স্টার্টআপ চট্টগ্রাম ইনকিউবেশন প্রোগ্রামের কার্যক্রমের শুরু

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা।

টেকভিশন ডেস্ক: টেকনোলজি বিষয়ক উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবকদের উদ্দেশ্যে প্রথমবারের মত বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ১০ই অক্টোবর ২০২০ শনিবার “ফর অ্যাসপায়ারিং টেকনোপ্রিনিউরস্ অ্যান্ড ইনোভেটরস্” স্লোগান নিয়ে “স্টার্টআপ চট্টগ্রাম ইনকিউবেশন” বিষয়ক একটি অনুষ্ঠান রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ-তে আয়োজিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক। এছাড়া, উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের সিনিয়র পরামর্শক আর এইচ এম আলাওল কবির এবং চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি ও চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি হতে বিভিন্ন পরিচালকগণ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, “চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য যুবসমাজকে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে।” মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা- এর স্বপ্নের “ডিজিটাল বাংলাদেশ” বিনির্মানে নিজেদেরকে নতুনত্ব এবং উৎপাদনশীলতার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। এছাড়াও তিনি, নলেজ বেইজড ইকোনমি গড়ে তুলতে তরুণদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক স্টার্টআপ চট্টগ্রামের এ ধরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি সকল স্টার্টআপদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে ব্যবসায়ের উন্নয়নের মাধ্যমে একজন সফল উদ্যোক্তায় পরিণত হবার জন্য অনুপ্রাণিত করেন।

“স্টার্টআপ চট্টগ্রাম ইনকিউবেশন” হল ৫০ দিনের একটি শিক্ষামূলক কর্মশালা যেখানে বাছাইকৃত স্টার্টআপদের বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে পিচ ডেক বানানো, নেটওয়ার্কিং, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সেলস্ এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন, ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং এবং ব্র্যান্ডিং, আইনি সহায়তা, বিজনেস মডেল ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে যা স্টার্টআপদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। উল্লেখ্য, এই প্রশিক্ষণ শেষে স্টার্টআপগুলো বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে আইডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা প্রি-সীড গ্র্যান্টের জন্য আবেদন করতে সক্ষম হবে এবং সরাসরি প্রকল্পের সিলেকশন কমিটির সামনে প্রি-সীড গ্র্যান্টের জন্য পিচিং করার সুযোগ পাবে। স্টার্টআপ চট্টগ্রাম ইনকিউবেটর প্রোগ্রামের মাধ্যমে মোট ১৬০ টি স্টার্টআপ আইডিয়ার মধ্য থেকে ২০ টি স্টার্টআপ নির্বাচন করা হয়।

এই আয়োজনের পার্টনার হিসেবে সহোযোগিতা করেছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (আইডিয়া) এবং লাইফ কোচ বাংলাদেশ।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন