আইসিটি শিল্পে রপ্তানি লক্ষমাত্র অর্জনে বেসিস সভাপতির ৩ প্রস্তাবনা

বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর।

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল (বিপিসি)-এর বার্ষিক সাধারণ সভা গত ৩১ জানুয়ারি ২০২১ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আইসিটি বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল-এর প্রাক্তণ সহ-সভাপতি ও বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর ২০২৫ সালের মধ্যে আইসিটি শিল্পে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষমাত্র অর্জনে তিনটি নির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

প্রথমত, যেহেতু সকল সেক্টর বা ইণ্ডাস্ট্রিতে আইসিটি-র ব্যবহার অপরিহার্য এবং সরকার ঘোষিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ তৈরীতে সকলকেই সম্পৃক্ত হতে হবে, সেহেতু সকল সেক্টর বা ইণ্ডাস্ট্রি প্রোমোশনের জন্য কাউন্সিলে ডিজিটালাইজেশনের জন্য আলাদা বাজেট রাখা প্রয়োজন। এতে ডিজিটালাইজেশন উৎসাহিত হবে এবং তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে।
 
দ্বিতীয় প্রস্তাব হচ্ছে, তৈরী-পোষাক শিল্পের উপর থেকে নির্ভরতা কমাতে এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন করা জরুরী; এবং এক্ষেত্রে আইসিটি শিল্পই আদর্শ বিকল্প হতে পারে। আমাদের দেশে জমির অভাব রয়েছে যা কিনা আইসিটি শিল্পে কোন প্রভাব ফেলে না। এ শিল্পে ছোট একটা ঘরে বসেও মিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব। তাই আইসিটি এক্সপোর্ট উৎসাহিত করতে ক্যাশ ইন্সেন্টিভের হার বৃদ্ধি করে ২০% করলে আরও অনেকে এ ব্যবসায়ে যুক্ত হবে। যেহেতু ২০২৫ নাগাদ ৫ বিলিয়ন ডলারের একটি রপ্তানী লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তাই অন্ততঃ ২০২৫ পর্যন্ত এই প্রণোদনা ঘোষনা করলে বড় সুফল পাওয়া যেতে পারে।
 
তৃতীয় ও শেষ প্রস্থাবনা হলো, আইসিটি বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল-এর বার্ষিক বাজেট ১ কোটি টাকারও নীচে, যা খুবই নগন্য। এটি আবার পাঁচটি এসোসিয়েশনের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়! তাই, এই বাজেট উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতেই হবে; না হলে এটি শুধুমাত্র ‘বুড়ি ছোঁয়ার’ মতই র‍য়ে যাবে।
 
এক প্রশ্নের জবাবে আলমাস বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এক্সপোর্ট ডাইভার্সিফিকেশনের কথা বলেছেন। আমাদের রপ্তানীর ৮০% নির্ভর করে তৈরী পোষাক শিল্পের উপর। এই নির্ভরতা কমিয়ে আনার লক্ষ্যেই বিকল্প কয়েকটি সেক্টর চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে আইসিটি অন্যতম। আইসিটি-র সুবিধা হলো, এখানে দামী ক্যাপিটাল মেশিনারীও লাগে না, আবার ফ্যাক্টরী বানানোর জন্য বিশাল জমিরও দরকার হয়না। জনসম্পদের দক্ষতা বাড়িয়ে মেধা-সম্পদ ব্যবহার করে ছোট পরিসরেই এই ব্যবসায় করা যায়। তাই বাংলাদেশের মত দেশে যেখানে জমি সীমিত কিন্তু জনসম্পদের অভাব নেই, সেখানে এই ধরণের ব্যবসায়ই আদর্শ ব্যবসায়।
 
এছাড়া, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের কথা মাথায় রেখেও তৈরী পোষাক শিল্পের উপর নির্ভরতা কমিয়ে আইসিটি-তে মনোযোগ দেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে আমি মনে করি।
 
 

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন