ডিজিটাইল যন্ত্র উৎপাদন ও রপ্তানি বাংলাদেশের এক অভাবনীয় অর্জন : মোস্তাফা জব্বার

টেকভিশন২৪ ডেস্ক রিপোর্ট : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল ডিভাইস আমদানিকারক দেশ থেকে উৎপাদনকারী এবং রপ্তানিকারী দেশে বাংলাদেশের রূপান্তর জাতীয় জীবনে এক অভাবনীয় অর্জন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠায় যে স্বপ্ন জাতিকে দেখিয়েছিলেন তা আজ পুরণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সরকাারের প্রযুক্তি বান্ধব নীতির ফলে দেশে বিশ্ব মানের ১৪টি মোবাইল কোম্পানি মোবাইল ফোন কারখানা স্থাপন করেছে এবং আরও চারটি কারখানা স্থাপন পাইপ লাইনে আছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা নেপাল ও নাইজেরিয়াসহ বিশ্বের বহুদেশে ল্যাপটপ ও কম্পিউটার রপ্তানি করছি । আমেরিকায় ফাইভ-জি মোবাইল ফোন বাংলাদেশ রপ্তানি করছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব‌্যাপী মেকার কমিউনিকেশন আয়োজিত ‘স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের বাংলাদেশের এখন সোনালী সময় উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল রূপান্তর ও ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশে সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানে বদ্ধপরিকর। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার ফাইভ-জি প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের প্রবেশকে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপ উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ-এর দিকনির্দেশনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশ বিশ্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে ধরে এখাতে তার দীর্ঘ ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রমের যাত্রা শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও আইটিইউ ও ইউপিইউ –এর সদস্যপদ অর্জন, বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, কারিগরি শিক্ষা বিস্তারে যুগান্তকারি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। অতীতে দুইটি শিল্প বিপ্লব মিস করলেও বঙ্গবন্ধু তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে শরীক হওয়ার অভিযাত্রা শুরু করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৮ বছরে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় উপনীত করেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে টেলিটক বাংলাদেশ লিমটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাহাব উদ্দিন, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস এর চিফ অপারেটিং অফিসার তাওগোয়ানজিও, অপো বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং, ট্রানশন বাংলাদেশ এর সিইও রেজওয়ানুল হক, ভিভো বাংলাদেশ এর সেলস ডিরেক্টর শ্যারন ওয়েন, রিয়েলমি বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিম শাও, স্যামসাং ইন্ডিয়া ইলেকট্রনিকস লিমিটেড এর কান্ট্রি ম্যানেজার হোয়ানসাং উ, ডিএক্স গ্রুপ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এন্ড সিইও দেওয়ান কানন এবং মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান মেকার কমিউনিকেশন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ খান বক্তৃতা করেন।

বক্তারা বলেন, দেশের শতকরা ৮০ ভাগ স্মার্টফোনের চাহিদা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কারখানা থেকে তারা মেটাতে সক্ষম হচ্ছেন। তারা আশা করছেন খুব সহসাই তা ৯০ ভাগে উন্নীত করা সম্ভব হবে এবং আগামীদিন মেডইন বাংলাদেশের মোবাইল বিশ্ব বাজারে ছড়িয়ে যাবে।

মেলায় দেশে প্রথমবারের মতো ৫জি এক্সপিরিয়েন্স জোন করা হয়েছে। মোবাইল অপারেটর টেলিটকের পরিচালনায় ও হুয়াওয়ে টেকনলজিস বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় এই জোনে এসে দর্শকরা সরাসরি ৫জি অভিজ্ঞতা নিতে পারছেন।

পরে মন্ত্রী মেলায় বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন