নতুন বিনিয়োগ পেয়েছে দেশি প্রতিষ্ঠান প্রোটিন মার্কেট

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: প্রোটিন জাতীয় খাবারকে নিরাপদে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রাথমিক ভাবনা থেকে শুরু হয়েছে প্রোটিন মার্কেট এর কর্মকান্ড। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শুধুমাত্র প্রাণীজ প্রোটিন নয় থাকতে পারে অপ্রানীজ প্রোটিনও। নিরাপদ ও নির্ভেজাল প্রোটিন জাতীয় খাবারের গুরুত্ব অনুধাবন ও খাদ্যাভ্যাস নিশ্চিত করতে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে প্রোটিন মার্কেট। আর সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশি জাতের মুরগি, হাঁস, গরু, নিরাপদ চাষের মাছ চাহিদা মাফিক সংগ্রহ করে প্রোটিন মার্কেট পৌঁছে দিচ্ছে মানুষের দোর গোঁড়ায়। একই সাথে চলছে উৎপাদন প্রক্রিয়াও। ফ্রি রেঞ্জ ফার্মিং পদ্ধিতিতে দেশী মুরগির উৎপাদন বানিজ্যক আকারে করার প্রয়াসে যুক্ত করা হচ্ছে প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের। চলছে প্রাকৃতিক উপায়ে মাছ চাষের প্রচেষ্টা। নিরাপদ মাংস উৎপাদনে খামারিদের উদ্বুদ্ধ করে যোগান দেওয়া হচ্ছে নিরাপদ গরুর মাংসের চাহিদা। এছাড়া সামুদ্রিক মাছ সরবরাহ ও অর্গানিক শুঁটকি উৎপাদনের মাধ্যমে প্রাণীজ আমিষের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। মাছের রাজা ইলিশকে নিয়ে চলছে ইলিশ কার্নিভাল ও রেসিপি কন্টেস্ট যা নিঃসন্দেহে একটি ভিন্নধর্মী আয়োজন।

প্রোটিন মার্কেট এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আলম বলেন, দেশে নিরাপদ মাছ মাংস নিয়ে জনমনে নানা রকম সংশয় রয়েছে। রয়েছে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রসেসিং না করে নিয়ে অসন্তোষ। আমরা মানুষকে স্বাস্থ্যগত দিক থেকে সচেতন করে তোলার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে কাজ করছি এবং সেই সাথে নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর উপায়ে প্রসেসিং, পরিবেশন সহ মান সম্মত প্যাকেজিং ও নিরাপদ ডেলিভারি ব্যবস্থা। 

প্রোটিন মার্কেট এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা শারমিন সুলতানা বলেন, দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আমাদের কার্যক্রম প্রচালনা করার সুযোগ রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা সুদূর প্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসাবে প্রী-সীড রাউন্ডে বিনিয়োগ নিতে আগ্রহী হই এবং এই ক্ষেত্রে আমরা দেশীয় ভিশনারি বিনিয়োগকারীদেরকেই প্রাধান্য দিয়ে এসেছি এবং আমাদের সাথে এঞ্জেল ইনভেস্টর হিসাবে যুক্ত হয়েছেন কয়েকজন স্বপ্নবাজ তরুণ বিনিয়োগকারী। 

নতুন বিনিয়োগকারী গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন “ডাব্লিউপি ডেভলপার” এবং “এ আর কম” এর প্রতিষ্ঠাতা এম আসিফ রহমান। প্রোটিন মার্কেটে আরও  বিনিয়োগ করছেন “ডাব্লিউপি ডেভলপার” এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান রূপক,  ইফলি’র কো-ফাউন্ডার ও সিওও জাহাঙ্গীর আলম, “অথ ল্যাব” এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান।    

এম আসিফ রহমান দীর্ঘদিন থেকে দেশের প্রযুক্তি খাতে সফলতার সাথে  ব্যবসা করে আসছেন। প্রোটিন মার্কেটে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রোটিন মার্কেটের ব্যবসায়িক ধারণাটিই নতুন। কিন্তু মানুষ এটিকে গ্রহণ করছে। বাংলাদেশের মানুষের জন্য এমন একটি উদ্যোগ খুবই প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠানটির গত এক বছরের কার্যক্রম, পরিকল্পনাগুলো আমরা ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। সবকিছু মিলিয়ে আমরা মনে করছি প্রোটিন মার্কেটের সম্ভাবনা দারুণ। ভাল বিনিয়োগ পেলে একটি টেকসই বিজনেজ মডেল হিসেবে দাড়াতে পারে।

অন্যান্য বিনিয়োগ কারীরা বলেন, যে সুদূরপ্রসারী ভাবনা নিয়ে প্রোটিন মার্কেট পথ চলা শুরু করেছে তা সত্যিই অসাধারণ। বাণিজ্যিক দিক থেকে আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি প্রোটিন মার্কেট একটি সম্ভাবনাময় উদ্যোগ। বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জনবল, ইকুইপমেন্ট, প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ বেশকিছু খাতে অগ্রগতির লক্ষ্যে বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমরা বিশ্বাস করি ব্যবসায়িক পরিসর তো বটেই, দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে সক্ষম হবে প্রোটিন মার্কেট।

 

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন