টেকভিশন২৪ ডেস্ক: ই-ক্যাবের নির্বাচন কেন দরকার, নির্বাচন দিয়ে আসলে কি হয়? নির্বাচনের মাধ্যমে আসলে আমরা কি চাই? আর আপনিই বা আপনার বিবেচনায় কাদেরকে রাখবেন, কেন রাখবেন? লজিক্যাল কিছু কারণ নিচে দেয়া হল আপনার বিবেচনাকে আরো নিখুঁত করার জন্য। একজন মেম্বার হিসেবে এই পয়েন্টগুলি যদি আপনার চিন্তার মধ্যেও কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলে তাহলে হয়তো আগামী নির্বাচন অন্যরকম হতে পারে। আপনারাই পারবেন যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করতে।
১. সদস্য বান্ধব এবং ঐক্যবদ্ধ ই-ক্যাব প্রতিষ্ঠার জন্য এবং নানা কারণে অ্যাসোসিয়েশন বিমুখ মেম্বারদেরকে জোরালোভাবে অ্যাসোসিয়েশনে জন্য যুক্ত করা।
২. সদস্যদের অধিকার অর্জন বা মতামত প্রধানের সুযোগ দেওয়া।
৩. নতুন নেতৃত্বের সুযোগ তৈরি করে দেয়।
৪. মেম্বারদের মধ্যে যেখানে ৯৫ শতাংশ এমএসএমই এসএমই, ৪% মাঝারি প্রতিষ্ঠান, ১ % বড় প্রতিষ্ঠান গুলি মোটামুটি। সেখানে ৯৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠা করা।
৬. ক্রস বর্ডার ই কমার্স কে আরো সহজীকরণ করা, প্রতিবন্ধকতা গুলো পয়েন্ট আউট করে সেগুলি সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করে প্রতিবন্ধকতা দূর করা। ক্রসবর্ডার ই-কমার্স কে আরো ব্যাপকহারে বৃদ্ধি করা।
৭. মেম্বারদের জন্য ই-ক্যাবকে একটি ওয়ান স্টপ সলিউশন কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করা। মানে ট্রেড লাইসেন্স, টিন, ভ্যাট, ডিবিআইডি সহ সমস্ত ডকুমেন্টেশনের জন্য ডাইরেক্ট সহায়তা প্রদান।
৮. প্রত্যেকটা মেম্বারের মধ্যে নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে তৈরি করে নিজেদের বিজনেস প্রবৃদ্ধি বাড়ানো।
৯. দেশীয় ই-কমার্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য কে ক্রস বর্ডারের মাধ্যমে গ্লোবালাইজেশনে রূপান্তর করা।
১০. এমএসএমই এবং এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সরকার থেকে প্রণোদনা এবং ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সহজ শর্তে লোনের ব্যবস্থা করা, প্রায়োরিটি বা প্রিভিলিজ কার্ডের ব্যবস্থা করা।
১১. ডিবিআইডি সহোজীকরণ বিষয় জোরালো ভূমিকা রাখা।
১২. ভ্যাট Tax সহযিকরণ পদ্ধতিতে যাতে দেওয়া যায় সে বিষয়ে এনবিআর এর সাথে আলোচনা করে মেম্বারদের হয়রানি থেকে মুক্ত করা।
১৩. How to start a business থেকে how to make a sustainable business মেম্বারদের এ বিষয়ে যে কোনো রকম সহযোগিতা করা বা প্রতিষ্ঠিত ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের থেকে মেন্টর হিসেবে তাদের মতামত নেয়া।
১৪. প্রায় তিন হাজারের মতো মেম্বারের জন্য ই-ক্যাবের সেক্রেটারিয়েটের জন্য একটি পরিপূর্ণ নীতিমালা বা SOP প্রণয়ন সাথে প্রয়োজনীয় লোকবল বৃদ্ধি করা। । । ।
১৫. সিটিজেন চার্টারির মত মেম্বারদের অধিকার সম্পর্কিত বিস্তারিত একটি SOP প্রণয়ন।
১৬. ই-ক্যাবের আর্টিকেল অফ মেমোরেন্ডাম বা সংবিধি আধুনিকায়ন করণ যাতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একটা স্মার্ট ই-ক্যাব প্রতিষ্ঠা হয়।
১৭. নতুন নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠার জন্য পর পর দুবারের বেশি কোন ইসি মেম্বার যেন ইলেকশন করতে না পারেন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় মতামত এবং সংশোধনী আনা।
১৮. ই-ক্যাবের ইসি কমিটির মিটিং গুলির মিটিং মিনিটস বা উল্লেখযোগ্য সারসংক্ষেপ মেম্বারদেরকে অবহিত করন।
১৯. ই-ক্যাবের সকল কার্যক্রমকে মেম্বারদের জন্য access to information এর আওতায় নিয়ে আসো। যেন সব মেম্বারই সব ইনফরমেশন পেতে পারে।
২০. ই-ক্যাবের আর্থিক স্বচ্ছতার উপর আরো বেশি জোর দেওয়া, সমস্ত আর্থিক কার্যক্রমের ব্যাপারে আরো যত্নশীল হওয়া। ই-ক্যাবের নিজস্ব কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে করানোর ব্যবস্থা করা।
২১. ই-ক্যাবকে কারো কারো ব্যবসার ক্ষেত্র থেকে বাহির করে, মেম্বারদের জন্য আরও বেশি ব্যবসার সুযোগ করে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করা।
২২. ই-কমার্স কে স্বতন্ত্র বিজনেস আইডিন্টিটি দেওয়ার ব্যবস্থা করা মানে ট্রেড লাইসেন্সে যাতে ই-কমার্স ক্যাটাগরি থাকে।
২৩. মেম্বারদের দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ট্রেনিংয়ের জন্য স্বতন্ত্র একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
২৪. প্রত্যেকটা ব্যাংকের সরকার ঘোষিত এসইমি ফান্ডের আওতায় মেম্বাররা যেন এক্সট্রা ফেসিলিটিস পেয়ে এবং সহজ শর্তে, শুধুমাত্র মেম্বার হওয়ার কারণে কম ডকুমেন্ট প্রদান করে ফান্ড বা লোন পেতে পারেন সে সংক্রান্ত নির্দেশনার অবস্থা গ্রহণ।
২৫. সরকারি নির্দেশনা না থাকার পরেও যে সমস্ত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ই ক্যাবের মেম্বারশিপ বা ডিবিআইডি অহেতুক ভাবে বাধ্যতামূলক করেছেন সেই বিষয় নির্দেশনা প্রধান।
২৬. বিজনেস ক্যাটাগরি অনুযায়ী মেম্বারদের শ্রেণীবিন্যাস করে নিজেদের মধ্যে আন্ত যোগাযোগ বাড়িয়ে, সেই বিজনেস শ্রেণীর জন্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে মত বিনিময়ের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করন।
২৭. মেম্বারদের জন্য ইউনিক মেম্বার কার্ড প্রবর্তন করা সেই কার্ডকে সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে ট্যাগ করিয়ে বিভিন্ন রকম সুবিধা মেম্বারদের দেয়া।
২৮. ই-কমার্স এর মাধ্যমে যারা দেশীয় প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করেন, দেশীয় ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করেন তাদের প্রোডাক্ট বিশেষ ক্যাটাগরিতে এনে ক্রস বর্ডার ই-কমার্স এর মাধ্যমে দেশের বাইরে বাজার উন্মুক্ত করা।
২৯. সর্বোপরি প্রত্যেকটা মেম্বারকেই তার ই-কমার্স ব্যবসা ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা বা বাধা অসুবিধা গুলোর ডাটাবেজ তৈরি করে, কমন বিষয় গুলির দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা।
৩০. মেম্বারদের যেন ফান্ড দেয়া যায় ব্যবসা সম্প্রসারণ এর জন্য সেই লক্ষ্যে সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে থেকে একটা তহবিল গঠন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করন।
৩১. ই-ক্যাবের ৯৫% এসএমই এবং এমএসএমই মধ্যে থেকে প্রত্যেক বছর ১০০ জন উদীয়মান মেম্বারকে নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে এবং দেশে ফোকাসিং করা। তাদের ছোট ছোট সাফল্যগুলিকে সবার সামনে তুলে ধরা।
এর বাহিরেও আপনাদের নিজস্ব কোন মতামত থাকতে পারে। অথবা আপনারা কিভাবে আপনার অ্যাসোসিয়েশন কে দেখতে চান? সেই ভাবনাও জানাতে পারেন।
মোঃ মোজাম্মেল হক মৃধা (সোহেল মৃধা), ফাউন্ডার কিনলে। সবার জন্য শুভকামনা