টেকভিশন২৪ ডেস্ক: জনপ্রিয় হচ্ছে মেট্রোরেলের স্থায়ী কার্ড টিকিট বা এমআরটি পাস। শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ত্রিশ ভাগ যাত্রী মেট্রোরেলে এই কার্ড ব্যবহার করেছেন। এতে স্টেশনের কাউন্টারে দীর্ঘ লাইনের ভোগান্তি এড়ানো যায়। আবার মোট ভাড়ায় দশ শতাংশ কমিশন থাকায় যাত্রীরাও খুশি।
উদ্বোধনের পর থেকেই বেশ জনপ্রিয় মেট্রোরেল। বিশেষ করে উত্তরা থেকে মতিঝিলগামী যাত্রীরাই এর সুবিধা পাচ্ছেন বেশি।
মেট্রোরেলে ভ্রমণের জন্য দুই ধরনের টিকিট আছে। এমআরটি পাস বা স্থায়ী কার্ড এবং এক যাত্রা বা সিঙ্গেল জার্নি কার্ড। জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ৫০০ টাকায় কেনা যায় এমআরটি পাস টিকিট। এর মধ্যে দুই শ টাকা জামানত, বাকি তিন শ টাকা ভাড়া হিসেবে ব্যবহার হয়। ১০ বছর মেয়াদী এই টিকিট ব্যবহারেও আছে ১০ শতাংশ ছাড়।
যাত্রীরা জানান, টিকিট কাটার সময় অনেক ভিড় থাকে। এই সুবিধা হওয়ায় টিকিট কাটার ঝামেলা থাকে না। এমআরটি পাস থাকায় দ্রুত ট্রেনে উঠতে পারছেন তারা। তাছাড়া এইটাতে দুই টাকা করে কম নেয় বলে জানান যাত্রীরা।
এই কার্ডে ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনমতো টাকা রিচার্জ করলেই হয়। কেউ কার্ড ফেরত দিলে জামানত ফেরত পাবেন। হারিয়ে ফেললে টাকা দিয়ে নতুন করে কার্ড কিনতে হয়। ভিড় এড়াতে এই কার্ডের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। উদ্বোধনের পর থেকে ২৭ শতাংশ যাত্রী এমআরটি পাস কিনেছেন। তবে খুব শিগগিরই মোবাইল অ্যাপসেও এই সুবিধা রাখা হবে।
এআরটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, এনএফসি সুবিধা আছে এমন মোবাইল ফোন দিয়ে সহজে এমআরটি পাস ও র্যাপিড পাস ব্যবহার করতে পারবেন যাত্রীরা।
রাজধানীকে যানজটমুক্ত করতে দিন দিন বাড়ছে মেট্রোরেলের গুরুত্ব। তবে সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে হবে বাসসহ নগরপরিবহনকে।
স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, মেট্ররেল ছাড়াও পথচারী বান্ধব আধুনিক ইলেকট্রিক বাসের মাধ্যমে বাস যাত্রাকে স্বচ্ছন্দ্য এবং যুগোপযোগী করা যায়। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী ও শিশুসহ সকলের জন্য একটি গণ চলাচল ব্যবস্থার গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
মেট্রোরেলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিনা টিকিটে ভ্রমণ সুবিধা রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা মেট্রোরেলে পাচ্ছেন ১৫ শতাংশ ছাড়।