ইনফিনিক্সের আল্ট্রা-স্পিড স্মার্টফোন নোট ১২ প্রো বাজারে

টেকভিশন২৪ ডেস্কঃ নোট ১২ প্রো নামে নতুন স্মার্টফোন বাজারে আনার কথা ঘোষণা করেছে তরুণদের প্রিয় চাইনিজ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। নোট সিরিজের স্মার্টফোনের তালিকায় নতুন সংযোজন এই ডিভাইসে আছে হেলিও জি৯৯ প্রসেসর, ২৫৬জিবি রম আর ১৩ জিবি পর্যন্ত এক্সটেন্ডেড র‍্যাম, ১০৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ক্লিয়ার ট্রিপল ক্যামেরা এবং ৬.৭” এফএইচডি+ ট্রু কালার অ্যামোলেড ডিসপ্লে। নোট ১২ প্রো স্মার্টফোনের প্রকৃত সম্ভাবনাকে তুলে ধরে, যা একে করে তোলে সবার চেয়ে আলাদা। ব্যবহারকারীদের একটি অতুলনীয় অভিজ্ঞতা প্রদানের মাধ্যমে এটি তরুণদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে।

প্রথমবারের মতো এই দামের ভেতর পাওয়া যাচ্ছে হেলিও জি৯৯ প্রসেসর সম্পন্ন একটি হ্যান্ডসেট। হেলিও জি৯৯ হলো দু’টি হাই-পারফরম্যান্স আর্ম করটেক্স-এ৭৬ প্রসেসরসম্পন্ন একটি অক্টা-কোর সিপিউ, যা ২.২গিগাহার্জ পর্যন্ত ক্লকিং করতে পারে। এছাড়া এর উচ্চ সক্ষমতাসম্পন্ন আর্ম মালি জি৫৭-ক্লাস জিপিউ গেমিং ও ভিডিও এডিটিংয়ের মতো কঠিন গ্র্যাফিক্যাল কাজগুলো চমৎকারভাবে সামলাতে পারে। জি৯৬ ১২ এনএম-এর তুলনায় জি৯৯ ৬এনএম প্রসেসরে পাওয়ার খরচ ১০% কমে যায়।

নোট ১২ প্রো-তে আছে ৮জিবি র‍্যাম, যা মেমোরি ফিউশনের মাধ্যমে ১৩জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যায় এবং ২৫৬জিবি রম, যা ২ টেরাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যায়। এর ফলে মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে মাল্টি-টাস্ক করা সহজ হয় এবং ল্যাগ ও ব্যাটারি ড্রেইনেজ কমে যায়। মেমোরি ফিউশন ফিচারের ফলে অ্যাপের স্টার্ট টাইম ৮০২এমএস থেকে কমে ৩০৭এমএস-এ নেমে আসে, ফলে ল্যাগের হার ৬১% কমে যায়।

১০৮ মেগাপিক্সেল সিনেমাটিক ট্রিপল ক্যামেরা ও ১৬ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরার সাহায্যে নোট ১২ প্রো ব্যবহার করে কোনো ঝামেলা ছাড়াই ঝকঝকে, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ছবি তোলা যায়। প্রধান ক্যামেরাটি একটি ১/১.৬৭-ইঞ্চি সুপার লার্জ ইমেজ সেন্সর দিয়ে সজ্জিত এবং ৯-ইন-১ সুপার পিক্সেল সাপোর্ট করে যা একটি সমতুল্য পিক্সেল এলাকাকে ১.৯২ ইউএম-এ পৌঁছাতে সক্ষম করে। এছাড়া আল্ট্রা-লার্জ সেন্সিং এরিয়ার ফলে আরও বেশি ফোটন ক্যাপচার ও পর্যাপ্ত আলো নিশ্চিত করা যায়। এর ফলে সব ধরনের আলোতে পরিষ্কার তোলা সম্ভব হয়। ডিভাইসটিতে আরও আছে প্রফেশনাল নাইট সিন ফটোগ্রাফি মোড ও প্রফেশনাল পোর্ট্রেট মোড।

চমৎকার ৬.৭-ইঞ্চি এফএইচডি+ ট্রু-কালার অ্যামোলেড স্ক্রিনের সাথে এই হ্যান্ডসেট সবসময় দেয় পরিষ্কার ও ঝকঝকে রঙ। ১০০% ডিসিআই-পি৩ কালার গামুট ও ১০০০০০:১ কালার কনট্রাস্ট রেশিওর সাথে নোট ১২ প্রো আরো তীক্ষ্ণ ও বাস্তব রঙ প্রদান করে। ৬০ হার্জ রিফ্রেশ রেট, ১৮০ হার্জ টাচ স্যামপ্লিং রেট, ৯২% স্ক্রিন রেশিও এবং ৩৯৩ পিপিআই ডেনসিটির সাথে এই ডিভাইস দিচ্ছে একটি সত্যিকারের ভিজ্যুয়াল এন্টারটেইনমেন্ট অভিজ্ঞতা।

৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারির ফলে নোট ১২ প্রো-তে ব্যবহারকারীরা পাচ্ছেন দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি-লাইফ। ৩৩ওয়াট সুপার চার্জ সুবিধা দিচ্ছে দ্রুত ফোন চার্জ করে নেওয়ার সুযোগ।

এছাড়াও, এই ডিভাইসে আছে একটি মনস্টার গেম কিট, যা ব্যবহারকারীদের দেয় দুর্দান্ত স্মার্টফোন গেমিংয়ের অভিজ্ঞতা। এর পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের সুন্দর অডিও অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য নোট ১২ প্রো-তে আছে ডিটিএস স্টিরিও সারাউন্ড সাউন্ডসম্পন্ন ডুয়েল স্পিকার।

ইনফিনিক্সের কান্ট্রি ম্যানেজার লিউ ই বলেন, “নোট ১২ প্রো তরুণদের স্মার্টফোন অভিজ্ঞতাকে বদলে দিতে এসেছে। হেলিও জি৯৯ চিপস-এর উন্নত পারফরম্যান্স এই ডিভাইসকে গেম, অ্যাপ ও দৈনন্দিন কাজের পারফরম্যান্স বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। গ্রাহকদের, বিশেষত তরুণদের, সর্বোত্তম গেমিং অভিজ্ঞতা দিতে ইনফিনিক্স দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

ইনফিনিক্স নোট ১২ প্রো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২৬,৪৯৯ টাকায়। ভলকানিক গ্রে, টাসকানি ব্লু এবং আলপাইন হোয়াইট এই তিনটি রঙে ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে।

নোট ১২ ২০২৩ নামে নোট সিরিজের আরেকটি নতুন ফোন এনেছে ইনফিনিক্স। মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ প্রসেসর, ৮জিবি র‍্যাম যা ১৩জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যায়, ৬.৭” এফএইচডি ট্রু কালার অ্যামোলেড ডিসপ্লে এবং ৫০ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা নাইট ট্রিপল ক্যামেরা সিস্টেম সম্পন্ন এই ফোনও তরুণদের প্রিয় হয়ে উঠবে বলে আশা করা যাচ্ছে। নোট ১২ ২০২৩-এর ৮+১২৮জিবি ভার্সন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৯,৯৯৯ টাকায় এবং ৮+২৫৬জিবি ভার্সন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২২,৯৯৯ টাকায়।

ইনফিনিক্স:  

ইনফিনিক্স মোবিলিটি একটি উদীয়মান প্রযুক্তি ব্র্যান্ড। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের আওতায় বিশ্বজুড়ে অনেক ধরনের ডিভাইস ডিজাইন, প্রস্তুত ও বাজারজাত করে থাকে কোম্পানিটি। আজকের তরুণদের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল ডিভাইস প্রস্তুত করা তাদের মূল লক্ষ্য। এই ফোনগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য চমৎকার স্টাইল, পাওয়ার ও পারফরম্যান্স। ইনফিনিক্সের ট্রেন্ডি ডিভাইসগুলো ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়।

“ভবিষ্যৎ আমাদের হাতের মুঠোয় (দ্য ফিউচার ইজ নাও)” মূলমন্ত্র নিয়ে ইনফিনিক্স আজকের তরুণদের স্বকীয়তা তুলে ধরার জন্য অনুপ্রাণিত করতে চায়। আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৪০টির বেশি দেশে এই কোম্পানির পণ্য বিক্রি করা হয়। বিস্ময়কর গতিতে বিস্তার ঘটছে ইনফিনিক্সের। ২০১৯-২০২১ সালে কোম্পানিটির অভূতপূর্ব ১৫৭% প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। চমকপ্রদ ডিজাইন ও দারুণ মানের ফ্ল্যাগশিপ-লেভেল ডিভাইস প্রস্তুত করা চালিয়ে যাওয়ার বড় পরিকল্পনাও তাদের রয়েছে।       

আরও জানার জন্য ভিজিট করুন: http://www.infinixmobility.com/

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন