সিটি ব্যাংক এবং বিকাশের ডিজিটাল ঋণ সেবা প্ল্যাটফর্ম উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

ছবিতে: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপ‌টে নিজে‌দের সক্ষমতা জ‌নান দিতে এআই প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন দেশকে ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে তুলতে ডিজিটাল ন্যানো লোন যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সফট্‌ওয়্যার শিল্পে বিশ্বে বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে পৌছাতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন বৈশ্বিক প্রেক্ষাপ‌টে নিজে‌দের সক্ষমতা জ‌নান দিতে উন্মুক্ত জাতীয়্ “আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স” (এআই) প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে সিটি ব্যাংক এবং বিকাশের যৌথে উদ্যোগে ডিজিটাল ঋণ সেবা কার্যক্রম “ডিজিটাল ন্যানো লোন” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মোঃ নাছের, সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার, সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন এবং বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীরসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ।

পলক বলেন ইতোমধ্যেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, বিগডাটা, রোবটিকস্‌, মেশিন লার্নিং এগুলো প্রয়োগ করছি। আমরা ওপেন এআই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক, বিকাশসহ ব্যাংকিং ও অন্যান্য সার্ভিস সেক্টরকে এর মাধ্যমে সহায়তা করতে চায়। করোনা মহামারিতে যখন বিশ্বের অনেক উন্নত, সমৃদ্ধ ও আধুনিক রাষ্ট্রগুলো তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, বাণিজ্যিক, প্রশাসনিক এবং বিচারিক কার্যক্রম চলমান রাখতে বাধাগ্রস্ত হয়েছে অথচ বাংলাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিচারিক কাজসহ সবকিছু সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।  বিগত ২১ মাসে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা, সততা ও  দূরদর্শিতা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কারণে  এটা সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল দেশের ১৭ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন এমন একটা সময়ে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি যখন বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ একটি মর্যাদাশীল মধ্যম আয়ের ডিজিটাল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

প্রথম বারের মতো ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত জামানত ও একাউন্ট ছাড়াই লোণ দেবে যৌথভাবে সিটি ব্যাংক এবং বিকাশ। যা বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে নিতে পারবেন বিকাশ গ্রাহকেরা। এইসকল ঋণ গ্রাহকেরা সবাই ৯% সুদে ৩ মাসের মেয়াদে তাৎক্ষণিক ঋণ নিতে পারবেন। ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত কোন প্রোসেসিং ফি নেবেনা সিটি ব্যাংক। সিটি ব্যাংকের ডিজিটাল ন্যানো লোণ দৈনিক হারে ইন্টারেস্ট নির্ধারিত ।এক্ষেত্রে বিকাশ ও কৌশলগত অংশীদার অ্যান্ট গ্রুপ সিটি ব্যাংকের জন্য সহায়ক ভুমিকা রাখছে ।
 
আজকের এই ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের যৌথ উদ্যোগের ব্যাপারে সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার বলেন, ১৯৮৩ সাল থেকে সিটি ব্যাংকের যাত্রা শুরু। গরীব কখনো ঋণের টাকা মারেনা। এই ঋণের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে পেমেন্ট সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট (পিএসডি)। বাংলাদেশের ৬৫ তম ডিজিটাল গ্রোথের তালিকায় সিটি ব্যাংক ৬০ তম স্থানে আছে। বর্তমানে সিটি ব্যাংকের আয় ৪০০ বিলিয়ন ডলার। যা ১৯৯১ সালে ছিলো মাত্র ৯০ বিলিয়ন ডলার। সিটি ব্যাংকের সহায়ক হিসেবে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে এসেছে বিকাশ।
 
বিকাশের সিইও কামাল কাদের বলেন, খুব কম খরচে কিভাবে লোন দেওয়া যায়, যা সেন্ট্রাল ব্যাংকের নজরদারিতে থাকবে, এটাই চেয়েছিলাম । গত বছর ( ২০২০ ) বিকাশের আয় ছিলো ৬৭ বিলিয়ন ডলার । সর্বপ্রথম দেশের মানুষের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত সেবার মান উন্নত ও অবারিত রেখেছে ।  
 
পরে প্রতিমন্ত্রী “ডিজিটাল ন্যানো লোন” এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন