টেকভিশন২৪ ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের টিকা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘সুরক্ষা’ নামে একটি ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত করেছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। আগামী ২৫ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে এই সফটওয়্যারটি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২৬ জানুয়ারি থেকে শুরু করবে ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম। আগামী দুতিন দিন আইসিটি বিভাগের ‘সফটওয়্যার এ্যাসুরেন্স ল্যাবে’ চলবে সফটওয়্যারটির মান যাচাই বাছাই। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ থেকেই সফটওয়্যারের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে তুলে দেয়া হবে। জনকণ্ঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। একই সঙ্গে চলছে প্রতিরোধ ও প্রতিকারের নানা কার্যক্রম। এরই মধ্যে বিশ্বের অনেক দেশ প্রস্তত ও প্রয়োগ করেছে ভাইরাসের ভ্যাকসিন। বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২০ লাখ ভ্যাকসিন বৃহস্পতিবার এসে পৌঁছাছে। ভ্যাকসিনগুলো পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে দেশে এসেছে। ভারতীয় হাইকমিশন টিকাগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা করেছে। এই টিকার সুষ্ঠু বণ্টনের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ‘সুরক্ষা’ নামে একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছে। এখন এ্যাপটি ট্রায়ালে রয়েছে। ২৫ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ‘সুরক্ষা’ হস্তান্তর করা হবে। সরকারী এসব ভ্যাকসিন সুষ্ঠুভাবে প্রদানের জন্য ওই দিনই উন্মুক্ত করা হবে ‘সুরক্ষা’ এ্যাপটি। করোনা ভ্যাকসিনের অনলাইন নিবন্ধন ও যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণে এ্যাপটি প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সম্মুখ সারির মানুষকে দেয়া হবে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে সকলকেই আনা হবে ভ্যাকসিনের আওতায়।
পলক জানান, সম্প্রতি একটি মহল ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে ও জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াতে এ্যাপ তৈরিতে ৯০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে জানিয়ে মিথ্যা গুজব ছড়িয়েছে। কিন্তু বিষয়টি পুরোটাই মনগড়া। প্ল্যাটফর্মটি তৈরিতে কোন অর্থ খরচ হয়নি। আইসিটি বিভাগের কর্মরত প্রোগ্রামাররাই এটি তৈরি করেছেন। এখানে কোন টাকা খরচের প্রশ্নেই উঠে না। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চালানো হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি জানিয়েছে, এ্যাপটি পুরোপুরি প্রস্তুত করতে আর দু’ একদিন সময় লাগবে। এখন ল্যাবে এই এ্যাপের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সব কিছু ঠিকঠাক রয়েছে। এ্যাপটি নির্ভুলভাবে কাজ করছে। আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য দু’ একটি ২৪ ঘণ্টা ল্যাবে পরীক্ষার কাজ চালানো হবে। এরপরই এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করবে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। এ্যাপটি হস্তান্তর করেই কাজ শেষ করবে না তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ একযোগে কাজও করবে।