ক্যাশ অন ডেলিভারি চালু করেছে ইভ্যালি

টিভি২৪ ডেস্ক:  ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসে ক্যাশ অন ডেলিভারিতে (সিওডি) গ্রাহকদের ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ইভ্যালি।

বর্তমান পরিস্থিতে সিওডিতে পণ্য কেনা-বেচার সুযোগ তৈরি হওয়ায় ইভ্যালির কার্যক্রম স্বাভাবিক হচ্ছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত শনিবার থেকে ‘ফ্রেন্ডস ডিল’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সিওডিতে পণ্য বিক্রয় শুরু করে ইভ্যালি। নতুন এই পদ্ধতিতে এখন পর্যন্ত যুক্ত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার বিক্রেতা। বিভিন্ন ধরনের ফুড রেস্টুরেন্ট, ফ্যাশন আইটেম ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, স্মার্ট ফোন এবং লাইফস্টাইল পণ্যসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির পণ্য নিয়ে ফ্রেন্ডস ডিলে অংশ নিচ্ছেন বিক্রেতারা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিক্রেতার সংখ্যা পাঁচ হাজারে উন্নীত হবে বলে আশা রাখছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিক্রেতাদের পাশাপাশি ক্রেতাদের পক্ষ থেকেও দারুণ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল। তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের ব্যাংক হিসাব এবং পেমেন্ট গেটওয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে সেহেতু গ্রাহক এবং বিক্রেতাদের সুবিধার জন্য আমরা ক্যাশ অন ডেলিভারি পদ্বতিতে পণ্য বিক্রি শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত মোট এক হাজার ৫০৩টি শপ লাইভ রয়েছে। এদের মধ্যে রেগুলার শপ ৬৮০টি, এক্সপ্রেস শপ ৬২০টি এবং ফুড শপ ২৩০টি। এছাড়াও ফ্রেন্ডস ডিল এ রয়েছে ১২৫টি শপ।

ক্যাশ অন ডেলিভারি এর সবথেকে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে, বিক্রেতারা সরাসরি তাদের পেমেন্ট পাচ্ছেন। অন্যদিকে গ্রাহকেরাও পণ্য বুঝে নিয়েই মূল্য পরিশোধ করেছেন। এর ফলে আমাদের নিয়ে একটা অভিযোগের যে বড় জায়গা, গ্রাহকদের পণ্য পেতে দেরি হয়; সেসব সমস্যার সমাধান হলো।

ইভ্যালির বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে রাসেল বলেন, যেহেতু সরকারি সংস্থা এবং বিজনেস ট্রেড বডি অনুসন্ধান করছে, আমরা তাদেরকে পূর্ণ সহায়তা করে যাব। আমাদের বিশ্বাস আমরা অনৈতিক এবং অবৈধ কিছু করিনি আর সে বিষয়টিই তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। এর বাইরেও আমাদের ডেলিভারি, রিফান্ড বা সেলারের পেমেন্ট নিয়ে যে ইস্যুগুলো উঠে এসেছে, সেগুলোও আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধানে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।

 

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন