টেকভিশন২৪ ডেস্ক: বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানি স্যামসাংয়ের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন লি জে ইয়ং। ব্যবসায় সুবিধা পেতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হে ও তার বন্ধুকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে ২০১৭ সালে লি জে ইয়ংকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই বিতর্কের জেরে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অপসারিত হতে হয় পার্ক গিউন হেকে।
সে সময় ঘুষ কাণ্ডে অভিযুক্ত হওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার সংশ্লিষ্ট আদালত লি জে ইয়ংকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
চলতি বছরের আগস্টে লি জে ইয়ংকে ক্ষমা করে দেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়োল। দেশটির বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনা পরবর্তী দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় লির সহায়তার প্রয়োজন বলেই তাকে এ বিশেষ ক্ষমা প্রদর্শন করা হয়েছে।
যদিও এ ক্ষমা ঘোষণা মোটা দাগে প্রতীকী। ১৮ মাস জেল খাটার পর অনেক আগেই প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন লি।
এছাড়া বিদেশে সম্পত্তি লুকোনো, মুনাফা গোপন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে অসত্য কথা বলার অভিযোগেও তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। আদালতের ভাষ্য, লি ও তার পরামর্শদাতারা দক্ষিণ কোরিয়ার সমাজ ও অর্থনীতির ওপর বিশাল নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
লি জে ইয়ং ২০১২ থেকেই স্যামসাংয়ের সহ-পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে স্যামসাং গ্রুপের চেয়ারম্যান লি কুন হি অসুস্থ হয়ে পড়লে বাবার কাছ থেকে কার্যত প্রধানের দায়িত্ব তুলে নেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতিতে বড় অবদান রয়েছে স্যামসাংয়ের। বাইরের দেশে ফোন এবং ইলেকট্রনিক পণ্যের কারণে পরিচিতি থাকলেও সে দেশের হাসপাতাল, হোটেল, ইন্স্যুরেন্স, বিলবোর্ড, শিপইয়ার্ড, থিম পার্ক ইত্যাদির ব্যবসায় রয়েছে স্যামসাংয়ের।