মেন্টাল হেলথ অ্যাপস তৈরি করবে মনের বন্ধু

টেকইকম ডেক্স : করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রথম মেন্টাল হেলথ অ্যাপ তৈরি করবে মনের বন্ধু।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘অ্যাক্ট কোভিড-১৯’ অনলাইন হ্যাকাথন। বর্তমান ও ভবিষ্যতের জাতীয় সংকট মোকাবিলার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ‘কল ফর নেশন’ নামে একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। এ প্ল্যাটফর্মের প্রথম কার্যক্রম হিসেবে এই হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মেন্টাল হেলথ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছে ‘মনের বন্ধু’।

বাংলাদেশের প্রথম মেন্টাল হেলথ বা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন যা করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করবে- এই অ্যাপ তৈরি করবে মনের বন্ধু। যা মনের বন্ধু অ্যাপ নামে পরিচিত হবে। ‘আমাদের দেশে অনেক প্রতিভাবান তরুণ আছে। তাদের কেউ কেউ বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক বা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। করোনাভাইরাসের ফলে যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তাতে তরুণদের উদ্ভাবন ও নেতৃত্ব দিয়েই এ পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। কল ফর নেশন প্লাটফর্মে প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের এ সমস্যা সমাধান করে দেশেকে সুন্দরের দিকে নিয়ে যাবে। ৮ জুন সোমবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এবং কল ফর নেশন প্লাটফর্মের আওতায় অনুষ্ঠিত অ্যাক্ট কোভিড-১৯ অনলাইন হ্যাকাথনের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমনটাই জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

অনুভুতি জানাতে গিয়ে মনের বন্ধুর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তৌহিদা শিরোপা জানান, করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই আমরা সারা দেশের মানুষকে ইউএনডিপির সহায়তায় বিনামূল্যে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছি। দিনরাত ২৪ ঘন্টা আমাদের টিম কাজ করছে। মনের বন্ধুর টিম স্পিরিট কাজ করছে এর পেছনে। এ পুরষ্কার আমাদের কাজকে আরও এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। এই পরিস্থিতিতে আরও সহজে ও বেশিসংখ্যক মানুষের কাজে পৌঁছাতে এই অ্যাপ কাজ করবে। মনের বন্ধুর প্রধান নির্বাহী জানান, মনের বন্ধু দেশের প্রথম মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অ্যাপস তৈরি করবে। করোনা পরিস্থিতিতে যাতে মানুষের হতাশা, আতঙ্ক, ভয় কাটিয়ে উঠতে পারে।

এটি মেডিটেশনভিত্তিক হবে। মাইন্ডফুলনেসসহ বাংলায় বিভিন্ন ধরনের গাইডেড মেডিটেশন থাকবে নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য। বিভিন্ন ধরনের টিপস ও লেখাও থাকবে সচেতনতার জন্য। চ্যাটবটও থাকবে এখানে।

এ ছাড়া সাইকোসোশ্যাল কাউন্সেলরদের সাথে সরাসরি সেবাও নিতে পারবেন। এর মাধ্যমে মানুষ আরও বেশি ভালো থাকতে পারবে। স্টার্ট বাংলাদেশের ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডভাইজার টিনা জাবিন বলেন, স্টার্টআপরাই আগামীদিনের বড় কোম্পানি , প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়, হবে। যেমন ধরুন মনের বন্ধু, ওরা শুরুতে আইডিয়াতে এসেছিল, আজ সেই সমর্থন নিয়ে কতটা পথ এসেছে। সারা বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করছে। এই তরুণেরাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সাথে পাশে আইডিটি ডিভিশনকে।

সমাপণী অনুষ্ঠানে এমসিসি সিইও আশ্রাফ আবিরের সঞ্চালনায় এবং আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সেক্রেটারি এনএম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনলাইন এই গ্রান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের এডিএমজিএ প্রকল্প পরিচালক নুরুজ্জামান, স্টার্টআপ বাংলাদেশ প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মুজিবুল হক, গ্রামীণফোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াসির আজমান, ব্র্যাক বাংকের পরিচালক কে এম মোর্শেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন