মহাকাশে কাঠের তৈরি স্যাটেলাইট পাঠাবে নাসা ও জাপান

২০২৪ সালের মধ্যেই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ও জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা যৌথভাবে ম্যাগনোলিয়া কাঠের তৈরি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করবে। এই স্যাটেলাইটের নাম দেওয়া হয়েছে লিগনোস্যাট। কিন্তু কাঠের স্যাটেলাইট কেন, এর সুবিধাই বা কী? মহাকাশযানকে আরও টেকসই করতেই এই প্রচেষ্টা বলে জানিয়েছে বিশ্বের অন্যতম এই দুই মহাকাশ সংস্থা।

মহাকাশে বায়ুমণ্ডল বা পানির উপস্থিতিতি নেই। সেখানে জীবাণুর আক্রমণ হওয়ারও কোনো সুযোগ থাকবে না। তাই কাঠের হলেও পচে নষ্ট হওয়ার ভয় থাকছে না। কোনোভাবে যদি এটা কক্ষপথ থেকে বিচূত হয়ে পৃথিবী থেকে ফিরেও আসে, তাহলে বড়সড় কোনো দুর্ঘটনার ঘটার আশংকা থাকছে না। কারণ কাঠ বায়ুমণ্ডলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে ছাই হয়ে যাবে।

চলতি বছর ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে প্রথম এ ধরনের তিনটি নমুনা স্যাটেলাইট নিয়ে একটি সফল পরীক্ষা চালানো হয়। এই সফলতা এখন নাসা ও জাক্সাকে মহাকাশে কাঠের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনে উৎসাহিত করছে। সেই পরীক্ষায় মহাকাশের তাপ, ক্ষতিকর মহাজাগতিক বিকিরণ কিংবা সৌর কণার আঘাতেও ম্যাগনোলিয়া কাঠের নমুনায় কোনো বিকৃতি দেখা যায়নি। অর্থাৎ মহাকাশে টিকে থাকার সব ক্ষমতা এই কাঠের নমুনার রয়েছে।

ভবিষ্যতে কাঠের নভোযান যেমন বড় দুর্ঘটনা এড়িয়ে বহুদিন টিকে থাকতে সক্ষম হবে, তেমনি কাঠের তৈরি বলে নির্মাণ খরচও হবে তুলনামূলক অনেক কম। যে তিনটি কাঠের নমুনা মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হয়েছিল, সেগুলো তিনটি আলাদা কাঠের তৈরি — ম্যাগনোলিয়া, চেরি ও বার্চ। এর মধ্যে ম্যাগনোলিয়ায় সবচেয়ে উপযুক্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে। ফেটে যাওয়া বা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাও এ কাঠের কম।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন