গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট নীতিমালা করতে চায় জাতিসংঘ

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিভাবে যোগাযোগ আরও বাড়ানো যায় তার জন্য গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট নীতিমালা করতে চায় জাতিসংঘ। বিশ্বনেতাদের কাছে নীতিমালায় কী কী থাকবে তা তুলে ধরা হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার যেন জনগণের কাছে সহজলভ্য হয় সেটিও করতে চান তারা। তাই এবারের জাতিসংঘ সম্মেলনকে বলা হয়েছে সামিট অফ দা ফিউচার। সম্মেলনে কাল সোমবার থেকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। খবর এখন।

টেকসই উন্নয়ন, স্বাস্থ্যঝুঁকি, প্রতিটি ক্ষেত্রে সমতা নিশ্চিত করা, নারী ক্ষমতায়নসহ নানা বিষয় নিয়ে ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন সাইড ইভেন্টে আলোচনা হয়েছে।

দ্বিতীয় দিনের সেশনে মূল আলোচনা ছিলো বিশ্বের সাথে ডিজিটাল গ্লোবাল কমপ্যাক্ট কিভাবে ছড়িয়ে দেয়া যায়; যার মাধ্যমে আরও বেশি বাড়বে তথ্য আদান-প্রদান।

বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বে এখন অনেক দূর এগিয়েছে।। তবে আরো সহজে কিভাবে এই প্রযুক্তিকে মানুষের কাছে সহজলভ্য করা যায় তার একটি পলিসি নিয়ে কাজ করছে জাতিসংঘ। এই পলিসিতে গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্টে কী বিষয়গুলো থাকবে; তা বিশ্ব নেতাদের কাছে তুলে ধরা হবে। সবাই একমত হলে পুরো বিশ্বই উপকৃত হবে। সম্মেলনে বাংলাদেশকে এ বিষয়ে জোরালো ভূমিকা রাখা উচিত বলে মনে করেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের হিউম্যান কনসার্নের সিইও মাসুম মাহবুব বলেন, ‘কানেক্টিভিটি অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে রিসোর্চ সহজেই শেয়ার করা যাচ্ছে।’

সম্মেলনে তরুণদের নিয়েও আয়োজন করা হয় নানা ইভেন্ট।। তারা বলছেন, জাতিসংঘ প্রতিনিয়ত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলছে। কিন্তু বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বই ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানা জটিলতায় পড়ছে। এ থেকে কিভাবে উত্তরণ সম্ভব তা নিয়েও আলোচনা হয় ইভেন্টগুলোতে।

কানাডা ডিজিসির ইয়ুথ এডভাইজার রাকিব আনাম বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ডেটা যখন ইন্ট্রিগ্রেট না করা হয় তথন টেকসই উন্নয়নের গোলগুলো রিচ করতে আমাদের দেরি হয়ে যায়।’

এবারের জাতিসংঘ সম্মেলনে বাংলাদেশের হয়েও বেশ কয়েকজন তরুণ অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনের তৃতীয় দিন থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন