বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের উপসর্গে মৃত্যুর পরিসংখ্যান নিয়ে একটি ডেটা ভিজ্যুয়াল তৈরি করেছে ডেটাভিত্তিক কনটেন্ট পোর্টাল ডেটাফুল।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ বাংলাদেশের সংখ্যার মানচিত্রায়ণ শিরোনামের এই ভিজ্যুয়ালটিতে দেশের ৬৪ জেলায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মৃতের একটি চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এর জন্য দেশের আটটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকালে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এটি উন্মোচন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বেনজির আহমেদ, ভাইরোলজিস্ট ডা. নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক শাহরিয়ার করিম ও দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক গাজী নাসিরুদ্দিন আহমেদ ।
অধ্যাপক আরেফিন বলেন, সংখ্যা হলো আজকের দিনের বড় শক্তি। সঠিক তথ্য উপাত্ত থাকলে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়। এ ধরনের উদ্যোগের ভেতর দিয়ে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকরা উপকৃত হবেন।জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে ডেটার ব্যবহার বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ডা. বেনজির বলেন, করোনা বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা প্রয়োজন। তিনি ডেটা ভিজ্যুয়ালটিতে নিশ্চিত কোভিড-১৯-এ মৃতের সংখ্যা যুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। ডা. নজরুল উপসর্গভিত্তিক খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমকে যে সতর্কতা অবলম্বন হয় তা স্মরণ করিয়ে দেন। তার এ মতের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে গাজী নাসিরুদ্দিন বলেন, মহামারির সময় সংবাদ সংগ্রহের একটি গাইডলাইনের প্রয়োজন।
নতুন ডেটার ভিত্তিতে ভিজ্যুয়ালটি নিয়মিত হালনাগাদ করা হবে বলে জানান ডেটাফুলের উদ্যোক্তা পলাশ দত্ত।ডাচ প্রতিষ্ঠান ফ্রি প্রেস আনলিমিটেডের সহায়তায় তৈরি ডেটা ভিজ্যুয়ালটি দেখা যাবে এই ঠিকানায়: https://bdcorona.info.
বাংলাদেশে শুক্রবার পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৪১৩ জনে পৌঁছেছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৬১ জনে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের শুক্রবার প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য বলছে, বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৫ জন। রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ১৬ লাখ ৪০ হাজার ২৯৫ জনে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের আসল সংখ্যা আরও অনেক বেশি।