সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এর ‘এক দেশ, এক রেট’ ট্যারিফ চালুকরণে অ্যাসোসিও অ্যাওয়ার্ড অর্জন

ASOCIO
ASOCIO Award - 2022

টেকভিশন২৪ ডেস্ক:  সারাদেশে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সেবার জন্য একটি বৈষম্যহীন “এক দেশ এক রেট” ট্যারিফ প্রবর্তনের স্বীকৃতি হিসেবে “Environmental, Social and Governance” ক্যাটাগরিতে ASOCIO-2022 পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশ। গত ২৮শে অক্টোবর ২০২২ খ্রিস্টাব্দে সিংগাপুরের রিসোর্টস ওয়ার্ল্ড সেনতোসা  কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত ASOCIO World Summit – 2022 তে বাংলাদেশের পক্ষে বিটিআরসি-র সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাসিম পারভেজ ASOCIO এর চেয়ারম্যান ডেভিড ওয়াং এর নিকট থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।

এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উল্লেখ্যযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন (ASOCIO) এই পুরস্কার প্রদান করে থাকে। ASOCIO এর মতে, এই “এক দেশ এক রেট” টি বাংলাদেশে প্রযুক্তির বিকাশ ও প্রয়োগে অসামান্য অবদান রাখার মাধ্যমে এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলের অর্থনীতির জন্য এটি একটি চমৎকার উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮ এর অনুচ্ছেদ ৩.২১ এ প্রতিশ্রুত “ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যবহারের মূল্য যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে নামিয়ে আনা” এর লক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নির্দেশনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কর্তৃক প্রচলিত ইন্টারনেটের ট্যারিফ, Cost Component পর্যালোচনা ও বাজার বিশ্লেষণ করে সকল পক্ষ (NTTN, IIG ও ISP) এর জন্য একটি গ্রহণযোগ্য ট্যারিফ নির্ধারন করে যা সরকারের অনুমোদনক্রমে গত ০১/০৯/২০২১ খ্রি. থেকে কার্যকর হয়। এরই ফলশ্রুতিতে মোবাইল ইন্টারনেটের দামের ক্ষেত্রে গত বছর জাতিসংঘের ব্রডব্যান্ড কমিশনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে জাতিসংঘের ব্রডব্যান্ড কমিশন ইন্টারনেটের দামের একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়। লক্ষ্য অনুযায়ী, একটি দেশের জাতীয় মাথাপিছু আয় যা হবে, তার ২ শতাংশের কম খরচ হবে ইন্টারনেট বাবদ। ২০২১ সালে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের দাম জাতিসংঘের বেঁধে দেওয়া এই সীমার মধ্যেই ছিল।

ASOCIO Award - 2022
ASOCIO Award – 2022

সারাদেশে ইন্টারনেটের “এক দেশ, এক রেট” ট্যারিফ বাস্তবায়নের ফলে তথ্য প্রযুক্তি খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন সাধিত হবে। দেশের জনসাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে গুণগত শিক্ষা ও মানসম্মত দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে নিজেদেরকে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেটের চাহিদা এবং ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে বিধায় এ সকল এলাকায় বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি অবকাঠামো যেমন আইসিটি ইনকিউবেটর,  আইটি শিল্প পার্ক, আইসিটি নির্ভর শিল্প কারখানা প্রভৃতির চাহিদা বৃদ্ধি পাবে এবং সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এ ধরণের অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হবে। দেশের সকল স্থানে এক মূ্ল্যে ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে বিধায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত জনসাধারণ বিভিন্ন ই-সার্ভিস গ্রহণে আগ্রহী হবে। দেশে ডিজিটাল ডিভাইড দূর করার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া দুর্বল জনগোষ্ঠীর কাছে  বিভিন্ন নাগরিক সেবা সহজে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে এবং দেশের একটি কার্যকর ই-গভার্নেন্স প্রতিষ্ঠিত হবে।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন