ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে এমন অভিযোগে মেটার প্ল্যাটফর্ম ইনকর্পোরেটেডের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কসহ ৩৩টি অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল আদালতে মামলা হয়েছে।
আসক্তি সৃষ্টিকারী ফিচার ব্যবহার করে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের ফাঁদে ফেলছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় উপদেষ্টা হিসেবে আছেন এসব অঙ্গরাজ্যের ৩৩ জন অ্যাটর্নি জেনারেল। এদের একজন নিউইয়র্কের লেটিশিয়া জেমস। মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের নিরাপত্তা দেওয়ার আইন ভঙ্গ করেছে মেটা। এই কোম্পানি ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের ডেটা সংগ্রহ করে শিশুদের ‘অনলাইন প্রাইভেসি প্রোটেকশন অ্যাক্ট’ লঙ্ঘন করেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল আদালতে দায়ের করা মামলাটিও দাবি করে যে, মেটা নিয়মিতভাবে ফেডারেল আইন লঙ্ঘন করে, তাদের পিতামাতার সম্মতি ছাড়াই ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের তথ্য সংগ্রহ করে। ইনস্টাগ্রাম গোটা প্রজন্মকে সারাদিন মোবাইলের সঙ্গে জড়িয়ে রাখছে, তাদের ভবিষ্যকেও বিপদের মুখে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস বলেছেন, বাচ্চা এবং কিশোর-কিশোরীরা খারাপ মানসিক স্বাস্থ্যের রেকর্ড মাত্রায় ভুগছে, এর জন্য দায়ী মেটার মতো কোম্পানিগুলো।
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু উপদেষ্টা মেটার কার্যক্রমের ওপর তদন্ত করে। সেই তদন্তে ফ্রান্সিস হাউগেন নামের এক তথ্য ফাঁসকারী বলেন, কোম্পানির পণ্যগুলো শিশুদের ক্ষতি করতে পারে। ইনস্টাগ্রাম তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। একই বছর এক অভ্যন্তরীণ গবেষণায় উঠে এসেছে ১৩.৫ শতাংশ কিশোরী বলেছে, ইনস্টাগ্রাম আত্মহত্যার চিন্তাকে আরও খারাপ করে তোলে এবং ১৭ শতাংশ কিশোরী বলে এটি খাবারের রুচিকে নষ্ট করে তোলে।
সে সময় মেটার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গবেষক প্রতিতি রায়চৌধুরি বলেন, কিশোরদের জন্য ইনস্টাগ্রাম ক্ষতিকর বলে যে ধারণা আছে, তা বিভিন্ন গবেষণায় সঠিক নয় প্রমাণিত।