আরো ৫ বিভাগীয় শহরে স্টার্টআপদের কল্যাণে আইডিয়া প্রকল্পের সম্প্রসারণ

স্টার্টআপ রাজশাহী, স্টার্টআপ খুলনা, স্টার্টআপ চট্টগ্রাম, স্টার্টআপ কুমিল্লা এবং স্টার্টআপ বরিশাল এর সাথে iDEA প্রকল্পের পাঁচটি পৃথক সমঝোতা।

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (iDEA) প্রকল্প স্টার্টআপদের কল্যাণে এবং দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইন্ডাস্ট্রিসহ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকদের নিয়ে দেশব্যাপি কমিউনিটি গঠনে কাজ করে চলছে।

এরই আলোকে iDEA প্রকল্প দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্টার্টআপদের উন্নয়নসহ তৃণমূল পর্যায়ে এর সকল কার্যক্রমের পরিসর ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে আরো ৫টি প্রতিষ্ঠানের সাথে ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার আগারগাঁও-এর আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের iDEA প্রকল্পের সভাকক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। উক্ত এমইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ।

উক্ত আয়োজনে স্টার্টআপ রাজশাহী, স্টার্টআপ খুলনা, স্টার্টআপ চট্টগ্রাম, স্টার্টআপ কুমিল্লা এবং স্টার্টআপ বরিশাল এর সাথে iDEA প্রকল্পের পাঁচটি পৃথক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এদের মধ্যে স্টার্টআপ রাজশাহী ও স্টার্টআপ বরিশাল- এর সাথে iDEA প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (উপসচিব) কাজী হোসনে আরা এবং বাকি অন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানের সাথে iDEA প্রকল্পের পক্ষে পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিগণের সাথে সমঝোতা স্মারকগুলোতে স্বাক্ষর করেন। স্টার্টআপ চট্টগ্রাম থেকে আরাফাতুল ইসলাম আকিব, স্টার্টআপ খুলনা থেকে মেহেদী হাসান, স্টার্টআপ রাজশাহী থেকে তাসনিম বিনতে শওকত, স্টার্টআপ কুমিল্লা থেকে মোঃ ফেরদৌস সায়েম ভূইয়া, স্টার্টআপ বরিশাল থেকে এ. বি. এম আনাস তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে উক্ত সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

iDEA প্রকল্পের সাথে স্টার্টআপ কমিউনিটিগুলোর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দুই পক্ষ যৌথভাবে বিভিন্ন ট্রেনিং, মেন্টরিং, কাম্পেইন ও অ্যাওয়ার্ডস প্রোগ্রাম, ফেলোশিপ, সেমিনার, রিসার্চসহ উদ্যোক্তা সংস্কৃতি বিকাশের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা যা সারা বাংলাদেশের ছড়িয়ে থাকা উদ্যোক্তাদের ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করবে।

এছাড়াও কমিউনিটিগুলো তাদের নিজস্ব এলাকায় স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরিসহ উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত কো-ওয়ার্কিং স্পেস তাদের নিজস্ব স্টার্টআপদের ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধ করবে। উল্লেখ্য যে, এ ধরণের উদ্যোগ দেশিয় উদ্যোক্তাদের ভবিষ্যতে আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন