দেশে ফাইভজি স্পেকট্রামের নিলাম ৩১ মার্চ !

ফাইভজি

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ৩১ মার্চ ফাইভজির স্পেকট্রাম নিলামে যাচ্ছে বিটিআরসি।

বিটিআরসি ২০২২ সালের ৩১ মার্চ নিলামের তারিখ চূড়ান্ত করেছে এবং এতে অংশগ্রহণকারীদের আবেদন নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ফাইভজির তরঙ্গ নিলামের সব গুছিয়ে আনা হয়েছে। স্পেকট্রামের ভিত্তিমূল্যসহ নিলামে অংশগ্রহণকারীদের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও প্রস্তুত। মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস শেষ হলে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু হবে। নিলাম মার্চেই হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা, মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তা ও খাত সংশ্লিষ্টদের অনেকেই বার্সালোনায় এই মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে অংশ নিয়েছেন। রোববারের মধ্যে তাঁদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

এবারে ‘রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি অকশন-২০২২’ নামে নিলামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নিলামে প্রতি মেগাহাটর্জ স্পেকট্রামের ফ্লোর প্রাইস বা বেইজ প্রাইস থাকছে ৬ মিলিয়ন ডলার, টাকার হিসাবে যা ৫১ কোটি ৯০ লাখের একটু বেশি।

এতে স্পেকট্রাম ক্রয়কারীদের জন্য ফাইভজি সেবা চালুর জন্য ৬ মাসের রোলআউট অবলিগেশন দেয়া হয়েছে। নিলামের দিন হতে এই সময় ধরা হবে। মোট ১৮ ব্লকে স্পেকট্রাম নিলাম হবে। এরমধ্যে ৩ দশমিক ২ গিগাহার্টজ বা ২৩০০-২৪০০ মেগাহার্টজে ৬টি ব্লক এবং ২ দশমিক ৬ গিগাহার্টজে বা ২৫০০-২৬৯০ মেগাহার্টজে ১২ টি ব্লক রয়েছে।

২৩০০-২৪০০ মেগাহার্টজে প্রতি ব্লকে ১০ মেগাহার্টজ করে স্পেকট্রাম নিলাম হবে। ২৫০০-২৬৯০ মেগাহার্টজেও প্রতি ব্লকে ১০ মেগাহার্টজ করে স্পেকট্রাম উঠবে।

‘বিড আর্নেস্ট মানি রাখা হয়েছে ১০ কোটি টাকা । যা অপারেটরগুলোকে জমা দিতে হবে ২৩ মার্চের মধ্যে।

এছাড়া স্পেকট্রাম ক্রয়মূল্যের ১০ শতাংশ অর্থ নিলামের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার দিন হতে ৬০ দিনের মধ্যে দিতে হবে ক্রেতাকে। আর অবশিষ্ট ৯০ শতাংশ অর্থ ৯ বছরে সমান কিস্তিতে দেয়া যাবে।

নিলাম নিয়ে কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে ৮ মার্চের মধ্যে অপারেটরগুলোকে জানাতে হবে। নিলাম নিয়ে অপারেটরগুলোর সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠক হবে ১০ মার্চ। ১৪ মার্চের মধ্যে নিলামে অংশগ্রহণের আবেদন জমা দিতে হবে এবং যোগ্য অংশগ্রহণকারীর তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৬ মার্চ। নিলাম পদ্ধতি ও নিয়ম-কানুন নিয়ে আলোচনা ২১ মার্চ।

এরআগে গত বছর (২০২১) এ নিলাম করতে চেয়েও মোবাইল অপারেটরগুলোর কাছ হতে সাড়া না পেয়ে তা করতে পারেনি বিটিআরসি।

তখন অপারেটরগুলো বলেছিলো, তারা ওই বছরের বছরের মার্চে স্পেকট্রাম নিলামে অনেক টাকা বিনোয়োগ করেছেন। তাই এই অল্প সময়ের মধ্যে আবার স্পেকট্রাম কিনতে হলে তাদের প্রস্তুতি লাগবে।

সম্প্রতি বিটিআরসি টুজি, থ্রিজি এবং ফোরজি প্রযুক্তি একীভূত করে সেলুলার মোবাইল ফোন অপারেটর লাইসেন্স গাইডলাইনের খসড়া প্রয়োজনীয় পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংশোধন করে। যা দ্রুত চূড়ান্ত করার পরিকল্পনায় রয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।

নিলামের নির্দেশনায়ও বিটিআরসি দ্রুত এই গাইডলাইন জারির কথা বলেছে। যেখানে রোলআউট অবলিগেশনসহ ফাইভজি সেবার বিস্তারিত থাকার কথা বলা হয়েছে।

বিটিআরসি ওই খসড়া লাইসেন্স গাইডলাইনে ফাইভজি সেবা চালুর জন্য নতুন কিছু শর্ত যোগ করে। আর এসব শর্তের বিষয়ে খাত সংশ্লিষ্টদের মতামতও নিয়েছে তারা।

যদিও নতুন শর্তগুলোর মধ্যে রোলআউট বা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের বিভিন্ন ধাপের বাধ্যবাধকতায নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছে অপারেটরগুলো।

ওই বাধ্যবাধকতায় বলা হয়েছে লাইসেন্স নেয়ার পর প্রথম বছরে দেশের জনসংখ্যার ১০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ২০ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ৩০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ৪০ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ৫০ শতাংশ কাভারেজের আওতায় হবে।

এরমধ্যে অবশ্য দেশে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভজি নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে। -টেকশহর অবলম্বনে

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন