টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড, কাইন্ডনেস ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ বিষয়টিকে সামনে রেখে কাজ করবে অপো এবং ৩+এন+এক্স টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজি প্রণয়ন। রোলেবল কনসেপ্ট হ্যান্ডসেট অপো এক্স ২০২১, অপো এআর গ্লাস ২০২১ এবং সাইবরিয়েল এআর অ্যাপ্লিকেশন সবার জন্য উন্মুক্ত করেছে, যা হিউম্যান-টেক ইন্টাররেকশনের সম্ভাবনাকে উন্মোচন করবে।
টিভি২৪ ডেস্ক: ’লিপ ইনটু দ্য ফিউচার’ প্রতিপাদ্যে আজ চীনের শেনঝেনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো অপো ইনো ডে ২০২০ । ইন্টারনেট অব এক্সপেরিয়েন্সের পরিপ্রেক্ষিতে অপো প্রথমবারের মতো তাদের ‘৩+এন+এক্স’ টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজিতে বেশ কিছু বিষয় সংযুক্ত করেছে। এগুলো হলো: ‘টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড, কাইন্ডনেস ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ ও ‘ভার্চুয়াস ইনোভেশন’। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটি অপো এক্স ২০২১ রোলেবল কনসেপ্ট হ্যান্ডসেট, অপো এআর গ্লাস ২০২১ ও অপো সাইবরিয়েল এআর অ্যাপ্লিকেশন উন্মোচন করেছে।
অপো ইনো ডে ২০২০ এর অনুষ্ঠানে অপো’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও টনি চেন বলেন, ‘ক্রেতাদের চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী ৩+এন+এক্স টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজি’র মাধ্যমে চমৎকারসব পণ্য ও ভার্চুয়াস ইনোভেশনে অপো সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অপো ‘টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড, কাইন্ডনেস ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ এ বিশ্বাস করে এবং এটিই মানুষের জন্য প্রতিটি করপোরেট ইনোভেশনের উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ।
তিনি বলেন, ’৩’ বলতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিকে বোঝায়। এগুলো হলো: হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং সার্ভিসেস টেকনোলজিস, যা অপোকে বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যবহারকারীদের উন্নত জীবনের অধিকারী হতে সাহায্য করবে। ‘এন’ অপোর বিপুল সংখ্যক গুরুত্বপূর্ণ সক্ষমতাকে প্রতিনিধিত্ব করে। এগুলো হলো: এআই, সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রাইভেসি, মাল্টিমিডিয়া ও ইন্টারকানেক্টিভিটি। ‘এক্স’ দিয়ে অত্যাধুনিক ও ভিন্নধর্মী প্রযুক্তি ও কৌশলগত উপাদানসমূহকে বোঝায়। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তি যা উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে উন্নত করবে।
অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে অপো’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের হেড লেভিন লিউ বলেন, ‘টেকনিক্যাল দক্ষতার উন্নয়ন বেশ গুরুত্বপূর্ণ, তবে এগুলো উদ্ভাবনী উপায়ে একীভূত করাটা আরো গুরুত্বপূর্ণ। সকল ধরনের জটিতলা দূর করে ব্যবহারকারীদের জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করা উচিৎ।’
অনুষ্ঠানে অপো তিনটি কনসেপ্ট পণ্য উন্মোচন করে। যা মানুষের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বিকাশে নতুন সম্ভাবনা ও সামনের দিনগুলোত প্রযুক্তির বিকাশে সাহায্য করবে।
অপো এক্স ২০২১ রোলেবল : অপো এক্স ২০২১ রোলেবল কনসেপ্ট হ্যান্ডসেটটি ফ্লেক্সিবল ডিসপ্লে এবং স্ট্রাকচারাল স্ট্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে অপোর গবেষণা ও উন্নয়নের সর্বশেষ অর্জন, যা ব্যবহারকারীদের আরো ন্যাচারাল ইন্টারেক্টিভ অভিজ্ঞতা দিবে। কনসেপ্ট হ্যান্ডসেটটিতে অপোর তিনটি প্রোপ্রাইটারি টেকনোলজি রয়েছে। এগুলো হলো: রোল মোটর পাওয়ারট্রেন, ২-ইন -১ প্লেট এবং সেলফ ডেভেলাপড ওয়ার্প ট্র্যাক হাই-স্ট্রেংথ স্ক্রিন ল্যামিনেট। এগুলো ধারাবাহিকভাবে পরিবর্তনশীল ওএইলডি ডিসপ্লেকে পরিচালিত করে; যার আকার ৬.৭ ইঞ্চি এবং ৭.৪ ইঞ্চি, যা ব্যবহারকারীরা প্রয়োজন অনুযায়ী ডিসপ্লের সাথে সমন্বয় করতে পারবে।
অপো এআর গ্লাস : অপো এআর গ্লাস ২০২১ সম্পূর্ণরূপে অপোর ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড এক্সপ্লোরেশনে পুরোপুরিভাবে‘লিপ’ প্রকাশ করে। ব্র্যান্ড নিউ স্প্লিট ডিজাইন সহযোগে অপোর এআর গ্লাস ২০২১ কমপ্যাক্ট ও আল্ট্রা-লাইট। এ ডিভাইসটিতে এর আগের মডেলের তুলনায় ৭৫ শতাংশ হালকা। অপো এআর গ্লাস ২০২১ তৈরিতে বার্ডবাথ অপটিক্যাল সল্যুশন মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের অসাধারণ অভিজ্ঞতা দিবে। পাশাপাশি, অপো এআর গ্লাস ২০২১ এ ডাইভার্স সেন্সর রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে স্টেরিও ফিশআই ক্যামেরা, ওয়ান টিওএফ সেন্সর এবং একটি আরজিবি ক্যামেরা। তারা ন্যাচারাল ইন্টারেকশনকেই (স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারেকশন, জেসচার বেজড ইন্টারেকশন ও স্পেশাল লোকালাইজেশন) সমর্থন করবে না পাশাপাশি মিলি সেকেন্ডের মধ্যে থ্রি ডাইমেনশনাল স্পেশাল লোকালাইজেশন ক্যালকুলেশন, নির্দিষ্ট লোকালাইজেশন অর্জন ও ধারাবাহিক আপডেট ও ফিডব্যাকের মাধ্যমে এআর ওয়ার্ল্ডে স্পেশাল ইন্টারেকশনে ব্যবহারকারীকে ন্যাচারাল অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।
সাইবরিয়েল এআর এপ্লিকেশন: রিয়েল টাইম, স্পেশাল ক্যালকুলেশন টেকনোলজি ভিত্তিক সাইবরিয়েল এআর অ্যাপ্লিকেশন হাই-প্রিসিশন লোকালাইজেশন ও সিন রেকগনিশনে সক্ষম। এবং এটিকে অপোর তিনটি মূল প্রযুক্তিগুলো সমর্থন করে। এগুলো হলো: অ্যাকুরেটলি রিকনস্ট্রাকটিং দ্য ওয়ার্ল্ড টু দ্য সেন্টিমিটার, রিয়েল টাইম হাই-প্রিসিশন লোকালাইজেশন ও অপো ক্লাউড। যা ব্যবহারকারীদের প্রকৃত বিশ্বকে বুঝতে সহায়তা করে।
গত দুই বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে অপো ইনো ডে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে টনি চেন ভার্চুয়াস ইনোভেশনের মাধ্যমে উদার বিশ্ব তৈরিতে আশা প্রকাশ করেন। টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড, কাইন্ডনেস ফর দ্য ওয়ার্ল্ড- এ উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষের স্পর্শে টেকনোলজিক্যাল ইনোভেশন একীভূত করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের প্রাসঙ্গিক ও উপযুক্ত পারসোনালাইজড টেকনোলজি প্রদান করাই এর উদ্দেশ্য।