আইসিটি পণ্য সেবাকে ২০২২ সালের বর্ষপণ্য ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

আইসিটি পণ্য সেবাকে ২০২২ সালের বর্ষপণ্য বা প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২২ উদ্বোধনকালে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন। আইসিটি খাতে রপ্তানিতে অর্জন হয়েছে ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, রফতানি রীতি অনুযায়ী পণ্যভিত্তিক রফতানিকে উৎসাহিত করতে প্রতিবছর একটি পণ্যকে বর্ষপণ্য অর্থাৎ প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করা হয়। এবছরের বর্ষ পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে আইসিটি পণ্য সেবাকে জাতীয়ভাবে বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করছি।

১. সম্পূর্ণ আইটি সিটি হবে আগামীর বাংলাদেশ ।
২. আইসিটি খাতে দক্ষ জনবল তৈরি হয়েছে ৩৬০০০ জন।
৩. আইসিটি খাতে প্রায় ২২০০০ জনের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
৪. হাই-টেক পার্কগুলোতে ১৭৫টি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস ও প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ।
৫. ১৪৮টি স্থানীয় স্টার্টআপ কোম্পানিকে বিনামূল্যে স্পেস/কো-ওয়ার্কিং স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
৬. ৫০০০ কোটি বিনিয়োগ হচ্ছে আই সি টি তে ।
৭. ৪৩টি সেবা অনলাইনে প্রদান করা হচ্ছে।
৮. অল্প সময়ে ও কম খরচে সেবা প্রদান করার লক্ষ্যে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে মোট ১৪৮টি সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
৯. নতুন (২৯/১২/২০২১ইং ) আরও তিনটি পার্কে একুশটি প্রতিষ্ঠানকে জমি ও স্পেস বরাদ্দ দিলো বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ । প্রায় ১০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ ও ২৫০০ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির আশাবাদ।
১০. আই সি টি খাতে রপ্তানিতে অর্জন হয়েছে ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
১১. 4g থেকে 5g উত্তরণ করেছে বাংলাদেশ। যা অনেক উন্নয়নশীল দেশ অর্জন করতে পারেনি ।
১২.  বাংলাদেশ এখন শতভাগ বিদ্যুৎ ও শতভাগ ইন্টারনেট এর আওতাভুক্ত ।
১৩. “ডেল্টা প্ল্যান ২১০০” এবং “ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০” এর সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন প্রধানমন্ত্রী।

নতুন আরও তিনটি পার্কে একুশটি প্রতিষ্ঠানকে জমি ও স্পেস বরাদ্দ দিলো বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ: প্রায় ১০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ ও ২৫০০ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির আশাবাদ ।বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি, কালিয়াকৈরে চারটি, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, চট্টগ্রামে ১৬টি এবং শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন এন্ড ট্রেনিং সেন্টার, কুয়েটে একটি প্রতিষ্ঠানকে জমি ও স্পেস বরাদ্দ প্রদান করেছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ (বুধবার) বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জমি ও স্পেস হস্তান্তরের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। চুক্তির আওতায় তিনটি পার্কে মোট ২১টি কোম্পানি বিনিয়োগের সুযোগ পেলো। চুক্তিতে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ এবং বরাদ্দপ্রাপ্ত কোম্পানির প্রধানগণ স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ।

বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে বাংলাদেশ কার্ড লিমিটেড ০৪ নম্বর ব্লকে ০৭ একর জায়গা বরাদ্দ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি সেখানে স্মার্ট কার্ড, বিশেষ নিরাপত্তা পণ্য, এটিএম মেশিন উৎপাদন ও এসেম্বল করার লক্ষ্যে প্রায় ৮৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। এর ফলে কোম্পানিটিতে আনুমানিক ৬৫০ জনের কর্মসংস্থান হবে মর্মে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এশিয়া কম্পিউটার বাজার লিমিটেডের অনুকূলে ০৬ নম্বর ব্লকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ০২ একর জমি, সেখানে তারা কম্পিউটার, স্মার্ট টিভি, নেটওয়ার্কিং ডিভাইস, সিকুরিটি সার্ভেইল্যান্স এবং স্পিকার এসেম্বল ও উৎপাদন করবে। প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাবিত বিনিয়োগ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা ৬০০ জন। সেলট্রোন ইলেক্ট্রো ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড ০৪ নম্বর ব্লকে বরাদ্দ পেয়েছে ০.৫ একর জমি যেখানে তারা রেডিও সেট এবং এফএম ট্রান্সসিভার উৎপাদন ও এসেম্বল করবে। প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাবিত বিনিয়োগ প্রায় ২৫ কোটি টাকা এবং প্রস্তাবিত কর্মসংস্থান ১৫০ জন। এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সিকে ০৪ নম্বর ব্লকে ১৪.৩৩ একর জমি বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে, সেখানে তারা অফিস ভবন ও ডরমিটরি স্থাপন করবে।

অন্যদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, চট্টগ্রামে জেনেক্স, হ্যালো ওয়ার্ল্ড, এক্সসিড বাংলাদেশ লিমিটেড, ইঞ্জেনিয়াম কনসাল্টিং, এডব্লিউ কমিউনিকেশন, কাজী কমিউনিকেশন্স, আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড, এক্সপোনেন্ট ইনফোসিস্টেম (প্রা.) লিমিটেড, ট্রাস্ট গ্লোবাল, ইমতিয়াজ এন্টারপ্রাইজ, রিয়েল আইটি, বাংলা পাজেল লিমিটেড, কোডার্স ল্যাব, প্লান-বি সলুশন, কে এ আর কমিউনিকেশন এবং সংযোগইউ ডট কম নামীয় প্রতিষ্ঠানকে রেডি স্পেস বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এই ১৬টি প্রতিষ্ঠান সেখানে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টসহ আইটির বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করবে। এছাড়া খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন এন্ড ট্রেনিং সেন্টারে হ্যামকো সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি আর এন্ড ডি সেন্টারকে স্পেসে বরাদ্দ দেওয়া হয়। একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বিনিয়োগকারীদের অর্থায়ন করার লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের সাথে পৃথক একটি সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়। এই সমঝোতার আওতায় হাই-টেক পার্কের বিনিয়োগকারীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করবে ব্র্যাক ব্যাংক।

এছাড়া আইসিটি ইন্ডাষ্ট্রি, একাডেমিয়া এবং অংশীজনদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি, আইসিটি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, নারীর সক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়ন, নারী উদ্যোক্তা এবং স্টার্টআপদের মধ্যে ইকোসিস্টেম এর উন্নয়ন, আইসিটি খাতে গবেষণা ইত্যাদি উদ্দেশ্য সাধনকল্পে ৪টি প্রতিষ্ঠানের সাথেও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ওমেন এন্ড ই-কমার্স (উই), নারী উদ্যোক্তা ফোরাম, নিবেদিতা এবং বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি)। এর ফলে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্রান্ডিং ও আইসিটি খাতের অগ্রযাত্রা আরও একধাপ এগিয়ে যাবে মর্মে আই সি টি মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, বাংলাদেশে টেকসই হাই-টেক ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম নির্মাণের এখনই উপযুক্ত সময় যেখানে হাই-টেক পার্ক অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। কোভিড-১৯ পরবর্তী বৈশ্বিক যে মন্দার ঝুঁকি রয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে শ্রম-নির্ভর অর্থনীতি যথেষ্ট নয়। চলমান পরিস্থিতিতে যেসব দেশ জ্ঞান-ভিত্তিক ও প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পের বিকাশে মনোনিবেশ করছে তারাই এফডিআই (সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ) আকৃষ্ট করতে সমর্থ্য হবে। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে, প্রযুক্তিভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করার তাগিদ দেন সিনিয়র সচিব। তিনি আরো বলেন, দেশে এই মুহূর্তে ১০টি হাই-টেক পার্ক বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত, এরমধ্যে সম্প্রতি তিনটি পার্ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে উদ্বোধন করেছেন। বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে উৎপাদিত পণ্য বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, কালিয়াকৈরে ৩৫৫ একর জমির উপর স্থাপিত “বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি” বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ফ্লাগশিপ প্রকল্প। আজ চুক্তির মাধ্যমে তিনটি পার্কে যে ২১টি প্রতিষ্ঠান জমি ও স্পেস বরাদ্দ পেলো, তারা হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, আইওটি, বিপিও, রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমন্ট (আর এন্ড ডি), ডাটা সেন্টার প্রভৃতি উচ্চ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে। এর ফলে পার্ক তিনটিতে অন্তত ১০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ ও ২৫০০ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। চুক্তি স্বাক্ষর অনু্ষ্ঠানে আইসিটি বিভাগ ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ এবং জমি ও স্পেস বরাদ্দপ্রাপ্ত কোম্পানীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় মোট রফতানি আয় ছিলো ১৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ১৩ বছরে অর্জন ৪৫ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই ব্যাপক উন্নতি আমরা করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের আগামী প্রজন্ম পাবে একটা সুন্দর সমাজ, সুন্দর দেশ, উন্নত দেশ; যে দেশ হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আত্মনির্ভরশীল, আত্মমর্যাদাশীল, উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। সেটাই আমাদের লক্ষ্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র লক্ষ্য স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি উদযাপন অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন – আমি জানি, স্বাধীনচেতা হলে অনেক বাধা আসে। আর দেশকে ভালোবেসে শুধু দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে যারা পথ চলে, তাদের পথ চলা কখনো সহজ হয় না। অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়। চলার পথ যতই অন্ধকারাচ্ছন্নই হোক না কেন, যত বন্ধুর হোক না কেন, যত কণ্টকাকীর্ণ হোক, সেখানে আমরা থেমে থাকব না। অন্তত আমি এই প্রতিজ্ঞা করছি থেমে থাকব না।

স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার এক অনন্য মাইলফলক। গত ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬ তম অধিবেশনে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রস্তাব চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়েছে। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী’র যুগসন্ধিক্ষণে ২০২১ সালে এই স্বীকৃতি যুক্ত করেছে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুর মাত্র সাড়ে ৩ বছরের ক্ষমতায়নে বাংলাদেশে ৯ % প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছিলো যা আজো বাংলাদেশ অর্জন করতে পারেনায় । বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ২৫ তম অর্থনৈতিক উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত । প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় পূর্বের সরকারের চেয়ে ৩ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে ।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারী ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী গৃহীত সুপরিকল্পিত নীতিমালা ও কার্যক্রম গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে ভিন্ন মর্যাদায় অবস্থান করছে। এসময় তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করে মেধা নির্ভর জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মানে প্রধানমন্ত্রী অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশকে সমৃদ্ধির সোপানে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্বনন্দিত নেতা বলে স্পীকার উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র চর্চা, সার্বজনীন শিক্ষা কার্যক্রম, বিনামূল্যে বই বিতরন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, হাইটেক পার্ক স্থাপন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বয়স ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের ফলে দারিদ্রের হার ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। এসময় তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত করে এশিয়ার টাইগারে পরিণত হতে যাচ্ছে।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছরে সোনার বাংলা বিনির্মাণের ভিত রচনা করে গেছেন। পিতার যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে স্পীকার উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের মানুষ আজ যে কোন সময়ের তুলনায় আর্থিকভাবে সচ্ছল, সুস্থ, আত্মবিশ্বাসী ও আশাবাদী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণে, উন্নয়নের অগ্র শিখরে, অদম্য গতিতে। 

-আফরোজা সুলতানা

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন