টেক্সট-ওনলি ফেসবুক ও ডিসকভার চালু করেছে গ্রামীণফোন

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আনুষ্ঠানিকভাবে টেক্সট-ওনলি ফেসবুক ও ডিসকভার উন্মোচন করেন।

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: ইন্টারনেটে না থাকলেও গ্রামীণফোন গ্রাহকরা যেনো নিরবচ্ছিন্নভাবে কানেক্টেড থাকতে পারেন, এজন্য মেটার সাথে পার্টনারশিপে টেক্সট-ওনলি ফেসবুক ও ডিসকভার চালু করেছে গ্রামীণফোন। টেক্সট- ওনলি ফেসবুক ও ডিসকভার উন্মোচন করে কানেক্টিভিটি ও অ্যাকসেসিবিলিটি নিশ্চিতের মাধ্যমে গ্রামীণফোন বাংলাদেশে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিতে সহায়তা করবে এবং দেশের ডিজিটাল লক্ষ্যপূরণের যাত্রাকে ত্বরাণ্বিত করবে।

টেক্সট-ওনলি ফেসবুকের মাধ্যমে গ্রামীণফোন গ্রাহকরা তাদের ইন্টারনেট শেষ হয়ে গেলেও পরবর্তী ব্যালেন্স টপ আপ করার আগ পর্যন্ত ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের টেক্সট-ওনলি সংস্করণে কানেক্টেড থাকতে পারবেন। এছাড়াও, মোবাইল ওয়েব ও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ‘ডিসকভার’ গ্রামীণফোন গ্রাহকদের ১৫ মেগাবাইট ডেইলি ব্যাল্যান্সের মাধ্যমে কোনো ডেটা চার্জ ছাড়াই ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সুযোগ করে দিবে। এর পাশাপাশি, গ্রাহকরা ডিসকভারের মাধ্যমে লো-ব্যান্ডউইথ ফিচার যেমন:  ফ্রি ডেটা দিয়ে বার্তা ও আইকন দেখতে পারবেন। এর মাধ্যমে, গ্রামীণফোন গ্রাহকরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চাকরি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বিষয়ের সাথে সবসময় যুক্ত থাকতে পারবেন।   

বিটিআরসি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আনুষ্ঠানিকভাবে টেক্সট-ওনলি ফেসবুক ও ডিসকভার উন্মোচন করেন।  অনুষ্ঠানে আর উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান এবং মেটা ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিগণ। 

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী বলেন, “আমি দেখেছি করোনার সময় মোবাইল সেবাদাতারা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যের বাইরে এসে সমাজের সমমিলিতভাবে মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। কানেকটিভিটি নিশ্চিত করার মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক কার্যক্রম চালু রাখতে সহায়তা করছে।আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। ইন্টারনেট ছাড়া ফেসবুক ব্যবহার একটি অসাধারণ উদ্যোগ। প্রান্তিক জনগনের তথ্য আদান প্রদান এবং কালেকটিভিটি নিশ্চিত করে ডিজিটাল ডিভাইড কমাতে এটি সহায়তা করবে ।”        

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, “সরকার সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষকে ডিজিটাল কানেক্টিভিটির আওতাভুক্ত করার ওপর জোর দিয়ে আসছে। কিন্তু একে বাস্তবে পরিণত করতে বেসরকারি খাত, বিশেষ করে এমএনওগুলোকে নিজেদের থেকে সামনে এগিয়ে আসতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার ও ইন্টারনেটে গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য রিসোর্স  সহজলভ্য করার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন বেশ ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবঞ্চিত আরও বেশি মানুষকে  আমাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সাইটের ফেসবুক পেজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভার্চুয়াল চ্যানেল ব্যবহারে সহায়তা করবে। এ ধরনের সেবা সাশ্রয়ী মূল্যে সবার জন্য কানেক্টিভিটি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্যপূরণে সহায়তা করবে।”          

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “বৈশ্বিক মহামারি ডিজিটালভাবে কানেক্টেড সমাজ ও অর্থনীতির পথে আমাদের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করেছে এবং এর ফলে, বিশেষত আমাদের মতো দেশগুলোতে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বস্তরের মানুষের জন্য ডিজিটাল সমাধানের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করতে গ্রামীণফোন উদ্ভাবন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি যথাযথ ব্যবহারের লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যতম বড় ফেসবুক ইউজার বেসের প্রয়োজনীয়তা পূরণে একইসাথে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করাতেই মেটা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে যৌথ উদ্যোগ – আজকের এই উন্মোচন।”

তিনি বলেন, “ডেটা ছাড়াই এই যুগে সকলে যাতে তথ্য জানার সুযোগ পায়, আমাদের এমন একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণের  সুযোগ করে দেয়ার জন্য আমি নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”

মেটা’র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের  ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অপারেটর পার্টনারশিপের ডিরেক্টর পল কিম বলেন, “মানুষকে কানেক্টেড থাকতে সাহায্য করা এবং ইন্টারনেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ রিসোর্সে তাদের ধারাবাহিক অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মানুষের জন্য আরও উন্নত কানেক্টিভিটি এবং অ্যাক্সেস নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই প্রোগ্রামগুলোতে অবদান রাখতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ।”

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন