টেকভিশন২৪ ডেস্ক: ডেটার বিশ্বাসযোগ্যতা, হস্তান্তরযোগ্যতা, বিভ্রান্তি দূরীকরণ ও অবাধ ব্যবহার নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে ডেটাফুল। পাশাপাশি সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন ডেটা সহজে পাবার ক্ষেত্রে জনগণের জটিলতা নিরসন করবে।
চাওয়া-মাত্র-ব্যবহারপোযোগী বাংলাদেশি উন্মুক্ত ডেটার ওয়েব প্ল্যাফর্ম ডেটাফুলের উদ্বোধনে এ আশা প্রকাশ করেছেন অতিথিরা। শনিবার বিকাল ৪টায় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে জুমে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বর্তমান যুগ তথ্যের যুগ- এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “তথ্যের সঠিক উপস্থাপন বিভ্রান্তি দূর করে। তথ্যর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা দরকার।” “তথ্যর অবাধ ব্যবহার নিশ্চিত করে আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে, যা নিশ্চিতে ডেটাফুল ভূমিকা রাখতে পারবে,” যোগ করেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাবেক মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আআমস আরেফিন সিদ্দিক।
তিনি বলেন, “ডেটাফুলের শুরু থেকেই পাশে ছিলাম। সৃজনশীলতা, চিন্তাচেতনার বিকাশে বিভিন্ন ধরনের ডেটার প্রয়োজন রয়েছে। ডেটা দেশের সম্পদ। ডেটা হচ্ছে পরিকল্পনার কাঁচামাল। ডেটাফুলের এই তথ্য সরকারকে সহায়তা করবে।” পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাবেক মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন বলেন, “পরিসংখ্যান ব্যুরোর বিভিন্ন তথ্য জনগনের কাছে পৌঁছাতে ডেটাফুল ভূমিকা রাখবে।
ডেটা সংস্কৃতি আমাদের মাঝে তেমনভাবে গড়ে ওঠেনি। ডেটার বিভ্রান্তি দূর করে জনগণের কাছে সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারলেই ডেটফুলের লক্ষ্য সার্থক হবে।”
ডেটাফুলের উদ্যোক্তা পলাশ দত্ত বলেন, “ডেটাফুলের মূল লক্ষ্য হল সরকারি বিভিন্ন ডেটার হস্তান্তরযোগ্যতা তৈরি করা। যা বিভিন্ন গবেষণা ও সিধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কাজে আসবে।” অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আশফাকুর রহমান।