ইয়ুথ পলিসি ফোরামের ই-স্বাস্থ্য সেবার উপর ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত

টিভি২৪ ডেস্ক:  ওয়াইপিএফ প্রযুক্তি ও বিগ ডাটা নেটওয়ার্কের পরিচালনায় ইয়ুথ পলিসি ফোরাম গত ২৯ আগস্ট “যাচাইযোগ্য জাতীয় পরিচয় পত্রঃ ই-স্বাস্থসেবায় এর গুরুত্ব” শীর্ষক শিরোনামে একটি ওয়েবিনার সেশনের আয়োজন করেন। সেশনটিতে স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাহাদী মাশরুর মতিন, সাজিদ রহমান এবং সিলভিয়া কিউ সিনহা বর্তমান মহামারী পরিস্থিতিতে যাচাইযোগ্য স্বতন্ত্র জাতীয় পরিচয় পত্রের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

বর্তমান বিশ্ব চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের শিখরে অবস্থান করছে। যার ফলে, তথ্য প্রযুক্তি এবং অন্যান্য সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তৈরী হচ্ছে নিত্য নতুন সম্ভাবনাময় সুযোগ। ই-স্বাস্থ্যসেবায় যাচাইযোগ্য জাতীয় পরিচয়পত্রের অন্তর্ভুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাপ্তরিক কাজ থেকে শুরু করে তথ্য ব্যবস্থাপনাসহ সকল প্রাত্যহিক কার্যনির্বাহের জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ ও গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিচয় পত্র একটি স্বতন্ত্র কোড হিসেবে প্রতিটি রোগীকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হবে।  

মাহদী মাশরুর মতিন বলেন, “আমরা যদি প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি ডিজিটালি যাচাইযোগ্য পরিচয় পত্রের ব্যবস্থা করতে পারি, তাহলে সরাসরি উপস্থিত না থেকেও নাগরিকেরা যেকোনো সরকারি সেবা গ্রহণ ও ফর্ম পূরণ করতে পারবে।” 

সাজিদ রহমান বলেন, “অধিকাংশ প্রযুক্তিগত সেবার ভিত্তিই বেসরকারি আইডির উপর নির্ভরশীল। একটি অনলাইন এবং অফলাইন ভিত্তিক সুসংগত স্বাস্থসেবা গড়ে তোলা বর্তমানে খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে এক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে যেহেতু এতে খরচ বৃদ্ধির একটা সম্ভাবনা রয়েছে, তাই অনেক প্রতিষ্ঠানই এরকম নীতির বাস্তবায়ন নিয়ে কিছুটা দ্বিধান্বিত বোধ করে।” তিনি আরও বলেন, “রোগীদের সরবরাহকৃত তথ্যের নিরাপত্তার জন্য এরুপ একটি ব্যবস্থা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। কারণ রোগীরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে শতভাগ বিশ্বাস করে থাকে।”

সিলভিয়া কিউ সিনহা বলেন, “অনেক বাংলাদেশীই চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের উপেক্ষিত মনে করেন। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে নিজেদের চিকিৎসার কাগজপত্র নিয়ে প্রতিনিয়ত ঘুরে বেড়ালেও প্রায়ই চিকিৎসকদের যথাযোগ্য সেবা ও পরামর্শ পান না। এছাড়া করোনা সংক্রমণের পর থেকে দেশে এই চর্চাটি আরো বেড়ে গেছে। দুর্ভাগ্যবশত, এই পরিস্থিতিতে  নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত চিকিৎসা সেবা না পেলে রোগীরা খুব সহজেই আরো জীবননাশক অবস্থায় পতিত হতো।”

তিনি প্রাভার হেলথ ইনফরমেশন সার্ভিসের কথা বলতে গিয়ে- কিভাবে প্রাভার সম্মিলিত হাসপাতাল তথ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে রোগীদের যাবতীয় তথ্য সুনিশ্চিত ভাবে সংরক্ষন ও সরবরাহ করা হয়ে থাকে তা ব্যক্ত করেন। 

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন