ডাচবাংলা ব্যাংক থেকে ২০ লাখ টাকা ঋণ পাবেন যে উপায়ে

বর্তমান সময়ে দেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ঋণ পদ্ধতি সহজ করা হচ্ছে। ব্যক্তি থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান সব জায়গাতেই ঋণ প্রদান সহজ করার ফলে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করার প্রবণতাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণত এসএমই খাতে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি এবার নতুন অভিনব একটি ঋণ সুবিধা নিয়ে এসেছে ডাচবাংলা ব্যাংক।

ব্যক্তিগত এই ঋণ প্যাকেজে মাত্র ১ শতাংশ সুদে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন গ্রাহকরা। ফলে ব্যক্তি পর্যায়ে এই ঋণ নতুন একটি ধারা তৈরি করতে সক্ষম হবে বলে ধারনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঋণের বৈশিষ্টঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে দেয়া এই ঋণের পরিমাণ সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত নেয়া যাবে। এই ঋণের মেয়াদকাল হবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত।

বাড়তি সুবিধা হিসেবে পাওয়া যাবে সহনশীল মাসিক কিস্তি। ঋণ নেয়ার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে জানা গেছে, এই ঋণের জন্য আবেদন করার পর সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ কার্যদিবস পর্যন্ত সময় নিবে ডাচবাংলা ব্যাংক।

যে কারনে দেয়া হবে এই ঋণঃ মেডিকেল, শিক্ষা, বিবাহ, ভ্রমণ, উৎসব, পেশাদারদের জন্য সরঞ্জাম এবং অফিস সেট আপ, ভোক্তাদের জন্য টেকসই লাইফস্টাইল পণ্য ক্রয়, অন্য যে কোন বৈধ উদেশ্যে এই ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে।

শর্তসমূহঃ ডাচবাংলা ব্যাংক থেকে এই ঋণ গ্রহণ করতে হলে অবশ্যই একজন গ্রাহককে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ১৮ থেকে ৭০ বছর বয়সী যেকোনো ব্যাক্তিই এই ঋণ নেয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এছাড়া মাসিক আয় কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা থাকতে হবে এই ঋণ নিতে হলে। প্রার্থীর যোগ্যতাঃ বেতনভোগী কর্মকর্তা, পেশাদারগণ (ডাক্তার, স্থপতি, প্রকৌশলী, চাটার্ড এ্যাবাউন্টেন্টস ইত্যাদি) ল্যান্ডলর্ড/ ল্যান্ড ল্যাডি, স্বনির্ভর ব্যাক্তি। পরিশোধের মেয়াদ: ৬০ মাস পর্যন্ত, শর্ত প্রযোজ্য।

ফিঃ প্রক্রিয়াকরণ ফি ১ শতাংশ (মঞ্জুরকৃত ঋণের উপর), দ্রুত নিষ্পত্তি ফি ২% (অপরিশোধিত লোনের উপর) স্ট্যাম্প শুল্ক ফি ১২৫০ টাকা, বিলম্বে পরিশোধ ফি: সর্বোচ্চ তিনটি কিস্তি দেরীতে পরিশোধ করা যাবে, বাকি কিস্তিগুলোর জন্য জরিমানা আরোপ করা হবে।

ডাচবাংলা ব্যাংকের এই ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হবে সেগুলো হল, ভোটার আইডি কার্ড/ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কপি/লেটার অফ ইন্ট্রোডাকশন (চাকরীজিবীদের জন্য) বৈধ পাসপোর্ট, বেতন হিসাবের বিবরনী, বিজনেস কার্ড/অফিস আইডি, ট্যাক্স সার্টিফিকেট, সর্বশেষ ১ বছরের ব্যাংক হিসাব, টিএন্ডটি/মোবাইল ফোন/অন্যান্য ইউটিলিটি বিলের কপি এবং ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। 

আরো জানতে ডিবিবিএল কল সেন্টার নাম্বার ১৬২১৬ এ যোগাযোগ করুন। 

 

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন