এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে মাইক্রোসফটের চার বিজয়ী স্টার্টআপ  

বাংলাদেশের এলিস ল্যাবস ও প্রিয়শপসহ ১৪টি দেশের ২১টি  ইমার্জ এক্স স্টার্টআপ ‘ইমার্জ এক্স রিজিওনাল পিচিং কম্পিটিশনে’ আইডিয়া উপস্থাপন করে।  

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে মাইক্রোসফটের ‘ইমার্জ এক্স রিজিওনাল পিচিং কম্পিটিশনে’ বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা ও সিঙ্গাপুরের চারটি স্টার্টআপ। এইপ্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের এলিস ল্যাবস ও প্রিয়শপসহ ১৪টি দেশের ২১টি ইমার্জ এক্স স্টার্টআপ ‘ইমার্জ এক্স রিজিওনাল পিচিং কম্পিটিশনে’ আইডিয়া উপস্থাপন করে।

বিজয়ী চার স্টার্টআপের মধ্যে- ১. ভিয়েতনামের ‘আবিভিন’ হলো এআইভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্মটি যানবাহনের রুট সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে বিভিন্ন খাতের সরবরাহ শৃঙ্খলকে (সাপ্লাই চেইন) সহজ করে। ২. ফিলিপাইন ও সিঙ্গাপুরের ক্লাউডভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘লাইফট্র্যাক মেডিক্যাল সিস্টেম’ উদীয়মান বাজারগুলোতে সাশ্রয়ী মূল্যে মেডিকেল ইমেজিং সুবিধা প্রদান করে। ৩. শ্রীলঙ্কার ক্লাউড ভিত্তিক সল্যুশন ‘অ্যাগ্রিথমিকস’ কৃষিখাতের খামারগুলোকে ডিজিটাইজেশনের আওতায় এনে কারখানাগুলোর সরবরাহ শৃঙ্খল উন্নীত করে এবং কৃষক ও ক্রেতাদের পরস্পরের সাথে যুক্ত করে। ৪. সিঙ্গাপুরের ‘মিল্কি ওয়ে এআই’ হচ্ছে এআইভিত্তিক স্মার্ট রিটেইল সল্যুশন প্রদানকারী প্ল্যাটফর্ম। এটি রিটেইলারদের ইমেজ রিকগনিশন প্রযুক্তির মাধ্যমে শেলফ ইনভেনটরি ব্যবস্থাপনায় এবং বিক্রি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

এ বিষয়েমাইক্রোসফটের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেয়া দেল্লা মাত্তেয়া বলেন, ‘বৈশ্বিক রূপান্তর প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব প্রদানের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে দূরদৃষ্টি ও ভবিষ্যতমুখী নেতৃত্ব দরকার। বিশ্বে প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর বৈচিত্র্যময়তায় প্রতিফলন ঘটলে মানুষ যেকোন কিছু অর্জন করতে পারে। এ কারণেই  মাইক্রোসফট বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি তৈরি করে থাকে; যেনো অন্যরাও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারে। এক্ষেত্রে, আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।’

মাইক্রোসফট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার আফিফ মোহামেদ আলী বলেন, ‘খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে বিশ্ব এবং আমরা ইতোমধ্যেই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছি। তাই, বাংলাদেশের মতো উদীয়মান বাজারে উদ্ভাবনমূলক স্টার্টআপের বিকাশ ও তাদেরকে প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদান করা জরুরি।’

মাইক্রোসফটের হাইওয়ে টু আ ১০০ ইউনিকর্ন উদ্যোগের অংশ হলো ইমার্জ এক্স প্রোগ্রাম। ভারতে বিপুল সাফল্য অর্জনের পর এটি গত অক্টোবরে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে যাত্রা শুরু করে। মাইক্রোসফট বিশ্বের ১৬টি দেশের ৭০টিরও বেশি সুপরিচিত স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে থাকা প্রতিষ্ঠান ও সরকারের সাথে যুক্ত হয়। পরে, তারা তিনশ’টিরও বেশি উদীয়মান স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানকে এই প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত করে। এই প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়া ১৬টি দেশ হলো- বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম।

ইমার্জ এক্স রিজিওনাল পিচিং কম্পিটিশনে ২১টি ইমার্জ এক্স স্টার্টআপ তাদের আইডিয়া উপস্থাপন করে। পিচিং কম্পিটিশনটি ফিলিপাইন স্টার্টআপ উইক ২০২০- এ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে আবিভান, লাইফট্র্যাক মেডিকেল সিস্টেমস, অ্যাগ্রিথমিকস ও মিল্কিওয়ে এআইকে এ অঞ্চলগুলো মধ্যে শীর্ষ স্টার্স্টআপ হিসেবে নির্বাচন করা হয়। শীর্ষস্থানীয় বিনিয়োগকারী ও স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের নেতৃত্বদানকারীদের সমন্বয়ে গঠিত জুরিরা এ স্টার্টআপগুলো নির্বাচন করে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছে বিওভি ক্যাপিটাল, ক্র্যাডল, মনক’স হিল ভেঞ্চার, মোভেক, এম১২, এসবিকে টেক ভেঞ্চার, সিকোইয়া, ভিসতা কনসালটিং গ্রুপ এবং ৫৪আই ভেঞ্চার। অন্যদিকে, ইকোসিস্টেম নেতৃত্বদানকারীদের মধ্যে রয়েছে গিটহাব ও টার্গেট এক্সিলারেটর।

মাইক্রোসফট এশিয়া প্যাসিফিকের সাউথ ইস্ট এশিয়া নিউ মার্কেটসের জেনারেল ম্যানেজার সুক হুন চিয়াহ বলেন, ‘এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মাইক্রোসফট ইমার্জ এক্স রিজিওনাল পিচিং কম্পিটিশনে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার যেসব ইমার্জ এক্স স্টার্টআপগুলো তাদের আইডিয়া উপস্থাপন করেছে তাদের সবাইকে অভিনন্দন।’

এ নিয়ে এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুরের চেয়ারম্যান পিটার অং বলেন, ‘মাইক্রোসফট তাদের ইনোগুরাল হাইওয়ে টু আ ১০০ ইউনিকর্নস রিজিওনাল এপিএসি ইভেন্টটি আয়োজন করার জন্য সিঙ্গাপুরকে বেছে নেওয়াতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন