ওয়ালটন টিভির প্যানেলে ৫ বছরের গ্যারান্টি ঘোষণা

ওয়ালটন টিভির প্যানেলে ৫ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি সুবিধার ডিক্লারেশন প্রোগ্রামে উপস্থিত প্রতিষ্ঠানের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ।

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: টেলিভিশনের ডিজাইন ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা চালাচ্ছে ওয়ালটন। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ওয়ালটন টিভিতে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার। পাশাপাশি গুণগত দিক থেকেও ওয়ালটন টিভি বিশ্বমানের। যার প্রেক্ষিতে টিভির প্যানেলে ৫ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টির ঘোষণা দিলো বাংলাদেশি সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন। বাংলাদেশে ওয়ালটন টিভি দীর্ঘমেয়াদি প্যানেলে রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির সুবিধা দিচ্ছে।

এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (জুন ১, ২০২১) রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন কর্পোরেট অফিসে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে এক ‘ডিক্লারেশন প্রোগ্রাম’ আয়োজন করা হয়। এতে ওয়ালটনের ৩২ বা তদুর্ধ্ব ইঞ্চির এলইডি ও স্মার্ট টিভির প্যানেলে রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির মেয়াদ ৪ বছর থেকে ৫ বছরে উন্নীত করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া ওয়ালটনের সব মডেলের টিভিতে রয়েছে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টিসহ ৫ বছর পর্যন্ত মাদারবোর্ড ওয়ারেন্টি ও ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইভা রিজওয়ানা নিলু, এমদাদুল হক সরকার ও হুমায়ুন কবীর, ওয়ালটন প্লাজা ট্রেড-এর সিইও মোহাম্মদ রায়হান, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম, ওয়ালটন টিভির প্রোডাক্ট ম্যানেজর তানভীর মাহমুদ শুভ প্রমুখ।

ওয়ালটন টিভির সিইও প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে ওয়ালটনের রয়েছে সর্ববৃহৎ টেলিভিশন আরএন্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ণ) বিভাগ। দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের নিরন্তর গবেষণায় টেলিভিশন শিল্পের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সুফল ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। টিভির গুণগতমানের শ্রেষ্ঠত্ব্যের বিষয়ে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী ওয়ালটন। যার প্রেক্ষিতে টিভির প্যানেলে রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির মেয়াদ বাড়ানো হলো।

উল্লেখ্য, এলইডি টিভির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে প্যানেল। টিভির মোট ব্যয়ের ৬০ শতাংশেরও বেশি লাগে প্যানেলে। ফলে প্যানেল ক্ষতিগ্রস্ত হলে গ্রাহককে গুণতে হয় মোটা অঙ্কের অর্থ। তাই ওয়ালটন টিভি প্যানেলের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির সুবিধা বৃদ্ধি করায় ক্রেতারা উপকৃত হবেন।

কর্তৃপক্ষ জানায়, আইএসও ক্লাস সেভেন ডাস্ট ফ্রি ক্লিন রুমে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এইচএডিএস (হাই অ্যাডভান্স সুপার ডাইমেনশন সুইচ) এবং আইপিএস (ইন প্ল্যান সুইচিং) প্যানেল তৈরি করছে ওয়ালটন। যা প্যানেলের গুণগত মান ও দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। এর ফলে দর্শকরা পান লার্জ ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল এবং হাই কন্ট্রাস্ট পিকচার। সেইসঙ্গে ওয়ালটন টিভি ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।

গাজীপুরের চন্দ্রায় নিজস্ব কারখানায় সকল শ্রেণী, পেশা ও আয়ের গ্রাহকদের জন্য অসংখ্য মডেলের এন্ড্রয়েড ফোর-কে রেজ্যুলেশনের স্মার্ট, বাংলা ভয়েস কন্ট্রোল স্মার্ট, ফুল এইচডি, এইচডি স্মার্ট ও বেসিক এলইডি টেলিভিশন তৈরি করছে ওয়ালটন। ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ডে তৈরি করা হচ্ছে এসব টিভি। ইতোমধ্যে সর্বাধুনিক টেকনোলজির ডলবি এবং গুগল লিস্টেড ‘লাইসেন্সড টিভি ম্যানুফ্যাকাচারার’ এর স্বীকৃতি পেয়েছে ওয়ালটন। বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটনই ডলবি’র অফিশিয়াল সাউন্ড কোয়ালিটির টিভি উৎপাদন করছে। এসব টিভির দাম যেমন সাশ্রয়ী, তেমনি মানেও সেরা। আর তাই স্থানীয় বাজারে মার্কেট শেয়ার বিবেচনায় শীর্ষে এখন ওয়ালটন টিভি।

স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ২০১০ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটন টিভি। বর্তমানে ৩৫ টিরও বেশি দেশে, শতাধিক বিজনেস পার্টনারের মাধ্যমে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেবেলযুক্ত টিভি রপ্তানি করছে ওয়ালটন। পরিবেশকের মাধ্যমেও বিভিন্ন দেশে নিজস্ব ব্র্যান্ড নামে টিভি রপ্তানি হচ্ছে। শীর্ষ ব্র্যান্ড হিসেবে ওয়ালটন দেশের রপ্তানি আয় ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, কর্মস্থংস্থান সৃষ্টি, প্রযুক্তি খাতে দক্ষ কর্মী গড়ে তোলায় অবদার রাখছে। সেইসঙ্গে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে রাখছে বিশেষ অবদান।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন