জেলা পর্যায়ে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির কথা চিন্তা করতে হবে -রাজিব আহমেদ

-রাজিব আহমেদ, সাবেক ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ই-ক্যাব

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশান অব বাংলাদেশ ই-ক্যাবের ঘোষণা দেয়া হয় ২০১৪ সালের ৮ নভেম্বর এবং এই দিনটিকে ই-ক্যাব তার জন্মদিন হিসেবে পালন করে। প্রায় ৮ বছর হয়ে গেছে। ৮ বছর খুব লম্বা সময় না হলেও বাংলাদেশে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির প্রসার অনেক বেশি ঘটেছে এত অল্প সময়ের মধ্যে। এখন সময় হয়েছে জেলা ভিত্তিক ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কাজ করার। ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য অল্প সময়ে অনেক কমার ফলে এখন আমদানি কমানোর দিকে সরকারকে চিন্তা করতে হচ্ছে। -রাজিব আহমেদ, সাবেক ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ই-ক্যাব

আর ডলার নিয়ে এই সংকট দেশি পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির জন্য বিশাল সুযোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে। ২০২০ সালে করোনার সময়ে অন্য সব দিকে জীবন থমকে গেলেও ই-কমার্সের প্রসার ঘটে অনেক। ঠিক তেমনি এখন ডলারের সংকটের সময় জেলা ভিত্তিক ই-কমার্স এর প্রসার নিয়ে কাজ করার সময় এসেছে।

আমাদের দেশের প্রতিটি জেলাতে কিছু বিখ্যাত পণ্য উৎপাদিত হয়। এসব পণ্য নির্দিষ্ট জেলার বাইরে সারা দেশে ছড়িয়ে দেবার এক মাত্র উপায় হল ই-কমার্সের প্রসার ঘটানো। আমদানি বিকল্প অনেক পণ্য রয়েছে  বিভিন্ন জেলাতে যা আমরা তেমন জানি না। তাই প্রথম ধাপে আসলে দরকার জেলা পণ্য নিয়ে অনলাইনে যারা কাজ করছে তাদের ডিরেক্টরি বা তালিকা।

জেলা ভিত্তিক ই-কমার্স এর শুরুটা সহজ হবে না। কারন এদিকে এখনো আমরা চিন্তা করছি না। ডলারের সংকট সমাধানে যে জেলা পণ্য, জেলা ভিত্তিক ই-কমার্স আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে ব্যপক অবদান রাখতে পারে সে সম্পর্কেও তেমন চিন্তা ভাবনা নেই আমাদের।

দেশের বিভিন্ন জেলাতে উৎপাদিত তাতের পোশাক, হস্তশিল্প, বিখ্যাত খাবার আর মিষ্টি- এসবকে সারা দেশের মানুষের মাঝে প্রচার করতে পারলে সেগুলোর বিক্রি বাড়বে এবং জিডিপি বৃদ্ধিতে তা সরাসরি অবদান রাখবে।

৮ বছর আগে যখন ই-ক্যাবের যাত্রা শুরু হয় তখন বেশির ভাগ জেলাতে জেলা পণ্য নিয়ে কাজ করছেন এমন উদ্যোক্তা ছিল না। এখন শুধু জেলা নয় বরং উপজেলা পর্যায়েও একাধিক উদ্যোক্তা রয়েছে। তাদের অনেকেই হয়তো শুধু ফেইসবুকে পেইজ খুলে কাজ করছে কিন্তু জেলা পণ্যকে তুলে ধরার ব্যপারে তারা বড় বড় কোম্পানি গুলোর থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে যার আর্থিক মূল্য তেমন না হলেও দেশি পণ্যকে এগিয়ে নেবার ব্যপারে ভিত তৈরির মূল্য আসলেই অনেক।

জেলা ভিত্তিক ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি ভিত তৈরি করাটা প্রথম দিকে অনেক কঠিন হবে কিন্তু তা করতে পারে দেশের অর্থনীতির জন্য দীর্ঘ মেয়াদে অনেক সুফল নিয়ে আসবে। তাই এখন জেলা ভিত্তিক উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, প্রচার, আর্থিক অনুদান এসবে আমরা যত বেশি পরিমানে বিনিয়োগ করবো তার অনেক গুণ ফেরত আসবে দেশের অর্থনীতিতে।

ডলারের মূল্য নিয়ে সংকট আমাদের এখন নানা দিকে চিন্তা করতে বাধ্য করছে। বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোর নানা উপায় আমরা খুঁজছি। আমদানি কমানোর একটাই উপায় আসলে- নিজের দেশের পণ্যের ব্যবহার বাড়ানো। আর তা করতে চাইলে জেলা ভিত্তিক ই-কমার্স খুব ভাল ভূমিকা ভাল রাখতে পারে।

১টি মন্তব্য

  1. ভাবতে খুব ভালো লাগছে যে, আমি এতকিছু না ভেবেই উদ্যোগ শুরু করেছিলাম শুধু মাত্র সাতক্ষীরা জেলা পণ্য নিয়ে। এখন মনে হচ্ছে অনেক ভালো সিদ্ধান্ত ছিল সেটা। আমার উদ্যোগের সকল পণ্য আমার জেলা সাতক্ষীরার।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন