অবমুক্ত হলো ইন্টেলের দ্বাদশ প্রজন্মের প্রসেসর

টেকভিশন২৪ ডেস্ক রিপোর্ট : অল্ডারলেক, ইন্টেলের দ্বাদশ প্রজন্মের প্রসেসর অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাজারে এসেছে। আর এর সঙ্গেই সূচনা ঘটেছে মাইক্রোচিপের সম্পূর্ণ নতুন একটি ধারার।

মাইক্রোপ্রসেসর জায়ান্ট ইন্টেলের নতুন প্রজন্মের এই প্রসেসরের সামনের সারিতে আছে কোর আই৯-১২৯০০কে ডেস্কটপ সিপিইউ। এতে যুক্ত হয়েছে নতুন অনেক আপগ্রেড ও উদ্ভাবন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দ্রুতগতির ডিডিআর৫ র‌্যাম স্ট্যান্ডার্ড এবং পিসিআই এক্সপ্রেস ৫.০-এর জন্য নতুন একটি আপগ্রেড।

মাইক্রোসফটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য নতুন এই মাইক্রোপ্রসেসরকে অপটিমাইজ করেছে ইন্টেল। যুক্ত হয়েছে নতুন শিডিউলিং বৈশিষ্ট্য যার সুবাদে কোন কোরকে কোথায় কেন ব্যবহার করা হচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করে কোর আই৯-১২৯০০কে প্রসেররকে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে লোড করা যাবে।

ফোর্বস পত্রিকা নতুন এই চিপ সম্বন্ধে বলেছে, গত এক দশকে পারফরম্যান্সের বিচারে এটিই সবচেয়ে বড় অর্জন। নতুন এই প্রসেসরে ব্যবহৃত হয়েছে হাইব্রিড আর্কিটেকচার যা আরেগর প্রজন্মের প্রসেসরের তুলনায় দ্বিগুণ দ্রুতগতিতে কনটেন্ট তৈরি করতে পারে। সর্বোচ্চ ৫.২ গিগাহার্টজ টার্বো বুস্টের ক্ষমতাসম্পন্ন সর্বোচ্চ ১৬ কোর ও ২৪ থ্রেডের এই প্রসেসর গেমার ও প্রফেশনাল ডেভেলপারদের জন্য আদর্শ বলে জানিয়েছে ইন্টেল।

এটিকে বিশ্বের সবসেরা গেমিং প্রসেসর বলেও দাবি করেছে তারা। ইন্টেল ৭ টেকনোলজির ওপর ভিত্তি করে তৈরি এই প্রসেসর সমস্ত পিসি সেগমেন্টে ৯ থেকে ১২৫ ওয়াট পর্যন্ত পারফরম্যান্স প্রদান করতে পারে।

ইন্টেলের ক্লায়েন্ট কম্পিউটিং গ্রুপ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল ম্যানেজার গ্রেগরি ব্রায়ান্ট এ প্রসেসর সম্বন্ধে বলেছেন, ‘দ্বাদশ প্রজন্মের ইন্টেল কোর প্রসেসরের হাইব্রিড স্থাপত্যের পারফরম্যান্স-এ যে স্থাপত্যগত অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে সেটি সম্ভব হয়েছে সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে, যা পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে কয়েক প্রজন্ম ধরে নতুন পর্যায়ের নেতৃত্ব প্রদান করবে।

গেমিং-এর কথা বিবেচনা করলে আগের প্রজন্মের তুলনায় কোর আই৯-১২৯০০কে প্রসেসরের পারফরম্যান্স বেড়েছে প্রচুর। উদাহরণস্বরূপ, ট্রয়: আ টোটাল ওয়ার সাগা গেমে ২৫ শতাংশ বেশি এফপিএস (ফ্রেমস পার সেকেন্ড), হিটম্যান ৩ গ্রেমে ২৮ শতাংশ বেশি এফপিএস এবং ফার ক্রাই ৬ গেমে ২৩ শতাংশ বেশি এফপিএস পাওয়া যাবে।

এছাড়া ফটো এডিটিং-এর ক্ষেত্রে ৩৬% বেশি পারফরম্যান্স, দ্রুতগতির ভিডিও এডিটিং-এ ৩২% ও থ্রিডি মডেলিং পারফরম্যান্সে প্রবৃদ্ধি ঘটবে সর্বোচ্চ ৩৭ শতাংশ।

নতুন এসব প্রসেসরে ইন্ডাস্ট্রির সর্বাধুনিক ওভারক্লকিং টুল ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে প্রচুর কাস্টমাইজেশন ঘটানো যাবে, বিশেষ করে এফিশিয়েন্ট কোর ও ডিআির৫ মেমোরির ক্ষেত্রে।

-ডিএসএস/নভে০৭/২১

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন