গ্রহণযোগ্য ইন্টারনেট সেবার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছে আইসিটিডি : পলক

পলক
ছবিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সহ অন্যরা।

নিরাপদ ইন্টারনেটের জন্য ডিজিটাল লিটারেসি প্রয়োজন। ভাবিয়া করিও ক্লিক ,করিয়া ভাবিওনা। সত্য মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেট শেয়ার পরে। ইন্টারনেটে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরাধ বৃদ্ধির কারন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে যে সকল তথ্যঃ

১) ইন্টারনেটের অসতর্কতার জন্য ঝুঁকি বেড়েছে ।

২) পিতামাতার কন্ট্রোল ক্ষমতা নেই সন্তানদের উপর এবং কন্ট্রোল করতেই শিখেনাই ৮০% মাতাপিতা ।

৩) সোশ্যাল মিডিয়া এবং গেইম আসক্তি ৯৯% কিশোর, শিশু , তরুন ও প্রাপ্ত বয়স্কদের ।

৪) পর্নগ্রাফি আসক্তি কিশোর- কিশোরীর এবং স্কুল -কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্য অনেক বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে ।

৫)সাইবার বুলিং হ্যারেজমেন্ট , ব্লাক্মেইলিং , ছদ্মনাম , ভুয়া ও ফেইক আইডি ও ঠিকানা  অনেক বড় একটি সমস্যা ।

৬) ৮০% ইন্টারনেট ব্যাবহারকারী সাইবার ক্রাইমের শিকার ।

৭) ছবি এডিট করে ফেইক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আত্মহত্যা পর্যন্ত করছে ।

৮) পৃথিবীতে যেমন ভাইরাস ও শত্রু আছে ডিজিটাল দুনিয়াতেও ভাইরাস আছে শত্রু আছে ।

৯) রবি তে মোট ৩ লাখ রিটেলর বা গ্রাহক আছেন , মোবাইল গ্রাহক ১৮ কোটি , গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন ,বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি এবং মোট জনসংখ্যার ৬২% ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। ৯৩.৭০২ মিলিয়ন। তারা কোথাও না কোথাও হয়রানির শিকার হচ্ছেন ।

১০) ১০ লাখ শিক্ষার্থী ইন্টারনেট ব্যাবহারকারী , লকডাউনে বৃদ্ধি পেয়ে মোট ১১ লাখ এখন ইন্টারনেট ব্যাবহারকারী শিক্ষার্থী ।

১১) সোশ্যাল মিডিয়ায় গালিগালাজ করছে ৫০% থেকে ৭৮% ইন্টারনেট ব্যাবহারকারী ।

১২) সেইফ ইন্টারনেট ও ডাইভারসেশন দরকার ।

১৩) সারে ৪ লাখ শিশুদের গেইমস খেলার জন্য সাইবার ক্যাফে নিয়ে যাচ্ছে অবিভাবকগন ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ডিজিটাল স্পেসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন বাংলাদেশের তরুণরা শুধু বাংলাদেশের সাইবার স্পেস নয়, সারা বিশ্বের ডিজিটাল স্পেস নিরাপদ রাখতে সাহসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। প্রতিমন্ত্রী ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২খ্রি.বিসিসি অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের উদ্যোগে ‘নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস ২০২২’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের বক্তৃব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের ডিজিটাল লিটেরেসি সেন্টারের প্রকল্প পরিচালক সাইফুল আলম খান।  প্রতিমন্ত্রী বলেন দেশের অনেক তরুণ উদ্যোক্তা ইন্টারনেটের শক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে নিজেদের আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে পরিবারে স্বচ্ছলতা আনার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে ডিজিটাল অর্থনীতি হিসেবে গড়ে তুলেছে। তাই তাদের মতামত, পরামর্শ ও সুপারিশগুলো আমাদের কর্মকান্ডে যেন প্রতিফলিত হতে পারে সে  লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।

এর আগে ‘নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস ২০২২’ উপলক্ষ্যে প্যানেল আলোচনায় ইউএনডিপি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ মুখার্জী, গ্রামীণফোনের এমডি ইয়াসির আজমাম, বেসিস এর সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, রবি’র পরিচালক শাহেদ আলম, ইউনিসেফ এর চাইল্ড প্রোটেকশন স্পেশালিস্ট মনিরা হাসান, সিসিমপুর এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম অংশগ্রহণ করেন। পরে প্রতিমন্ত্রী www.digitalliteracy.gov.bd  ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। –আফরোজা সুলতানা

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন