মোবাইল অ্যাপ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন অর্থাৎ অ্যাপ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে সোচ্চার সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ নাগরিকদের দৈনন্দিন কাজে ইন্টারনেট এর প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি জীবনকে যত সহজ করে দিয়েছে ঠিক একইভাবে অনেক অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ম্যালুয়ারযুক্ত করায় নাগরিকদের জীবন ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাচ্ছে।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় গুগল প্লে স্টোরে এখন প্রায় ৩৫ লাখের ওপর মোবাইল অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। অন্য গবেষণায় দেখা যায় প্রায় ৮০শতাংশ ম্যালুয়ার তৈরির পিছনে এন্ড্রয়েড চালিত স্মার্টফোন দায়ী।

আমাদের দেশে বর্তমানে প্রায় ১২ কোটি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। আবার এ সকল ব্যবহারকারীর মধ্যে ৯৮% ব্যবহারকারী android স্মার্টফোন ব্যবহার করে। আমাদের দেশে গুগল কেবলমাত্র ভ্যাট নিবন্ধন করেছে। তাদের নেই কোন ডাটা সেন্টার বা কার্যালয়। আমরা যেত এখনো ইন্টারনেট ব্যবহার করা শিখছি তাই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন কোনটা ব্যবহার করা প্রয়োজন বা কোনটার প্রয়োজন নেই তা অনেকের কাছেই বোধগম্য নয়। আবার মোবাইল এপ্লিকেশন যেহেতু আমাদের দেশে নিবন্ধন করা বা পরিচালনায় এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা বা কার্যকর পদক্ষেপ নেই।

বর্তমানে আমাদের জীবন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অ্যাপ্লিকেশন প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। সকালে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেওয়ার অ্যালার্ম থেকে শুরু করে মিউজিক প্লেয়ারে পছন্দের প্লে-লিস্টটি চালু করে জগিংয়ে যাওয়া, গাড়ির টিকিট কেনা, হোটেলের রুম কিংবা রেস্টুরেন্টের টেবিল বুকিং দেওয়া, গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য ডিজিটাল নেভিগেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে সঠিক এবং সহজ পথটি বেছে নেওয়া, দূর-দূরান্তের মানুষের সাথে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে সম্পর্কগুলো অবিরত রাখা সহ অনেকভাবে জীবনকে সহজ করে দিচ্ছে এ প্রযুক্তি।

আমরা চাইলেই কিছু শর্ত মেনে খুব সহজেই আপনার স্মার্টফোনটির মাধ্যমে নিরাপত্তার স্বার্থে আপনজনদের গতিবিধির উপর লক্ষ্য রাখতে পারি। দূর থেকেও চোখ রাখতে পারি, আমাদের বাড়ি, গাড়ি এবং প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর উপর। অর্থাৎ জীবনকে সহজ, আনন্দময় করার জন্য প্রয়োজনীয় সব রকমের ব্যবস্থাপনা দিয়ে তৈরি হচ্ছে অ্যাপ্লিকেশনগুলো। কিন্তু এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো সত্যিই কি নিরাপদ?

এ ব্যাপারে গুগলের নিরাপত্তা নীতিমালা অনুসরণ করা হয় ঠিকই কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা গেছে বহু সংখ্যক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে ম্যালওয়্যার রয়েছে।

আমাদের নিয়ন্ত্রণ কমিশন কতটুকুই বা সক্ষম? নিয়ন্ত্রণে আমাদের নেই কোন নীতিমালা। ইতিমধ্যে বহু মোবাইল এপ্লিকেশনের বিরুদ্ধে মেলুয়ার ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। তাই সরকারের কাছে দাবি দ্রুত নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং ইন্টারনেটের অপব্যবহার সামাজিক অবক্ষয় রক্ষার্থে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নিয়ন্ত্রণে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করার। 

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন