টেকভিশন২৪ ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন প্রযুক্তি-দুনিয়ার সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। এর ঝুঁকি ও সুবিধা বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক নির্দেশিকা প্রণয়নের জন্য কাজ করছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সম্পর্কিত প্রথম বৈশ্বিক রেজুলেশন বা প্রস্তাব পাশ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। প্রস্তাবটির সহ-প্রস্তাবক ছিল আরও ১২৩টি দেশ।
জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রস্তাবটির পক্ষে হ্যাঁ ভোট দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, প্রস্তাবটি এআইয়ের দুনিয়াতে এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করবে। এখানে প্রতিটি দেশ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ও ঝুঁকি মোকাবিলায় এক হয়ে কাজ করবে।
প্রস্তাবটি এআই বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধারাবাহিক উদ্যোগের একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিভিন্ন আশঙ্কার মধ্যে এআই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন জালিয়াতি বা অন্যান্য ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে এ প্রস্তাব তোলা হয়।
এ প্রযুক্তির প্রভাব এত বেশি যে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এআই বিষয়ে নিয়মকানুন তৈরির জন্য কাজ করছে। এআইয়ের কারণে সামাজিক বা আর্থিক ঝুঁকি যেন কম হয়, সেজন্য আইন প্রণয়নের কাজও চলছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন ও ব্যবহারে নানা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, যা মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার সুরক্ষা, প্রচার এবং বিকাশে ক্ষতি করতে পারে। আর তাই বিশ্বের প্রায় সব দেশই এআইয়ের বিকাশ নিয়ে চিন্তিত। গত বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে নিরাপদ রাখতে প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এআই আইন তৈরির বিষয়ে ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশ এগিয়ে রয়েছে বলা যায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনপ্রণেতারা এ মাসে এআই প্রযুক্তি তত্ত্বাবধানে একটি অস্থায়ী চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর নিয়ম নিয়েও কাজ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এআই নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন করতে চেষ্টা করছে।-সূত্র: আলজাজিরা