর বিরুদ্ধে । অভিযোগ মতে, এমবিএস তখন একটা হ্যাকার টিম হায়ার করে জেফ বেজোসের ফোন হ্যাক করতে। পরিকল্পনা মতে এমএসবি ও জেফ নিজেদের মধ্যে নম্বর আদান প্রদান করেন এক ডিনার পার্টিতে। এরপর এমবিএস জেফের ফোনে এক ভিডিও পাঠায় যেটাতে একটা ম্যালিসিয়াস প্রোগ্রাম ছিলো। সেই প্রোগ্রাম মোবাইলে ইন্সটল হয়ে জেফের সব ডাটা একটা সার্ভারে আপলোড করে। পরে সেই ডাটা সাংবাদিকদের সাথে শেয়ার করা হয়, তখনই সারা পৃথিবী জানতে পারে জেফের পরকিয়ার কথা। এরই শেষ পরিনতি ডিভোর্স।

পুরো পেনটেস্টিং রিপোর্টটি পাওয়া যাবে এখানে : https://tinyurl.com/58v5s46u

শেষ কথা, যদি সুখি দাম্পত্য জীবন চান, তবে বউ/স্বামীকে সময় দেন, আর পরকিয়া করিয়েন না। তাহলে টাকায় কাম হবে না, বিলিওনিয়াররাই পারে নাই, আপনি আমি কোন ছার !!!

লিখেছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী জোবেদ মোরশেদ। 

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন