টেকভিশন২৪.কম–এর নিয়মিত আয়োজন ‘টেক ইন্টারভিউ’। তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক ব্যবসা, সফলতা-ব্যর্থতা এবং অনুপ্রেরণামূলক নানা বিষয় নিয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্যক্তির সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয় এ বিভাগে।
এবারের আয়োজনের অতিথি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এবং অপটিম্যাক্স কমিউনিকেশন লিমিটেড-এর পরিচালক এবং প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) ইমদাদুল হক। দেশে র ইন্টারনেট ও যোগাযোগ–ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা ও করণীয়সহ এ খাতের ব্যবসায়িক পরিস্থিতি ও সম্ভাবনার নানা দিক নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন টেকভিশন২৪.কম নিউজ পোর্টালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. গোলাম দাস্তগীর তৌহিদ।
টিভি২৪: আইএসপিএবির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের উন্নয়নে আপনি কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?
ইমদাদুল হক: ধন্যবাদ। আইএসপিএবি গঠিত হয়েছে ১৯৯৮ সালে, ২০০১ সাল থেকে ডিটিও থেকে ‘অ্যাসোসিয়েশন’ অনুমোদন পেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সভাপতি হওয়ার আগে চারবার আমি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলাম। কোনো পদ–পদবী থাকার পূর্বেই আমি অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে কাজ করতাম। তারই ধারাবাহিকতায় সভাপতি হওয়ার পর দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। এই দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত ‘এক দেশ, এক রেট’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। এবং লাইসেন্স আইএসপি ও আমাদের সদস্য আইএসপি যারা আছে প্রত্যেককে ‘এক দেশ, এক রেট’ নীতির আওতায় নিয়ে এসেছি, যাতে জনগণের জন্য সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট নিশ্চিত করা যায়৷ কোনো জায়গা থেকে যদি এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসে, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সেটার সমাধান করে দিই। কিছু কিছু জায়গার সমস্যা আছে—তা অস্বীকার করব না। দেখবেন, কিছু কিছু এলাকায় ব্রডব্যান্ড সংযোগ পরিচালনাকারীরা পেশিশক্তি ও ক্ষমতার ব্যবহার করে। ব্যক্তিগত আধিপত্যের কারণে নিজের স্বার্থে তারা অন্য অপারেটরদের কাজ পরিচালনা করতে দেয় না। তারা সেখানে একচেটিয়া ব্যবসা পরিচালনা করতে চায়। ফলে নিম্নমানের সেবা দিলেও গ্রাহকদের বিকল্প উপায় থাকে না। এ ধরনের সমস্যা সারাদেশেই কমবেশি আছে। আমরা এখন এই সমস্যার সমাধানে কাজ করছি।
টিভি২৪: বাংলাদেশে বর্তমানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মার্কেট–সাইজ কেমন?
ইমদাদুল হক: বর্তমানে বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের চাহিদা ৬ কোটি, কিন্তু আমরা দেড় কোটি সংযোগ সম্পন্ন করতে পেরেছি। একটি সংযোগ গড়ে চার জন ব্যবহার করে অর্থাৎ আমরা ছয় কোটি মানুষের কাছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছাতে পেরেছি। এভাবে ১৬-১৭ কোটি মানুষ বা জনসংখ্যার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশর কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন প্রজেক্ট বা বিভিন্ন আইডিয়া দিয়ে সরকারের সহযোগিতায় আমরা চাচ্ছি, যেন দ্রুত ৬ কোটি সংযোগে পৌছাতে পারি। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে হলে এই ৬ কোটি সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ ২০৪১ সালের মধ্যে এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।
টিভি২৪: আপনি তো বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে ইন্টারনেট ব্যবহারের গতি ও বাংলাদেশের ইন্টারনেটের গতি ও দামের মধ্যে কেমন পার্থক্য রয়েছে?
ইমদাদুল হক: প্রথমেই বলতে পারি, পৃথিবীর যেকোনো দেশের ব্রডব্যান্ড সংযোগ তথা ইন্টারনেটের দামের থেকে আমাদের দেশের দাম কম। তবে, মান এবং সেবার উন্নয়ন বিষয়ে আমাদের কিছু বাধা রয়েছে। বাধাগুলো দূর করতে পারলে আমার মনে হয় পৃথিবীর যেকোনো দেশ থেকে আমরা এগিয়ে যাব। মান ও মূল্যের সমন্বিত সেবার দিকে আমরা নজর দিচ্ছি। ইন্টারনেটের মান বৃদ্ধিতে সর্বপ্রথম আমাদের ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করতে হবে। বর্তমানে তিনটি প্রাইভেট অপারেটর কোম্পানি ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করছে। সভাপতি হিসেবে আমি মনে করি, আরো কিছু প্রাইভেট অপারেটর এ বিষয়ে কাজ করা উচিত। কোনো কারণে যদি দেশব্যাপী ন্যাশনওয়াইড লাইসেন্স না–ও দেওয়া যায়, তবে বিভাগীয় লাইসেন্সের মাধ্যমে কাজ করা উচিত। দ্বিতীয়ত, অ্যাকটিভ শেয়ারিংয়ের অনুমতি দেওয়া উচিত মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসি থেকে। এই দুটি বিষয় যদি উন্নত করা যায়, পরে আরো কিছু ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক অপারেটর লাইসেন্স দেওয়া উচিত। লাইসেন্সের কথা আমি এ কারণে বলছি, গ্রামাঞ্চলের ইউনিয়নগুলোতে একটির বেশি অপারেটরের কাজ পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। সারা বাংলাদেশকে আমরা যদি দুটি ভাগে ভাগ করি, সেখানে এক ভাগে একটি অপারেটরই রয়েছে। প্রতিটি জায়গায় একটির বেশি অপারেটর নেই। সেখানে সরকারেরও বিভিন্ন প্রজেক্টের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু সরকারি প্রজেক্ট হওয়ায় যে সুলভ মূল্যে পাওয়ার কথা—তা আমরা পাচ্ছি না। এর ফলে আমাদের অনেককেই বিকল্প পন্থা অবলম্বন করতে হচ্ছে। আমাকে বলছেন, ৫০০ টাকায় ব্রডব্যান্ড সংযোগ গ্রাহকের দোড়গোড়ায় পৌঁছাতে কিন্তু তার পাশাপাশি যদি বলেন যে আমাকে আন্ডারগ্রাউন্ড সংযোগের মাধ্যমে ৫০০ টাকার মধ্যে সংযোগ গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে হবে, তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। দেখা যাবে, ওই ৫০০ টাকার সংযোগ এক হাজার বা দেড় হাজার টাকায় পৌঁছাবে। যার কারণে আমি বলব, যদি ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কে আমরা প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করতে পারি, তখন আমরা জনগণকে মানসম্পন্ন সেবা দিতে পারব। এটা ছাড়া একচেটিয়া ব্যবসা কমানো সম্ভব নয়। যদিও তিনটি অপারেটর এই কাজ করছে, তবে আপনি দেখবেন, একটি অপারেটরের লাইসেন্স হয়েছে দুই বছর আগে। তারা মাত্র ৫ শতাংশ অঞ্চল নিয়ে তাদের অপারেটর মাত্র শুরু করেছে। বাকি দুটি অপারেটর অলিখিত চুক্তির মাধ্যমে শুধু নিজ নিজ অঞ্চলেই সেবা দিচ্ছে। এই দুটি অপারেটর যেহেতু সব ইউনিয়নে পৌঁছাতে পেরেছে, তাই আমি বলব তারা প্রায় ৫০ শতাংশ অঞ্চলের সেবা দিতে পারছে। বেশিরভাগ জায়গায় তারা ওভারহেড সংযোগ দিয়েছে। ভৌগোলিক ও নানারকম বাধার কারণে গ্রামাঞ্চলে সব জায়গায় আন্ডারগ্রাউন্ড সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। অধিক মূল্যের কারণে তারা আন্ডারগ্রাউন্ড সংযোগ দিতে পারছে না। যদিও তাদের লাইসেন্সে ওভারহেড সংযোগ দেয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সংযোগ দিতে হয়েছে।
টিভি২৪: বাংলাদেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্টের দিকে যাচ্ছে। এই যাত্রায় ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট দুনিয়ায় নিরাপদ রাখতে আমাদের সক্ষমতা বর্তমানে কোন পর্যায়ে রয়েছে?
ইমদাদুল হক: সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে, এক্ষেত্রে আমাদের অনেক দুর্বলতা আছে। এই জায়গাটাতে আমাদের সরকারি সংস্থা বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান—কেউই তেমন একটা নজর দিচ্ছে না। আমাদের বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে নানা রকমের তথ্য থাকে। এসব তথ্য নিশ্চিত নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ বা ব্যবস্থা নিতে হবে, সেসব জায়গায় আমাদের ব্যবসায়ীরা কেন যেন উদাসীন। সেই উদাসীনতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে৷ উন্নত দেশগুলোতে তথ্য নিরাপত্তার জন্য তারা দক্ষ জনবল তৈরি ও ব্যবহার করে। কিন্তু আমাদের দেশে এসব দক্ষ জনবলের সংখ্যা কম, তার ওপর যারা আছে, সঠিক মূল্যায়নের অভাবে তারাও দেশত্যাগ করছে। তাই সরকারকে এ বিষয়ে এগিয়ে এসে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এগিয়ে আসবে। ইন্টারনেটে তথ্য নিরাপত্তাবিষয়ক একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকারের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে হবে। কারণ জনগণের সব তথ্য সরকারের কাছেই থাকে। এই তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের একান্ত কর্তব্য।
টিভি২৪: নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে অফিস, বাসা–বাড়ি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আপনাদের সংগঠন এবং সরকারের পক্ষ থেকে কী কী উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছেন?
ইমদাদুল হক: সরকারের নেয়া উদ্যোগগুলোকে আমি ব্যক্তিগতভাবে সাধুবাদ জানাই। কারণ একটি আইন তৈরি করেছে। এ বিষয়ে কোনো আইনই ছিল না একসময়। আমাদের প্রিয় মোস্তাফা জব্বার ভাই মন্ত্রী হওয়ার পরপরই এ কাজে হাত দিয়েছেন। তখন তিনি অপারেটরকে বাধ্য করেছেন ‘প্যারেন্টাল কন্ট্রোল’ সার্ভিস চালু করতে। এই জায়গায় আমাদের সাধারণ জনগণকেও সচেতন হতে হবে। অভিভাবকদের এ সার্ভিস অপারেটরের কাছ থেকে চেয়ে নিতে হবে। যদি না পান তাহলে অভিযোগ করতে হবে। সাইবার সিকিউরিটি মূলত বেশি প্রয়োজন অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তান, শিশু এবং মেয়েদের জন্য। এসব বিষয়ে সবার সচেতনতা দরকার। সরকারি উদ্যোগে স্বচ্ছতা বাড়াতে হবে এবং বাবা-মা ও জনগণকে নিজে সচেতন থাকতে হবে। তা নাহলে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিতকরণ কঠিন হয়ে পড়বে। জনগণ যদি এগিয়ে না আসে তাহলে অপারেটররা নিজ থেকে এ সেবা দেবে না।
টিভি২৪: আমাদের সাবমেরিন কেবল ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে আমরা কী কী সুবিধা পাচ্ছি?
ইমদাদুল হক: আমাদের সাবমেরিন কেব্ল বর্তমানে দুটি। SEA-ME-WE4 ও SEA-ME -WE5.। এর পাশাপাশি আমাদের স্যাটেলাইটও আছে। আর এগুলো ছাড়া আইটিসির মাধ্যমে কিছু ব্যান্ডউইথ আসে ইন্ডিয়া থেকে, যা আমাদের ব্যাকআপ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আইটিসির মাধ্যমে পাওয়া ব্যান্ডউইথ আমাদের প্রাইমারি ব্যান্ডউইথ হয়ে গেছে। আমি বলব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ে কিছু ঘাটতি আছে। আমরা ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ ইন্ডিয়া থেকে আমদানি করি। কিন্তু সাবমেরিনে আরো অনেক সক্ষমতা আছে। এই জায়গায় সরকারের নজর দেয়া উচিত। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কিছু সংযোগ স্থাপন করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। যা খুবই ভালো বলে আমি মনে করি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আমাদের গর্বের বিষয়। এর মাধ্যমে আমরা উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারি। স্যাটেলাইটের আরো বেশি ব্যবহার আমরা আশা করছি।
টিভি২৪: দেশে মাসিক ব্রান্ডউইথ ব্যবহারের পরিমান কত জিবিপিএস? এবং এই ব্রান্ডউইথ কোন কোন মাধ্যম থেকে আসে?
ইমদাদুল হক: আমাদের মাসিক ব্রান্ডউইথ ব্যবহার হয় প্রায় ৫ হাজার জিবিপিএস, এর মধ্যে আইটিসি থেকে ৬০ শতাংশ এবং সাবমেরিন থেকে ৪০ শতাংশ। এই ৫ হাজার জিবিপিএস ইন্টারনেট আমাদের ব্রডব্যান্ড অপারেটরদের মাধ্যমে ৬০ শতাংশ এবং মোবাইল অপারেটর থেকে ৪০ শতাংশ ইন্টারনেট প্রতি মাসের কনজাম্পশন হচ্ছে।
টিভি২৪: আপনাদের সংগঠনের সদস্যদের উন্নয়ন ও দেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে কী কী কাজ করছেন?
ইমদাদুল হক: আমাদের সদস্যদের জন্য আমরা প্রচুর ট্রেনিং প্রোগ্রামের আয়োজন করি। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণার বিষয়েও আমরা নানান ট্রেনিং আয়োজন করি। সরকারি বিভিন্ন নিয়ম-নীতি যাতে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের পক্ষে থাকে সে বিষয়ে আমরা কাজ করি। তাছাড়া আমাদের আরো একটি বড় কাজ হলো, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা যাতে জনগণকে সঠিক সেবা দিতে পারে তা নিশ্চিত করা। এছাড়া, সংগঠনের সদস্যদের কাছে আমার নির্বাচনী ওয়াদা ছিলো সভাপতি নির্বাচিত হলে সংগঠনের জন্য একটা স্থায়ী অফিসের ব্যবস্থা করা। অবশেষে, সম্প্রতি আমরা প্রায় ১০ হাজার স্কায়ার ফিটের রুফটপ সহ একটা অফিস স্পেস বুকিং দিয়েছি। আশা করছি এবছরের মধ্যেই স্থায়ী অফিসের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। সামনের দিনে এই অফিসেই আমাদের সকল ধরনের ট্রেনিং সহ, সকল সদস্যদের জন্য সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রাখা সম্ভব হবে।
টিভি২৪: সবশেষে জানতে চাই, বাংলাদেশের প্রযুক্তিভিত্তিক মিডিয়াগুলোকে এগিয়ে যেতে হলে কোন কোন বিষয়গুলোর ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত বলে মনে করেন?
ইমদাদুল হক: সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে, আমাদের মিডিয়াগুলো ভালো কাজ করছে। এখন আর পত্রিকা বা টেলিভিশনের মাধ্যমে খবর জানা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। এখন দেখা যায়, যখন আমরা অবসর সময় গাড়িয়ে বা অন্যান্য জায়গায় থাকি তখনই মোবাইলেই খবর দেখে নেই। সেই জায়গায় আপনারা কাজ করছেন। প্রযুক্তির উন্নয়নে যেকোনো বিষয়ে খবর খুবই অল্প সময়ে পাওয়া যায়। আগে যে খবর পেতে এক–দুদিন লেগে যেত তা এখন আমরা অনলাইনের মাধ্যমে মুহূর্তেই পেয়ে যাই। আপনাদের এই অবদানের মাধ্যমে দেশ উন্নত হচ্ছে, জনগণ উপকৃত হচ্ছে। আমি আশা করব, আপনারা সঠিক তথ্য সবার কাছে পৌঁছে দেবেন। তাহলে দল–মত নির্বিশেষে সবাই উপকৃত হবে। দেশ ও জাতির আরো সামনে এগিয়ে যাবে।
টিভি২৪: আপনাকে ধন্যবাদ।
ইমদাদুল হক: আপনাকে এবং পাঠকদেরও ধন্যবাদ।