বাজেটে আমদানি ব্যয় না কমালে মানুষ রিফারবিশড পণ্য ব্যবহারের দিকে ঝুকবে

স্টারটেক
মোঃ রাশেদ আলী ভূঁইয়া, চেয়ারম্যান স্টারটেক এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।

আসন্ন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে কম্পিউটার সেক্টর নিয়ে টেকভিশন২৪.কম-এর সাথে কথা বলেছেন স্টারটেক এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সহ-সভাপতি রাশেদ আলী ভূঁইয়া। 

—————————————

আসন্ন বাজেটে দেশের কম্পিউটার সেক্টর নিয়ে সরকারের কাছে আপনার কি প্রত্যাশা?

রাশেদ ভূঁইয়া: আসন্ন বাজেটে সরকারের কাছে প্রত্যাশা সরকার যেন ডিজিটাল টেকনোলজির যুগে দেশকে টেকনোলজিক্যালি এগিয়ে নিতে আরো বেশি সাহায্য করে। সরকার যদি বাজেটে কম্পিউটার এ কোনো রুপ কাস্টম ডিউটি, ট্যাক্স ও ভ্যাট বসায় তাহলে আমরা প্রযুক্তির দিক থেকে পিছিয়ে যাবো। তরুণ সমাজে যে আউটেসোর্সিং এর বিপ্লব হয়েছে বাজেটে যদি কম্পিউটারে খরচ বাড়ে তাহলে এই সেক্টর বাধাগ্রস্থ হবে বলে আমি মনে করি। 

লোকাল ব্যবসায়ী হিসেবে এ সেক্টরের জন্য সরকারের আরো কি কি সহযোগিতা প্রয়োজন?

রাশেদ ভূঁইয়া: লোকাল ব্যবসায়ী হিসেবে সরকারের কাছে আবেদন, সরকার যেন কম্পিউটার সেক্টরের জন্য এলসি মার্জিন ও সুদের হার কমায়। এবং সকল উচ্চ কর যুক্ত কম্পিউটার পণ্যগুলোর কর কমানোর ব্যবস্থা করেন।

বাজেটে গ্রাহক পর্যায়ে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে নাকি কমতে পারে?

রাশেদ ভূঁইয়া: মূল্য বাড়া বা কমা বাজেটের উপর নির্ভর করে। সরকার যদি আমদানি পর্যায়ে নতুন করে কিছু যুক্ত করে তাহলেও দাম বাড়তে পারে। কিন্তু বর্তমানে বিশ্ব মন্দা অর্থনীতির কারণে পণ্যের দাম ইতিমধ্যে বাড়ছে এবং ডলারের দাম বাড়ার কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে।

বাজেটে কম্পিউটার পণ্য সামগ্রী আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নাকি দেশে উৎপাদিত প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি লাভবান হবে?

রাশেদ ভূঁইয়া: বাজেটে নতুন খরচ বাড়লে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আমদনিকারকদের বেশি দামে এনে বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে। মানুষ রিফারবিশড পণ্য ব্যবহার করতে বাধ্য হবে। 

একজন অভিজ্ঞ ব্যবসায়ি হিসেবে দেশে উৎপাদিত কোম্পানি ও আমদানিকারক কোম্পানিগুলোর মধ্যে সমন্বয় নিয়ে আপনার কি মন্তব্য?

রাশেদ ভূঁইয়া: দেশে কম্পিউটার ডিভাইস পুরোপুরি ভাবে উৎপাদন করার জন্য এখনো তৈরি হয়নি। শুধু বাজেট দিয়ে এটা সম্ভবা না। এর জন্য আরো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়ন করতে হবে।  

প্রযুক্তিপণ্য বাংলাদেশের উৎপাদনের ক্ষেত্র হবে এটা যেমন সরকারের প্রত্যাশাতেমনি আমাদের ও প্রত্যাশা। প্রথম দিক থেকে আমদানিনির্ভর হয়েই প্রযুক্তি পণ্য বাজারজাত করছে। বর্তমানে অনেক আমদানিকারক উৎপাদনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ফিনিস প্রডাক্ট থেকে কাঁচা পণ্য আমদানি শুল্ক বেশি হওয়ার কারণে উৎপাদনকারীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এক্ষেত্রে আমি মনে করি বাংলাদেশ সরকারের নীতিনির্ধারকদের সাথে বাংলাদেশের প্রযুক্তি বিষয়ক একমাত্র সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির প্রতিনিধি এবং যারা উৎপাদনকারী ও আমদানিকারক তাদের আরো সমন্বয়ের প্রয়োজন।

তাহলেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনোনেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে উৎপাদনকারী দেশ হিসাবে আমরা আরও একধাপ এগিয়ে যাবো।

ডলারের মূল্য বৃদ্ধির ফলে প্রযুক্তিপণ্যের বাজারে কি কি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে?

রাশেদ ভূঁইয়া: ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক সমন্বয় করতে গিয়ে অতিরিক্ত মূল্য প্রদান করতে হচ্ছে এই কারণে পণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে।

এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে চিপসেটের মূল্য বৃদ্ধি এবং নৌ ও বিমান পথে পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে যন্ত্রাংশের মূল্য অনেক বেড়ে গেছে।

-জিডিটিএন/৯জুন/২২

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন