টেকভিশন ডেস্ক: শিশুদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে এবং তারা কীভাবে ডিজিটাল বিশ্বে দায়িত্বশীলতার সাথে বিচরণ করতে পারে সে ধারণা থেকেই গ্রামীণফোনের সাথে যৌথভাবে স্কলাস্টিকা স্কুল ‘ডিসিপ্লিন মান্থ প্রোগ্রাম অন ডিজিটাল সিটিজেনশিপ’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনার আয়োজন করেছে।
দেশে বৈশ্বিক মহামারির প্রাদুর্ভাবের কারণে সারাদেশের স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়, আর এতে বিপাকে পড়ে দেশের লাখো শিক্ষার্থী। এ শিক্ষার্থীদের অনেকেই অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, পাশাপাশি তারা অনলাইন মাধ্যমে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে যুক্ত থাকছে। অভিভাবকদের তত্ত্বাবধান ছাড়া ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করার কারণে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিকর কনটেন্ট ও সাইবার বুলিংয়ের শিকার হতে পারে। কারণ, কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির এ প্রতিকূল সময়ে অপরাধীরা এ সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টায় সক্রিয় রয়েছে। এ ধরণের পরিস্থিতি প্রতিরোধে অভিভাবকদের সঠিক তত্ত্বাবধানে শিশুদের কীভাবে ডিজিটাল বিশ্বে বিচরণ করতে হবে এবং এক্ষেত্রে কৌশলগুলো কী হতে পারে তা নিয়ে গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশন্স খায়রুল বাশার ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন।
এ নিয়ে গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশন্স খায়রুল বাশার বলেন, ‘শিক্ষা কার্যক্রমের কারণে বিশ্বব্যাপী অধিকাংশ তরুণদের খুব অল্প বয়স থেকেই ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। এজন্য শুরু থেকেই শিশুদের নিরাপদে রাখতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের নিজ থেকেই এ বিষয়টি লক্ষ্য করা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরো বলেন, ‘সাইবারবুলিং ও অন্যান্য ক্ষতিকর কনটেন্টের মতো ইস্যুগুলোর কারণে ইন্টারনেটকে দোষারোপ করা উচিৎ না। এটি নির্ভর করে আমরা এ মাধ্যমটিকে কীভাবে ব্যবহার করছি। সচেতন থাকার মাধ্যমে এবং কিছু জরুরি বিষয় মেনে চললে আমরা এ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবো।’
আয়োজনটিতে স্থানীয় ও বৈশ্বিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে স্কলাস্টিকা সিনিয়র ক্যাম্পাস উত্তরার প্রিন্সিপাল, হেড অব সেকশন, সিনিয়র সেকশন ফারাহ এস আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে প্রযুক্তি আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমাদের শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের চর্চা ও সবার জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত ডিজিটাল বিশ্ব নির্মাণ সম্পর্কিত বিষয়ে সঠিক নির্দেশনা দেয়া প্রয়োজন।
ওয়েবিনারটিতে সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট, সুপারভাইজর, শিক্ষক, সপ্তম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এবং কমিউনিটি সার্ভিস ক্লাবের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।