ডিজিটাল নথির যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ: প্রতিমন্ত্রী পলক

গোলাম দাস্তগীর তৌহিদ: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এবং ইউএনডিপি এর সহায়তায় পরিচালিত অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রামের আয়োজনে বাংলাদেশ সরকারের ২৮ জন মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীদের একান্ত সচিবগণের অংশগ্রহণে ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ অনলাইনে ‘ই-নথি বিষয়ক কর্মশালা’ আয়োজন করা হয়েছে।

অনলাইন প্লাটফর্মে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনা‌ইদ আহ্‌মেদ পলক, এমপি কর্মশালার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মোঃ আব্দুল মান্নান পিএএ এর সভাপতিত্বে ও ন্যাশনাল কনসালটেন্ট (সিনিয়র সহকারি সচিব) মিজ নিলুফা ইয়াসমিন এর পরিচালনায় কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে যুক্ত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব ও এটুআই-এর যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর এবং ও নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান।

কর্মশালার উদ্বোধনের সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনা‌ইদ আহ্‌মেদ পলক, এমপি বলেন, “ডিজিটাল সেবা জনগণের হাতের মুঠোয় এনে দিতে বর্তমানে ৮,২৩৪টি সরকারি অফিসে ই-নথি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সারাদেশের ১৮ হাজার উপজেলা অফিস এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের ৪০ হাজারের অধিক অফিসকেও উচ্চগতির ইন্টারনেটের অধীনে আনা হচ্ছে। এসব অফিসকেও ই-নথি ব্যবহারের অধীনে আনতে কাজ শুরু করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ”।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “একইসঙ্গে লালফিতার দৌরাত্মকে জাদুঘরে পাঠিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশে জনবান্ধব প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ই-নথি থেকে ডি-নথি (ডিজিটাল নথি) যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।”

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব তরঙ্গের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে এবং কোভিড-১৯ এর অপ্রত্যাশিত অবস্থা মোকাবেলায় গত পাঁচ মাসে আমাদের মধ্যে ই-নথি ব্যবহারে যে সক্ষমতা তৈরি হয়েছে তা থেকে আরো একটি নতুন সংস্করণে যেতে যাই। যেখানে অডিও-ভিজ্যুয়াল কল, ক্যালেন্ডার, রিমাইন্ডার, ওসিআর, টেক্সট টু স্পিচ, স্পিচ টু টেক্সট, এআই প্রযুক্তি সমন্বয় ঘটিয়ে ডি-নথি চালু করা হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে দাপ্তরিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতেই এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিগত ১১ বছরের অর্জনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে জনগণকে সেবা দেওয়ার পাশাপাশি ৬০০ এর অধিক সেবা অনলাইনে নিয়ে আসা এবং ৪৩ হাজার ওয়েবসাইট সকল সরকারি অফিসের জন্য তৈরি করা-এমন প্রত্যেকটি ডিজিটাল কার্যক্রম বাস্তবায়নে সরকারি কর্মকর্তাগণ সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে যাওয়া মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান প্রতিমন্ত্রী।

উক্ত কর্মশালায় মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মহোদয়গণের জন্য সার-সংক্ষেপ, ই-সাইন, ই-নথির নতুন সংযোজিত বৈশিষ্ট্যসমূহ এবং ই-নথির নতুন ভার্সন সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। দুই পর্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালাটির সমাপনী অধিবেশনের প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন