আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ভিসিপিয়াব’র টেকসই স্টার্টআপ বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: স্থানীয় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে বেসরকারি খাতের সংস্থা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব) বৃহস্পতিবার “ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউশন: কোলাবোরেশন ফর এ সাসটেইনেবল স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম” শীর্ষক একটি অনলাইন গোলটেবিল অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

উক্ত অনুষ্ঠানে স্থানীয় উৎস থেকে মূলধন, প্রতিভা, নেটওয়ার্ক এবং অন্যান্য রিসোর্স আহরণের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগীতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

বিশ্বব্যাপী আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মের মাধ্যমে স্টার্টআপে বিনিয়োগ করে আকর্ষণীয় এবং উচ্চ লাভ অর্জন করে থাকে। বাংলাদেশে একটি অনুরূপ কাঠামো তৈরি হলে তা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম উভয়ের জন্য লাভজনক প্রতিপন্ন হবে। ব্যাংক ও এনবিএফআই যেমন সিটি ব্যাংক, ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, আইডিএলসি ফিনান্স, লঙ্কাবাংলা ফিনান্স, এবং মাইডাস ফিনান্স ইতিমধ্যে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মে বিনিয়োগের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য পোর্টফোলিও অর্জন করেছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কর্মসংস্থান ব্যাংকের চেয়ারম্যান কানিজ ফাতেমা, এবং সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কর্মসংস্থানস্থ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ তাজুল ইসলাম। ভিসিপিয়াব সভাপতি শামীম আহসানের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পেশ করেন ভিসিপিয়াব এর সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন।

জ্যেষ্ঠ সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, “নীতিমালা থেকে শুরু করে সরকার এই উদ্যোগে সকল ধরণের সমর্থন দিয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে চায়। আমরা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের প্রবৃদ্ধি রোধকারী বাধাগুলিকে চিহ্নিত করেছি। এই বাধাগুলি কাটিয়ে উঠতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”

কানিজ ফাতেমা বলেন, “সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশে একটি শক্তিশালী ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার সুযোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই এবং অবশ্যই তাদের জন্য সহায়ক স্তম্ভ হবার উপায়গুলো আমরা সন্ধান করব।”

মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পেরে আনন্দিত হব।”

ভিসিপিয়াব সভাপতি শামীম আহসান বলেন, “অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডঃ শিবলি রুবায়াত উল ইসলাম উভয়ই স্টার্টআপ ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইকোসিস্টেমকে সমর্থন দিতে এগিয়ে এসেছেন এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরিতে অবিরাম সহায়তা করে যাচ্ছেন। আমাদের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে বিলিয়ন-ডলার মূল্যমানের অন্তত পাঁচটি কোম্পানি থাকবে। এর মাধ্যমে ৫০ লক্ষ প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি এবং তথ্যপ্রযুক্তি ও স্টার্টআপ খাত থেকে জিডিপিতে ২% প্রবৃদ্ধি যুক্ত হবে।”

শওকত হোসেন বলেন, “স্টার্টআপ অর্থায়নে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল একটি প্রমাণিত মাধ্যম। এর বিভিন্ন রকম দক্ষতার প্রয়োজন হয়। উপরন্তু, ব্যাংক সরাসরি স্টার্টআপে বিনিয়োগের পরিবর্তে ভেঞ্চার ক্যাপিটালে বিনিয়োগের মাধ্যমে তাদের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারে।”

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন