টেকভিশন২৪ ডেস্ক: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মেয়েরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে, এটি বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকার আলাদা ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করছে।’
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে আইসিটি বিভাগের কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান দ্য কার্টার সেন্টারের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় দ্য কার্টার সেন্টারের সিনিয়র অ্যাডভাইজার জেনি কে লিংকন বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারীরা কীভাবে তাঁদের জীবনমান উন্নয়ন ঘটাতে পারে, সে বিষয়ে তাঁরা কাজ করছেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান ছাত্রদের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। এ আন্দোলনের মাঝপথে ইন্টারনেট বন্ধ করে গুম ও খুনের তথ্য গোপন করে জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। বাংলাদেশে আর কেউ যেন এভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে মানুষের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার ক্ষুণ্ন করতে না পারে, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে।’
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশনের নামে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি করেছে, ফলে মানুষ কাঙ্ক্ষিত সুফল পায়নি। সে ক্ষেত্রে এক ধরনের ডিজিটাল ডিসক্রিমিনেশন তৈরি হয়েছে, আমরা তা দূর করতে চাই। বাংলাদেশের মানুষের ডিজিটাল লিটারেসি দরকার। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে।’
জনগণ তথ্য পাওয়ার জন্য উদ্গ্রীব এই সময় তাঁরা সঠিক তথ্য না পেলে ভুল এবং বিভ্রান্তকর তথ্য ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করেন জেনি কে লিংকন। কীভাবে দেশব্যাপী বিভিন্ন তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে দ্য কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তারা দেশব্যাপী তথ্য প্রচারের দায়িত্ব পালন করেন, যারা তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা। দেশব্যাপী তথ্য প্রচারের এ কার্যক্রম প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকেও মনিটর করা হয়।’
উপদেষ্টা বলেন, সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে যে সকল কমিশন গঠন করা হয়েছে, তাঁরা নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু করে জনগণের মতামত সংগ্রহ করছে। এসব বিষয়ে দ্য কার্টার সেন্টারের কোনো মতামত থাকলে তা প্রদানের জন্য প্রতিনিধি দলকে আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
দ্য কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি জানান, জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং তথ্য অধিকার আইনের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্তিতে নারীদের অধিকতর সক্ষম করে তোলার পাশাপাশি, জাতীয় ও কর্ম এলাকার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহকে কার্যকর এবং শক্তিশালী করার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভূমিকা রাখবে।
সাক্ষাৎকালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, দ্য কার্টার সেন্টার বাংলাদেশের চিফ অব পার্টি সুমনা সুলতানা মাহমুদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।