সিএমএমআই ম্যাচুরিটি লেভেল ৩ স্বীকৃতি পেল সিসটেক ডিজিটাল  

CMMI-SVC Maturity Level 3, V2.0 স্বীকৃতি পেয়েছে সিসটেক।

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: দেশের স্বনামধন্য সফটওয়্যার সল্যুশন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সিসটেক ডিজিটাল লিমিটেড সম্প্রতি CMMI-SVC Maturity Level 3, V2.0 স্বীকৃতি পেয়েছে। সিসটেক ডিজিটাল লিমিটেড যে সমস্ত সফটওয়্যার সল্যুশন তৈরি, বাস্তবায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করে সেগুলোর উন্নত ব্যবস্থাপনা ও সেবা প্রদানের প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। সিসটেক ডিজিটাল লিমিটেড হলো দেশের দ্বিতীয় কোনো কোম্পানি যারা V2.0 তে এই ম্যাচ্যুরিটি অর্জন করলো। উল্লেখ্য, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রক্রিয়ার মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ক্যাপাবিলিটি ম্যাচুরিটি মডেল ইন্টিগ্রেশন (সিএমএমআই) হলো আমেরিকার কার্নেগী মেলন বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃত একটি বিখ্যাত মডেল।

সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে সিএমএমআই ইন্সটিটিউট (CMMI Institute) এর পক্ষে ইউনাইটেড সার্টিফিকেশন সার্ভিসেস লিমিটেড (ইউনিসার্ট) এই সার্টিফিকেট হস্তান্তর করে। এ উপলক্ষে ঢাকার কারওয়ান বাজারের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ভিশন ২০২১ টাওয়ার-১ এ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ। সার্টিফিকেট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসার্ট এর পরিচালক আব্দুল কাদের, এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ইঞ্জি. মো. লিয়াকত আলী, সিসটেক ডিজিটাল লিমিটেড এর চেয়ারম্যান নাহিদ মওলা মৌরি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম রাশিদুল হাসান এবং প্রতিষ্ঠানের অন্যান্যরা।

সিসটেক ডিজিটাল লিমিটেড বর্তমানে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লকচেইন, বিগ ডেটা, এমবেডেড সিস্টেম, আইওটি এবং ইন্টেলিজেন্ট কন্ট্রোল প্রভৃতির মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে এবং ক্লাউড ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, হার্ডওয়্যারের উপর আরএন্ডডি ও আইটি সেবসমূহ প্রদান করছে। একুশ বছরের পথচলায় সিসটেক ডিজিটাল লিমিটেড তার বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য ও জাপান অফিস থেকে বিশ্বের ১৩টি দেশের ৩ হাজারেরও বেশি ক্লায়েন্টকে সেবা প্রদান করেছে।

অনুষ্ঠানে ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জন করেছি। পাশাপাশি বর্তমানে বাংলাদেশ আইসিটি রপ্তানির মাধ্যমে প্রতি বছর ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে। আমাদের লক্ষ্য হলো ২০২৫ সালের মধ্যে আইসিটি রপ্তানির মাধ্যমে এই আয়কে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা। এই লক্ষ্য পূরণে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রযুক্তির আধুনিক শিক্ষা, প্রমীতকরণ ও আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন হলো দেশীয় কোম্পানিগুলোর উচ্চমানের যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশী ক্লায়েন্টদের আকর্ষণ করতে সমর্থ হবে। তিনি আরও বলেন, লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সবসময়ই স্থানীয় কোম্পানিগুলোকে সর্বতোভাবে সক্ষম করতে উৎসাহ ও সহায়তা দিয়ে আসছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রযুক্তিসমূহ ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্পায়ন ঘটিয়ে ভিশন ২০৪১ এর লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করছে।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন