বেসিস সদস্যদের প্রতিনিধি হিসেবে বোর্ডে কাজ করতে চায় সাবিলা ইনুন

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সকল বেসিস সদস্যদের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা এবং তাদের প্রতিনিধি হিসেবে বোর্ডে সক্রিয় থাকা। সাবিলা ইনুন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডিক্যাস্টালিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীর প্রযুক্তি সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অন্তর্ভূক্তি তরান্বিতকরণ এবং এবং এই মেধা সম্পদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ। তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দেয়া এবং বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে স্টার্টাপদের অংশগ্রহণের পথ সুগম করা। সদস্যদের প্রয়োজন অনুযায়ী মেধা সম্পদ তৈরিতে বেসিস এবং সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণে সহযোগিতা করা।

বেসিস কর্তৃক প্রকাশিত মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা সহকারী ম্যানুয়াল বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করা। বেসিস এবং সদস্যদের নিয়ে একটি কার্যকর যোগাযোগ এ-র পরিবেশ তৈরি এবং বাস্তবায়ন।

 
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারী উদ্যোক্তা বাড়লেও শীর্ষ পর্যায়ে অবস্থান ১ শতাংশের কম ক্ষমতায়ন বলতে বোঝায় যেকোনো মানুষ অর্থাৎ নারীপুরুষ উভয়ই নিজের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, নিজস্ব বিষয়গুলো নির্ধারণ করে, দক্ষতা অর্জন করে, আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, সমস্যার সমাধান করে এবং আত্মনির্ভরশীলতা তৈরি করে৷
 
তথ্যপ্রযুক্তি হলো অন্যতম চালিকাশক্তি যা নারীর ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টা কে সহয়তা প্রদান করে। উন্নত ও উন্নয়নশীল সব দেশগুলোতেই নতুন প্রযুক্তির উন্নয়ন,৷ মোবাইল ফোন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে আইসিটি একটু গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে পরিনত হয়েছে যা নারীদেরকে বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে আরো সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী হবার ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
 
 
আমাদের দেশ প্রায় তিন দশক আগে তথ্যপ্রযুক্তির যাত্রা শুরু হলেও তথ্যপ্রযুক্তি পন্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে শীর্ষ পর্যায়ে নারীর অবস্থান ১% এর কম। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আন্তর্জাতিক লেভেলও নারীদের অংশগ্রহণ অনেক কম। আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেটা শুধু প্রযুক্তি নয়, সব খাতেই নারীদের অংশগ্রহণ অনেক কম। আর এজন্য দায়ী আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং মানসিকতা।
 
আমরা এখন লেখাপড়া কে কিছুটা প্রাধান্য দিলেও কর্মক্ষেত্রে নারীদেরকে এখোনো মেনে নিতে পারছি না। স্বাভাবিকভাবেই অর্থনৈতিক অবস্থানের ক্ষেত্রেও নারীরা পিছিয়ে পরছে। কর্মক্ষেত্রে নারীদেরকে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহ দেয়ার মানসিকতা যখন তৈরি হবে, তখনই দেশের উন্নতি ত্বরান্বিত হবে। নারীর সহাবস্থান এবং সহযোগিতা ছাড়া মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আমরা নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো না, অর্জিত হবে না টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৫ – জেন্ডার সমতা।
 
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১ জুলাই, ২০২১ তারিখে “প্যারিস জেনারেশন ইকুইটি ফোরাম” – এ পাঠানো ভিডিও বার্তায় বলেন, টেক স্টার্টাপ ও ই-কমার্সসহ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০২৬ এর মধ্যে ২৫ ভাগ এবং ২০৪১-র মধ্যে ৫০% নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির অংগীকার করেছেন।” তিনি নারীদের জন্য সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রশিক্ষণ নিয়েও কথা বলেছেন।
 
তথ্যপ্রযুক্তিতে নারীর ছোট ছোট ইতিবাচক গল্পগুলো মূলত বাংলাদেশের সকল নারীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে চলার গল্প। আমাদের স্বনির্ভর হবার পথ, ইতিবাচক গল্পগুলি থেকে প্রেরণা নিয়ে সামনে এগিয়ে চলার পথ আমরাই খুঁজে নেবো।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন