লবন পানিতে জ্বলবে বাতি, চার্জ করা যাবে মোবাইলও!

বাতি

টেকভিশন২৪ ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: বিদ্যুতের বাতি জ্বলবে, তবে মেটাতে হবে না বিদ্যুৎ বিল। লোডশেডিংয়েরও বালাই নেই। সাগরের লবন-পানিতেই জ্বলে উঠবে বাতি। একবারের লবন-পানিতে আলো দেবে টানা ৪৫ দিন। এমনই খরচ বাঁচানো লণ্ঠন আবিষ্কার করেছে দক্ষিণ আমেরিকার গবেষকরা। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওয়াটারলাইট’। খবর ফাস্ট কোম্পানি ডটকম।

শুধু কি আলোই দেবে! লণ্ঠনের সঙ্গে ইউএসবি পোর্টও বসানো রয়েছে। এতে সহজেই চার্জ করা যাবে হাতের মোবাইল ফোনটিও। চালানো যাবে মিনি রেডিও। ওয়াটারলাইট লণ্ঠনটি উৎপাদন করেছে কলম্বিয়ার পুনঃনবায়নকৃত জ্বালানি স্টার্টআপ ই-ডিনা। বাতিটির ডিজাইন করেছে ক্রিয়েটিভ সংস্থা ওয়ান্ডারম্যান থম্পসন কলম্বিয়া।

ওয়াটারলাইট একটি লণ্ঠন বা হাতে ধরার বাতি। এটি বহিরাংশ কাঠের চৌঙ্গাকৃতির, নিচের অংশে রয়েছে এলইডি বাল্ব। এই বাতির একমাত্র জ্বালানি সাগরের লবনাক্ত পানি। লবন ও পানির মিশ্রন হলেও চলে। ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে ৫০০ মিলি অর্থাৎ দুই কাপ লবনাক্ত পানিতে বাতি জ্বলবে অন্তত দেড় মাস।

তবে এতেই শেষ নয়, এক-দেড় মাস আলো দেওয়ার পর ওয়াটারলাইটের পানি ও লবন আলাদা হয়ে যাবে। সেই পানি ব্যবহার করা যাবে রান্নায়। ব্যবহার করা যাবে লবনও।

কীভাবে কাজ করে এই লণ্ঠন? সংশ্লিষ্ঠরা জানান, এই লাইটটি সাধারণত আয়োনাইজেশন পদ্ধতিতে বিদ্যুত তৈরি করে। লণ্ঠনের ভেতরে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও তামার প্লেট। এর সঙ্গে লবনাক্ত পানির বিক্রিয়া ঘটে উৎপাদিত হয় বিদ্যুৎ। তাতে জ্বলে ওঠে লাইট। একটি ওয়াটারলাইট দুই থেকে তিন বছর পর্যন্ত সার্ভিস দেবে।

দক্ষিণ আমেরিকার দুর্গম দ্বীপাঞ্চল ও বিচ্ছিন্ন এলাকার দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করেই বানানো হয়েছে এমন অর্থসাশ্রয়ী লণ্ঠন। বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলবর্তী মানুষ বা মাছ ধরার জেলেদের জন্য খুবই উপকারী। স্টার্টআপ ই-ডিনা চিন্তা করছে, বাতিটিকে স্বল্প দামেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন