‘নগদ’-এ ডিএনসিসির হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্সের ফি

ডিএনসিসি

টেকভিশন২৪ ডেস্ক:  দেশের জনপ্রিয় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ফলে ঢাকা উত্তর সিটির নগরবাসীরা এখন থেকে খুব সহজেই তাদের হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্সের ফি পরিশোধ করতে পারবেন ‘নগদ’-এ।  

আজ (রবিবার) নগর ভবনের কনফারেন্স হলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ও ডাক বিভাগের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর মাঝে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

এসময় চুক্তিপত্রে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সাক্ষর করেন ‘নগদ’-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাহেল আহমেদ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ মিয়া। অনুষ্ঠানে নগদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিজনেস সেলস-এর প্রধান মোঃ সাইদুর রহমান দিপু, কি স্টেকহোল্ডার ম্যানেজমেন্ট প্রধান স্কোয়াড্রন লিডার আসমা আলমগীর (অব.), স্ট্র্যাটেজিক সেলস-এর প্রধান এ.বি.এম. মান্নাফ পরাগ। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. সেলিম রেজা, ডিএনসিসির সচিব (যুগ্ম-সচিব) মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপ-সচিব) মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহঃ আমিরুল ইসলাম, পিএসসি; ধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ উল ইসলাম, (এন), এনপিপি, পিসিজিএম, পিসিজিএমএস, পিএসসি, বিএন।

এই চুক্তির ফলে নগরবাসীরা ১লা এপ্রিল ২০২২ থেকে ডিএনসিসি হোল্ডিং ট্যাক্স, নতুন লাইসেন্স এবং লাইসেন্স নবায়ন ফি পরিশোধ করতে পারবেন ডাক বিভাগের ‘নগদ’-এ, যা তাদের দীর্ঘদিনের দূর্ভোগ কমাবে।

এ ছাড়া আগামী ১লা এপ্রিল ২০২২ থেকে ডিএনসিসি এর নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরাসরি অর্থ প্রদানের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স অথবা গৃহকর পরিশোধ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে, নগরবাসীরা হোল্ডিং ট্যাক্স এর ফি কেবলমাত্র অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।

চুক্তির আওতায় নগরবাসীরা ঘরে বসেই নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ ও নবায়ন ফি পরিশোধ করতে পারবেন ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ওয়েবসাইটে গ্রাহকরা অনলাইনে বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে এই সুবিধাটি উপভোগ করতে পারবেন। সুবিধাটি পেতে, (ডিএনসিসি)-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে ‘নগদ’ অ্যাপসের বিল পে- অপশন অথবা ইউএসএসডি (*167#) এর মাধ্যমে সহজেই এই ফি পরিশোধ করতে পারবেন তারা।

অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মাননীয় মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, “আমাদের সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক রাজস্ব আদায়ের এই ডিজিটাল পক্রিয়ার অংশ হতে অনেকেই চেয়েছিলেন কিন্তু আমরা নগদ কেই প্রাধান্য দিয়েছি, কারণ নগদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অধ্যাদেশ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা আজ হোল্ডিং ট্যাক্স ও লাইসেন্স পেমেন্ট ডিজিটাল পদ্ধতিতে এনেছি, ভবিষ্যতে সকল লেনদেন এই আওতায় চলে আসবে। পাশাপাশি আমরা চাই নগদ এর মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশন এর কাজ আরও এগিয়ে যাক।

এই সমঝোতা চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে মেয়র নগদবাসীদের আহ্বান করেন, আপনারা আসুন এবং এই সেবা ব্যবহার করুন। আশাকরি প্রতারিত হবেন না।

এ বিষয়ে ‘নগদ’-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, রাহেল আহমেদ বলেন, “নগরবাসীর বিড়ম্বনা দূর করতে (ডিএনসিসি)-এর সাথে এই চুক্তিটি করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। নগদ সবসময় গ্রাহকদের জীবন সহজতর করতে সর্বাত্মক সহযোগিতায় অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা (ডিএনসিসি)-এর সকল সেবা ডিজিটাইজেশন প্রকল্পের অংশীদার হয়ে কাজ করে যেতে চাই ।বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে ‘নগদ’ সবসময় এ ধরণের উদ্যোগে পাশে থাকবে।”

চুক্তিটি ট্রেড লাইসেন্স, লাইসেন্স নবায়ন ও গৃহকর পরিশোধে নগরবাসী হয়রানি নিরসনে এবং নগরবাসীর মূল্যবান সময় বাঁচাতেও সহায়তা করবে। এই উদ্যোগটি ডিএনসিসির সকল কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজড করণ এবং ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি শক্তিশালীকরণ’ সংক্রান্ত প্রকল্পের একটি অংশ। বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ লক্ষ্য বাস্তবায়নে ‘নগদ’-এর সাথে ডিএনসিসির এটি আরেকটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন