বেসিসের ৩০০ কোম্পানি ১০০ টি দেশে রপ্তানি করে ১.৪ বিলিয়ন ডলার আয় : পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

আফরোজা সুলতানা: ১) ২০২৫ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পাঁচ বিলিয়ন ডলার রফতানি টার্গেট।
২) রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে আই সি টি মন্ত্রণালয়ের অঙ্গীকার এবং সেখানে বেসিসের ১৮০০ মেম্বার সর্বাধিক ভুমিকা পালন করছে।
৩) আই সি টি পণ্যকে ২০২২ এর সেরা পণ্য ঘোষণা করায় উৎসাহ পা আই সি টি মন্ত্রণালয়।
৪) গণমাধ্যমের একটি বড় ভুমিকা রয়েছে আই সি টি বিভাগের কার্যক্রমকে দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কে সার্থকভাবে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে।
৫) ২৫,০০০ প্রোডাক্ট আই সি টি বিভাগ তৈরি করেছে।
৬) ১০,০০০ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলেজেন্সি হিউম্যান রিসোর্স ও দক্ষ মানব সম্পদ এর মাধ্যমে ওয়ার্কিং গ্রুপ করবে একসাথে এবং তা কাজের মাদ্ধমে প্রমান করবে আই সি টি ।
৭) বাণিজ্য + শিক্ষা + স্বাস্থ্য + জুডিশিয়াল বিভাগে আই সি টি ও বেসিস একত্রে কাজ করবে । পাশাপাশি ২৪% পর্যন্ত কর্পোরেট ট্যাক্স মুক্ত করেছে পরবর্তীতে ২৫% পর্যন্ত ট্যাক্স মুক্ত করবে ।
8) ডিজিটাল বাংলাদেশের পরে আগামীর বাংলাদেশ হবে ইনোভেটিভ বাংলাদেশ ।
৯) আই সি টি বিভাগ ইন্ডাস্ট্রি + পাব্লিক সেক্টর + সরকারী সেক্টর সমন্বিত করে ইনভেস্টমেন্টই জামানত বিহীন লোণ ও প্রণোদনার ব্যাবস্থা করেছে যা ৪% লাভে শুরু করে এবং ৫০০ কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । সম্পূর্ণ ঝুকি নিচ্ছে সরকার । গ্রাহক কে কোন প্রকার ঝুকি নিতে হচ্ছেনা । ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদানের ব্যাবস্থা রয়েছে ।

১০) আইসিটি বিভাগ দেশী ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী ।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ, ইন্ডাস্ট্রি ব্র্যান্ডিং, পলিসি সহায়তা ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে সরকার ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করবে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। রবিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ এর নেতৃত্বে বেসিসের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির মতবিনিময় সভায় এ বিষয়ে যৌথ সম্মতি প্রকাশ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বেসিস।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে মাত্র ১৩ বছরে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বেসিস। আর সরকার প্রয়োজনীয় পলিসি সহায়তার মাধ্যমে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিকে বর্ষপণ্য ঘোষণার মাধ্যমে এই খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই সুযোগ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আমরা বেসিসকে সাথে নিয়ে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, নীতিমালা তৈরি ও সংশোধন, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, বিনিয়োগ এবং সমন্বয় এই পাঁচটি বিষয়ে কাজ করা হবে। এছাড়া মাননীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে কর্পোরেট ট্যাক্স মওকুফের সময়সীমা ২০৩০ পর্যন্ত বর্ধিত করার দাবি জানানো হবে। ইতিমধ্যেই বিষয়ভিত্তিক কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বেসিসের সমন্বয়ে আলাদা আলাদা ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরি করে দেয়া হয়েছে। সমন্বিত এসব উদ্যোগের মাধ্যমেই ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ‘ইনোভেটিভ বাংলাদেশ’-এ রূপান্তর হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ।

মতবিনিময় সভায় বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্ঠা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে এতোটাই গুরুত্ব দেন যে তাঁরা না চাইতেই এই খাতের জন্য সহায়ক নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বছরের শুরুতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তিকে বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। একইসাথে সরকার ২০৪১ রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। ২০২৫ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এক্ষেত্রে বেসিসসহ তথ্যপ্রযুক্তি খাত অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের জন্য এটি একদিকে যেমন সুযোগ ও সম্ভাবনা, তেমনিভাবে এটি একটি গুরুদায়িত্ব। আমরা সরকারের সাথে যৌথভাবে সেই দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে কাজ করবো।

রাজধানীর আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আমীন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ চৌধুরী, এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মো. হুমায়ুন কবির, ইডিজিই প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্মসচিব ড. মো. মেহেদী হাসান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (যুগ্মসচিব) মোঃ রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সামিরা জুবেরি হিমিকা, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান, সহ-সভাপতি (অর্থ) ফাহিম আহমেদ, পরিচালক আহমেদুল ইসলাম বাবু, মুশফিকুর রহমান, তানভীর হোসেন খান, মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল ও রাশাদ কবির প্রমুখ।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন