বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জোটের পক্ষ থেকে বিটিআরসি’র “রেগুলেশন ফর ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড ওটিট প্ল্যাটফর্ম” প্রত্যাহার ও পুনর্বিবেচনার আহ্বান

বাংলাদেশে জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা এবং উন্মুক্ত, স্বাধীন ও নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জোটের পক্ষ থেকে বিটিআরসি’র “রেগুলেশন ফর ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড ওটিট প্ল্যাটফর্ম” প্রত্যাহার ও পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) রেগুলেশন ফর ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড ওটিট প্ল্যাটফর্ম (খসড়া নীতিমালা) এর অনলাইনে প্রকাশিত খসড়া জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং গোপনীয়তার অধিকারকে বিপন্ন এবং অনলাইন নিরাপত্তাকে দুর্বলতর করে তুলবে।

এই প্রবিধানের প্রয়োগ মানবাধিকারের ওপর ক্ষতি কর প্রভাব ফেলবে এবং বিশেষ করে সাংবাদিক, ভিন্নমত পোষণকারী, অ্যাক্টিভিস্ট এবং সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়গুলোকে আরও ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেবে। জোটের পক্ষ থেকে বিটিআরসিকে এই খসড়া নীতিমালা প্রত্যাহার এবং পুনঃবিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে, কারণ এটি মানুষের ডিজিটাল সুরক্ষা ক্ষুন্নœ করবে এবং মানবাধিকার ও স্বাধীনতা ঝুঁকিতে ফেলবে।

বিটিআরসি’র আলোচনা প্রক্রিয়াকে অবশ্যই সেই সব সুনির্দিষ্ট সমস্যা কেন্দ্রিক হতে হবে যা তারা মোকাবিলা করতে চায় এবং একগুচ্ছ ঢালাও নীতিমালা চাপিয়ে দেওয়ার বদলে অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে সেগুলো মোকাবিলার জন্য সর্বত্তোম আইনি পন্থা বের করতে হবে।

প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি কাঠামো তৈরির পূর্বশর্ত হল অংশীজনদের সঙ্গে টেকসই, অর্থপূর্ণ এবং গভীর আলোচনা। ইন্টারমিডিয়ারি এবং ডিজিটাল পরিষেবার জন্য নীতিমালা তৈরির আগে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে অর্থপূর্ণ আলোচনা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে বিটিআরসির প্রতি প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যা জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা এবং প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রকে প্রভাবিত করবে।

বিবৃতি প্রদানকারী জোটের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে: একসেস নাউ, আর্টিকেল ১৯, এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেভেলপমেন্ট (ফোরাম-এশিয়া), এসোসিয়েশন ফর প্রগ্রেসিভ কমিউনিকেশন (এপিসি), বিজনেস এন্ড হিউম্যান রাইটস রিসোর্স সেন্টার, সিসিএওআই, সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি এন্ড টেকনোলজি, সেন্টার ফর মিড়িয়া রিসার্চ-নেপাল (সিএমআর-নেপাল), কোলাবোরেশনঅন ইন্টারন্যাশনাল আইসিটি পলিসি ফর ইস্ট এন্ড সাউদার্ন আফ্রিকা (সিআইপিইএসএ), কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস, ডিজিটাল ডেমেক্রেটিক কলাবোরেশন (ডিএসিওএল), ডিজিটাল এমপাওয়ারমেন্ট ফাউন্ডেশন-ইন্ডিয়া, ইলেক্ট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশন, এনক্রিপট উগান্ডা, গ্লোবাল পার্টনারস ডিজিটাল, গ্লোবাল ভয়েসেস, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ইনোভেশন সলিউশন ল্যাব, ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ান মুসলিমস (আইসিআইএম), ইন্টারনেট প্রিডম ফাউন্ডেশন-ইন্ডিয়া, ইন্টারনেট সোসাইটি, ইন্টারনেট সোসাইটি কাতালান চ্যাপ্টার, ইন্টারনেট সোসাইটি দিল্লী চ্যাপ্টার, ইন্টারনে সোসাইটি হায়দারাবাদ চ্যাপ্টার, ইন্টারনেট সোসাইটি ভেনিজুয়েলা চ্যাপ্টার, ইন্টারনেট সোসাইটি কেনিয়া চ্যাপ্টার, ইন্টারপির প্রজেক্ট, ওপেন মিড়িয়া, ওপেন নলেজ ফাউন্ডেশন, পেন আমেরিকা. টেক ফর গুড এশিয়া, উইকিমিড়িয়া ফাউন্ডেশন প্রমুখ। 

ইন্টারনেট সোসাইটি ঢাকা চ্যাপ্টার থেকে প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন