ফটোগ্রাফি আমার নেশা ও পেশা : সজল

টেকভিশন২৪ ডেস্ক:  পড়াশোনা শেষ করে অনেক তরুনরা এখন গতানুগতিক পেশার পেছনে না ছুটে সৃজনশীল পেশাকে বেছে নিচ্ছেন। এসব পেশায় নিজের দক্ষতার পাশাপাশি শৈল্পিক জ্ঞান থাকা অপরিহার্য। এ রকমই একটি পেশা ফটোগ্রাফি। বর্তমানে এই পেশার যথেষ্ট চাহিদাও রয়েছে।

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকা। নিউজ এজেন্সি, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও (এনজিও) রয়েছে আলোকচিত্রীদের (ফটোগ্রাফার) চাহিদা। ফলে তৈরি হচ্ছে আলোকচিত্রীদের কর্মসংস্থান। তা ছাড়া তথ্যচিত্র বানানো কিংবা ফ্রিল্যান্সার হিসেবেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

এমনটাই জানালেন ফটোগ্রাফার মির্জা সজল রায়হান। ২০০৩ থেকে নেশার মতো ছবি তুলতাম, যা পেতাম তার ছবি তুলতাম। আমার এ আগ্রহ দেখে মা এসএসসি পরীক্ষার পর একটা ইয়াশিকা ফিল্ম ক্যামেরা দেন। পরিবার আমাকে সবসময় সমর্থন দিয়েছে। আম্মু, আব্বু, বন্ধু, বড় ভাই, ভাবী, কলেজের স্যার ম্যাম সবাই প্রতিনিয়ত সাপোর্ট দিয়েছেন। মা এর কাছেই মূলত ফটোগ্রাফির হাতেখড়ি। ২০১১ সাল থেকে পেশাদার ফটোগ্রাফি শুরু করি। সেসময় প্রবাসী বন্ধু রাফাত রহমান বিদেশ থেকে একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা আমরা জন্য নিয়ে আসে। তখন থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

বর্তমানে ওয়েডিং ফটোগ্রাফির পাশাপাশি অনেক বড় বড় ন্যাশনাল ইভেন্টের ফটোগ্রাফির কাজও করছেন মির্জা সজল রায়হান। কাজ করেছেন মুজিব বর্ষ সাইক্লিং এক্সপেডিশন্স, মুজিব বর্ষ বাংলাদেশ গেমস ২০২০ এবং মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেট ইভেন্টে।

মির্জা সজল রায়হান বলেন, বন্ধুদের সহযোগিতায় ফটোগ্রাফিতে ক্যারিয়ার গড়া। তারা আমাকে শুরুতে থেকে সব ধরনের সার্পোট দিয়ে আসছে। এখন আমার প্রতিষ্ঠান ওয়েডিং ডিভাইনে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
তিনি বলেন, ফটোগ্রাফির ৩৬০ ডিগ্রী সলিউশন আমরা দিয়ে থাকি। অনলাইনের মাধ্যমেও ঘরে বসেই আমাদের সাথে ২৪ ঘণ্টা যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। এর জন্য আমাদের রয়েছে ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ।

ওয়েডিং ডিভাইনের আয়ের ৬০ শতাংশ খরচ হয় সুবিধা বঞ্চিত শিশু ও এতিমদের জন্য।  বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন www.facebook.com/WeddingDivine

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন