টেকভিশন২৪ ডেস্ক: ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেছেন, মন্ত্রণালয় ভিত্তিক বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কাছে আদায়যোগ্য ভূমি উন্নয়ন কর সঠিকভাবে সংগ্রহ করতে পারলে দেশের অর্থনীতি বিকশিত হবে। এজন্য তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান সমৃদ্ধ জনবল ও অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সঠিক ও নির্ভুল কর আহরণ করতে হবে। খবর সময় নিউজ।
রোববার (১০ নভেম্বর) ভূমি ভবনের সেমিনার হলে ভূমি সংস্কার বোর্ড আয়োজিত বিভিন্ন সংস্থার ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
ভূমি সচিব বলেন, বিভিন্ন সংস্থার ভূমি উন্নয়ন কর একটি যৌথ কর্ম প্রয়াস, যেখানে ভূমি অফিস ভূমির তথ্য, কর নির্ধারণ এবং আদায় প্রক্রিয়া পরিচালন করবে। এছাড়া সংস্থাগুলোকে ভূমি উন্নয়ন ও সঠিকভাবে কর পরিশোধের ভূমিকা পালন করতে হবে। এতে করে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, যা দেশের অবকাঠামো ও টেকসই উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কর্মশালায় জানানো হয়, সম্প্রতি ভূমি উন্নয়ন কর আইনানুযায়ী প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন উন্নয়ন কর আদায় সময়কাল নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে করে জাতীয় অর্থবছরের সঙ্গে সমন্বয়ের ফলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ভূমি মালিকের ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান সম্পর্কিত হিসাব ব্যবস্থাপনা অধিকতর সহজ ও গতিশীল হবে।
কোনো কোনো সংস্থার ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে কর্মশালায় আরও জানানো হয়, সংস্থার ভূমি রেকর্ড হালনাগাদ না থাকা। অনেক ক্ষেত্রে সংস্থার নামে অধিগ্রহণকৃত ভূমি দীর্ঘদিন ধরে সংস্থা ব্যবহার করলেও তাদের নামে রেকর্ড বা নামজারি থাকে না। ফলে সঠিক দাবি নির্ধারণ ও আদায় হোল্ডিং না থাকা। সংস্থার নামে অনলাইন হোল্ডিং না থাকাসহ সংস্থা এবং ভূমি অফিস উভয়ের তত্ত্বাবধানের অভাব রয়েছে।
পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে সংস্থাগুলোর সঙ্গে ভূমি অফিসের যোগাযোগের অভাব রয়েছে। ফলে সংস্থা তাদের করের বিষয়ে জানতে পারে না। এ ছাড়া সংস্থাগুলোতে এ খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকা। ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে ভূমি রেকর্ড নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে, সিস্টেমে সংস্থার হোল্ডিং শতভাগ এন্ট্রি সম্পন্নকরণ ও অনলাইন নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে। সঠিক সময়ে সংস্থাকে উন্নয়নের করের দাবি অবহিতকরণের পাশাপাশি জমি অধিগ্রহণ হলে তা দ্রুত নামজারি সম্পন্ন করতে হবে বলেও পরামর্শ দেয়া হয় কর্মশালায়।
কর্মশালায় ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মন্ডল, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইবরাহিম, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক মনিরুজ্জামান প্রমুখ।