দক্ষিণ কোরিয়ায় ওয়ালটনের রিসার্চ সেন্টার চালু

ওয়ালটন
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদের উপস্থিতিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় রিসার্চ সেন্টার স্থাপন এবং দেশটির খ্যাতনামা ডিজাইন হাউজের সঙ্গে ওয়ালটনের চুক্তি।

পণ্যের মান ও ডিজাইনে আসছে যুগান্তকারী পরিবর্তন

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ায় চালু হলো ওয়ালটনের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (গবেষণা ও উদ্ভাবন) সেন্টার। এ উদ্দেশ্যে দেশটির খ্যাতনামা একটি ডিজাইন হাউজের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওয়ালটন। চুক্তি অনুযায়ী ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্যের মান ও ডিজাইনে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে উভয় প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজ করবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় রিসার্চ সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশে তৈরি আন্তর্জাতিকমানের পণ্য দিয়ে বিশ্বজয়ের অগ্রযাত্রায় আরো একধাপ এগিয়ে গেলো ওয়ালটন।

সংশ্লিষ্টদের মতে, ওয়ালটনের এই উদ্যোগের ফলে পণ্যের মান ও ডিজাইনে আমূল পরিবর্তন আসবে। এতে করে উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও, বাংলাদেশের ক্রেতারা প্রকৃত অর্থেই পাবেন আন্তর্জাতিক মান ও ডিজাইনের পণ্য ব্যবহারের অভিজ্ঞতা। সেই সঙ্গে গ্লোবাল মার্কেটে ওয়ালটন পণ্য আরো বেশি গ্রাহকপ্রিয় হবে।

জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী ব্যবসা সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ। তাঁর উপস্থিতিতে গত ২ জুন, ২০২২ (বৃহস্পতিবার) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। তবে চুক্তির শর্ত মেনে কোরিয় ডিজাইন হাউজটির নাম প্রকাশ করেনি কোনো পক্ষই।

প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি অর্ধশতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী ইউরোপীয় তিনটি ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড এবং এর প্রোডাকশন প্ল্যান্ট, ৫৭টি দেশে ট্রেডমার্ক, প্যাটেন্ট, ডিজাইন এবং সফটওয়্যার লাইসেন্সসহ স্বত্ব লাভ করে। এবার দক্ষিণ কোরিয়ায় গবেষণা ও উদ্ভাবন সেন্টার স্থাপন করলো; ওয়ালটনের সঙ্গে যুক্ত হলো দেশটির একটি স্বনামধন্য ডিজাইন হাউজ। ওয়ালটনের এসব উদ্যোগ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের মর্যাদা লাভে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়ার যে টার্গেট ওয়ালটন নিয়েছে, তা অর্জনের পথ সুগম করবে।

এ প্রসঙ্গে ওয়ালটনের এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া নিঃসন্দেহে বর্তমান বিশ্বের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের অন্যতম কেন্দ্র। দেশটিতে রিসার্চ সেন্টার স্থাপন এবং খ্যাতনামা একটি ডিজাইন হাউজের সঙ্গে যৌথভাবে কাজের উদ্যোগ বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স খাতের জন্য একটি জায়ান্ট স্টেপ। এতে ওয়ালটনের সক্ষমতার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার এক্সপার্টাইজ মিলিয়ে ক্রেতারা আন্তর্জাতিক মানের ইনোভেটিভ ডিজাইনের পণ্য পাবেন।

খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, কোভিড পরবর্তী সময়ে ভূ-রাজনৈতিক সংকটের মাঝে বিশ্ব এখন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দারুণভাবে চলছে বাংলাদেশী ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের বিশ্বজয়ের অগ্রযাত্রা। যা বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য শিল্পখাতে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন